2025-08-01@04:33:16 GMT
إجمالي نتائج البحث: 21
«এখন আম»:
হাকিমপুরে নিরঞ্জন সরকারের বাগানের ‘নিরাপদ’ আম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সুবাস ছড়াচ্ছে ইউরোপেও। এরই মধ্যে তাঁর গ্যাব পদ্ধতিতে উৎপাদিত আম ইতালিতে রপ্তানি হয়েছে। দামও পাচ্ছেন ভালো। শুরুর দিকে বাগান করে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও এখন লাভের অঙ্কটা দ্বিগুণ। হাকিমপুরের গোহাড়া গ্রামের যুবক নিরঞ্জন সরকার ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন। কিছু একটা করতে হবে সেই ভাবনা থেকে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১৭৫ শতক জমিতে গড়ে তোলেন আমবাগান। প্রথমে ৪৫০টি আম্রপালি, বারি-৪ ও গৌড়মতী জাতের আমের চারা রোপণ করেন। এর মধ্যে ৪০টি চারা গাছ নষ্ট হয়। পরের বছর ৪১০টি গাছে আম ধরতে শুরু করে। খরচ বাদে বছরে আয় হতো দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। চলতি বছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে গ্যাপ পদ্ধতিতে (উন্নত কৃষি পরিচর্যা-গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাক্টিসেস) আম উৎপাদন শুরু করেন। ফলন ভালো...
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের অলিগলিতে এখন সুমিষ্ট পাকা আমের মধুর ঘ্রাণ মিশ্রিত বাতাসের আনাগোনা। বাজারে ঢুকে দেখা গেল একপাশে বসে রয়েছেন রাজশাহী থেকে আসা আম ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দাম একটু কম, কিন্তু বিক্রি বেশ ভালো। রপ্তানি বেড়েছে বলে বাজারে স্থিরতা এসেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের হিমসাগর তো এখন ইউরোপেও যাচ্ছে! শুধু রাজধানী নয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, যশোর আর নওগাঁর কৃষকদের চোখেও এখন নতুন স্বপ্ন। কারণ, আম আর শুধুই মৌসুমি ফল নয়। এটি হয়ে উঠছে রপ্তানিযোগ্য এক সম্ভাবনার নাম। চলতি মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগে নিরাপদ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত শিল্প এবং বহির্বিশ্বে আম রপ্তানিতে তৈরি হয়েছে এক অনন্য গতি। রপ্তানির পালে হাওয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ চার হাজার টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জুন...
দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর পাঞ্জাব ও গুজরাটে ঘুরে দাঁড়াল আম আদমি পার্টি (আপ)। ভারতের চার রাজ্যের পাঁচ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তারা দুটি আসন জিতল বিজেপি ও কংগ্রেসকে হারিয়ে। গুজরাটের বিষবদার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে তাদের জয় যতটা কৃতিত্বের, ততটাই কৃতিত্বের পাঞ্জাবের লুধিয়ানা আসনটি ধরে রাখা।মাত্র কয়েক মাস আগে বিজেপির কাছে দিল্লির ক্ষমতা হারানো এবং একের পর এক দুর্নীতির মামলায় জেরবার আপকে হতোদ্যম মনে করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু গুজরাট ও পাঞ্জাবের দুটি আসন জয় সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করল। ওই দুই কেন্দ্রই অবশ্য আপের দখলে ছিল।গুজরাটে আপের মূল প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপি। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের শরিক থাকলেও দিল্লি, গুজরাট ও পাঞ্জাবে তারা আলাদা...
বাজারে এখন নানা জাতের আম। ক্রেতারাও বেছে নিচ্ছেন নিজেদের পছন্দমতো। ক্রেতার পছন্দ ও দামের শীর্ষে আছে ব্যানানা ম্যাঙ্গো। এরপর আছে ক্ষীরশাপাতি, আম্রপালি ও ল্যাংড়া আম। এ বছর আমের বাজার মন্দা। এর মধ্যে যা একটু লাভ হচ্ছে, সেটা ব্যানানা ম্যাঙ্গো, ক্ষীরশাপাতি ও আম্রপালি বিক্রি করে।এবার বাজারের কম দামি আমে পরিণত হয়ে গেছে লক্ষ্মণভোগ বা লখনা আম। এই আমে চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। রাজশাহীতে এটির চাষ সবচেয়ে বেশি হলেও দাম বেশ কম।চাষিদের হিসাব অনুযায়ী, এক বিঘার একটি মাঝারি আকারের বাগানে সাধারণত ২ টন (দুই হাজার কেজি) আম হয়ে থাকে। এ হিসাব অনুযায়ী ১ কেজি আমের জন্য জমির ইজারামূল্য পড়ে ১৫ টাকা। সার ও কীটনাশকের খরচ বাবদ ৬ টাকা। পরিবহন ও প্যাকেজিং খরচ ৬ টাকা এবং গাছ থেকে আম পাড়ার খরচ পড়ে ৫...
রায়ানের বয়স আট বছর। চুপচাপ, ভীতু আর একটু বেশি ভাবুক। বেশ কয়েকদিন ধরে রাতে তার ঘুমই আসে না! জানালার বাইরের বাগানে একটা বড় আমগাছ আছে। ওই গাছটার দিকে তাকালেই তার মনে হয়, কেউ একজন তাকিয়ে আছে! এক রাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো। মা রান্নাঘরে। বাবা অফিসের ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত। রায়ান ফিসফিস করে বাবাকে বলে, বাবা, ওই আমগাছটার নিচে কে দাঁড়িয়ে থাকে রোজ রাতে? বাবা হেসে বললেন, কে আবার? হয়তো রাতজাগা কোনো পাখি। না না; আমার মনে হয় ওটা ভূত। একদিন দেখেছি, ওর চোখ লাল হয়ে জ্বলে উঠেছিলো। বাবা এবার গম্ভীর হলেন। ল্যাপটপ বন্ধ করে বললেন, চলো, একবার দেখে আসি। এতো রাতে বাইরে যাবো? আমরা দুইজন আছি। তুমি তো আমার বীর যোদ্ধা! রায়ান কিছুক্ষণ মাথা নেড়ে বললো, ঠিক আছে, কিন্তু তুমি...
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কথা হচ্ছিল নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানীর সঙ্গে। জানালেন, মানিকগঞ্জে আছেন। নিজের রেস্টুরেন্টে সময় দিচ্ছেন। তবে বিকেলে থেকে একটা বিষয় নিয়ে তিনি ভীষণ বিরক্ত। সে প্রসঙ্গ মনে করে সানী বললেন, কে বা কারা তাঁকে আম ব্যবসায়ী বানিয়ে দিয়েছেন। অথচ তিনি নাকি আমের ব্যবসা করছেন না। এ নিয়ে ফোনের ওপার একনাগাড়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়ে গেলেন।একসময়ের ব্যস্ত ও জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। হঠাৎ হঠাৎ তাঁকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খবরে পাওয়া যায়। তবে এখন তিনি পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছেন। শুরুতে ঢাকা শহরে রেস্টুরেন্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও এখন ঢাকার বাইরে নিয়ে গেছেন এই ব্যবসা। দিন দিন ওমর সানীর সেই রেস্টুরেন্টে বিক্রি বাড়ছে। এটা উপভোগ করছেন নব্বই দশকের এই তারকা। এর মধ্যে...
এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বাংলাদেশের আম পৌঁছে গেছে বিশ্বের ২৫টি দেশে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে। মৌসুম শেষে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার টন, যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ। চলতি মৌসুমে ১৮ মে থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় আম রপ্তানি। ২৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো চীনে রপ্তানি হয় তিন টন আম। এ ঘটনা বাংলাদেশের জন্য এক নতুন বাজার উন্মোচনের বার্তা দেয়। এর আগেও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরবসহ অন্তত ৩৮টি দেশে আম রপ্তানি হতো। এবারের মৌসুমে দেশের প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ টন আম। সাতক্ষীরার গোপালভোগ দিয়ে শুরু হয়ে এখন দেশের সব প্রধান আম অঞ্চলেই ভরা মৌসুম চলছে। বাংলাদেশের আম বিদেশে পাঠানোর আগে মান...
এখন আমের মৌসুম। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে, ট্রেনে আম আসছে ঢাকায়। তবে এর মধ্যে ঢাকায় এক ছাদবাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড্ডার নূরের চালা এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলামের ছাদবাগানে ঝুলে আছে শত শত আম। আর এসব আম বাজারের যেকোনো আমকে টেক্কা দেওয়ার মতোই। স্বাদ–গন্ধও অসাধারণ। পেশায় ব্যবসায়ী সফিকুল নিজ বাসার ছাদে বাহারি ফুল আর ফলের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন চমৎকার ছাদবাগান। সে বাগানেই এখন রাজত্ব করছে হরেক রঙের নানা জাতের আম।আমেরিকান রেড পালমার জাতের আম
আমের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষিরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে এখন আমের দাম গড়পড়তায় প্রতি কেজি ২০ টাকা। আমের মানভেদে দাম ১৬-১৭ টাকায় শুরু হয়, ওঠে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আমের মান ও দর-কষাকষির ওপর দাম নির্ভর করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন হিমসাগর আমের ভরা মৌসুম।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কানসাটের বাজারে আমচাষি, আড়তমালিক, আমের ব্যাপারীদের ভিড় লেগেই থাকে। মৌসুমি আম ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট, বানেশ্বরের পাশাপাশি রাজশাহীতে ছুটছেন।চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। কানসাট বাজার দেশের সবচেয়ে বড় আমের বাজার হিসেবে পরিচিত। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ ওই অঞ্চলে এখন আমের ভরা মৌসুম। চাষি পর্যায়ে এবার আমের দাম বেশ কম। তাঁরা প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। কারণ, ঈদের লম্বা ছুটি ও অতিরিক্ত গরম।অন্যদিকে রাজধানীর ঢাকার বাজারে হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে গড়ে...
রাজশাহীতে আমের সবচেয়ে বড় হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে। ঈদের পর এই হাটের আমের বাজার বসানো হয়েছে একটি কলেজ মাঠে। গতকাল সোমবার বিকেলে হাটে ঢুকতেই দেখা গেল, একজন আম বিক্রেতা মুঠোফোনে অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে বলছেন, ‘তরে কইছিলাম না যে আম নামাবি না। এখন বাজারে তো দাম কয় না।’ফোন রাখার পর আলাপে জানা গেল তাঁর নাম মনজুর মিয়া। আমের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে আজকের (সোমবার) আমের বাজার সবচেয়ে কম। ক্ষীরশাপাতির (হিমসাগর) দামই বলে না ক্রেতারা। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ। গত বছর এই দিনে এই আম আড়াই হাজার টাকাতেও পাওয়া যায়নি। ঈদের আগেও ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। এখন আম না পেড়ে উপায় ছিল না। দুই বিঘা...
রাজশাহী বিভাগে এখন থেকে মণ দরে আম কেনাবেচা করা যাবে না। শুক্রবার (৬ জুন) থেকে আম কেনাবেচা করতে হবে কেজি দরে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে এক মণ আম কেনার সময় আড়তদাররা ৪২ থেকে ৫৫ কেজি পর্যন্ত আম নিয়ে থাকেন। তবে চাষিদের ৪০ কেজি বা এক মণেরই দাম দেন। বিভিন্ন সময় এই ‘ঢলন’ প্রথা থামাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও কার্যকর হয়নি। তবে এবার কেজি হিসেবে আমের কেনাবেচা হলে ‘ঢলন’ নেয়া বন্ধ হবে বলে প্রশাসন মনে করছে। এবার এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৮ এপ্রিল বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। ওই...
রাজশাহীর বাঘা শাহি মসজিদ নির্মিত হয় ৫০০ বছর আগে। মসজিদের টেরাকোটায় থাকা আমের মোটিফ দেখে বোঝা যায়, রাজশাহীর আমের ঐতিহ্য কত প্রাচীন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতার বাজারে বাঘার ফজলি ও ক্ষীরশাপাতি আম ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে পরিচিত ওই আমের জন্য অপেক্ষায় থাকতেন কলকাতার মানুষ। ১৮১৩ সালের আগপর্যন্ত রাজশাহী জেলার অন্তর্গত ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ওই অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘আহা তিনি দুপুরের খাবারের পর আয়েশ করে আমটা খেতে পারলেন না!’ এর মাধ্যমে ১২০৫ সালে বখতিয়ার খিলজির আক্রমণের মুখে লক্ষ্মণ সেনের পলায়নের প্রসঙ্গ বোঝানো হয়। এতে হাজার বছর আগেও রাজশাহীর আমের কত কদর ছিল, সেটা প্রতীয়মান হয়। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, রাজশাহীতে আমের প্রচলন করেছিলেন তৎকালীন রাজা ও জমিদারেরা। তাঁরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিখ্যাত আমের চারা এনে...
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা মোবাইল অ্যাপ এসব মাধ্যমেই আম বিক্রিতে ঝোঁক বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। তরুণেরাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। কেউ কেউ সরাসরি বাগান থেকে, আবার কেউবা আশপাশের বাজার কিংবা আম চাষিদের কাছ থেকে আম সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, দেশে ৫ হাজারের বেশি ছোট–বড় বিক্রেতা অনলাইনে আম ও বিভিন্ন মৌসুমি ফলের ব্যবসা করেন। তবে গ্রীষ্মকালীন আমের ব্যবসাই সবচেয়ে বড়। কারণ, অন্যান্য ফলের চেয়ে আমের চাহিদা বেশি থাকে। অনলাইনে আম ব্যবসায়ীদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি। তেমনই একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রীদওয়ানুল আলম। বাবার ব্যবসায়ের হাল ধরার জন্য আট মাস আগে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর নিজ এলাকায় চলে যান। বাবার ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি শখের বসে ফেসবুকে ‘আমবাজার-চাঁপাই’ নামের একটি পেজ খোলেন। ১৭ মে থেকে...
মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজশাহীর বাজার ভরে উঠেছে আম ও লিচুতে। বাজারে গুটি জাতের পরিপক্ব আমের পাশাপাশি প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই মিলছে গোপালভোগ। সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ায় লিচুও কিছুটা আগেভাগে নামানো হচ্ছে। এসব মৌসুমি ফল ঢাকায় পাঠানোর জন্য কয়েক বছর ধরেই ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে, এবার বিশেষ এই ট্রেন চালু হবে কি না, তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। চলতি বছরে রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন। এবার লিচুবাগান আছে ৫৩০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্য ৩ হাজার ৭৯৭ মেট্রিক টন। পরিপক্বতা নিশ্চিত করতে এবারও জাতভেদে আম নামানোর নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। তবে, লিচুর কোনো সময়সীমা নেই। জেলা প্রশাসন...
আম পাড়ার সময়সূচি নির্ধারিত ছিল নওগাঁয়। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার থেকে গুটি আম পাড়া যাবে। সে অনুযায়ী আজ থেকে নওগাঁর কিছু কিছু বাগানে গুটি আম নামানো শুরু হয়েছে। তবে শুরুর দিনটা তেমন জমেনি নওগাঁর আমের হাটগুলোয়। নওগাঁ শহরের পৌর কাঁচাবাজার–সংলগ্ন পাইকারি আমের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে তেমন ভিড় নেই। নেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক। সকাল ৯টা পর্যন্ত আম বিক্রির পরিমাণ মাত্র কয়েক মণ। জান্নাত ফল ভান্ডারের মালিক মারুফ হোসেন বলেন, নওগাঁর বাণিজ্যিক বাগানগুলোয় এখনো আম পাড়া শুরু হয়নি। বাসাবাড়ির আশপাশে চাষ হওয়া বিভিন্ন জাতের গুটিজাতের আম পাকতে শুরু হয়েছে। ওই সব চাষি বিক্রি করতে আনছেন, তবে পরিমাণে খুব কম। গুটি আম ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। নওগাঁতে ভালো জাতের সুমিষ্ট...
আম উৎপাদনে শীর্ষ দশে থাকলেও নানা বাধায় রপ্তানিতে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে বর্তমান সরকার চীনকে আম রপ্তানির নতুন গন্তব্য বানাতে চায়। এতে রপ্তানিকারকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। গুণগত মান ঠিক রেখে আম উৎপাদন করে রপ্তানিতে এবার রেকর্ড গড়তে চায় কৃষি মন্ত্রণালয়। বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, আগামী বুধবার চীনে প্রথমবারের মতো প্রায় ৫০ টন আম রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। এছাড়াও কাঁঠাল ও লিচু রপ্তানির বিষয়েও ভাবছে সরকার। কৃষি সচিব বলেন, দেশভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে কীভাবে আমের রপ্তানি বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। গত বছর ধান আমদানি করতে হলেও, এ বছর আর তা প্রয়োজন হচ্ছে না। ড. এমদাদ উল্লাহ বলেন, ডলার সংকটের কারণে...
ডালে ডালে ঝুলছে বাহারি সব আম। চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামের পরিত্যক্ত ইটভাটার জমিতে গড়ে তোলা বাগানটিতে আছে ৫৭ জাতের বিদেশি আম, এমনটাই দাবি মালিকের। শুধু আম নয়, আছে শতাধিক প্রজাতির ফল। ‘ফ্রুটস ভ্যালী এগ্রো’ নামের এই বাগানের মালিক শৌখিন ফলচাষি হেলাল উদ্দিন। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে তাঁদের পরিত্যক্ত দুটি ইটভাটার জমি অনাবাদি পড়ে ছিল। চার বছর আগে এই জমিতে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে ফলের চারা রোপণ করেন তিনি। এখন সেখানে প্রায় ৩ একর জায়গায় তৈরি হয়েছে পুরো একটি বাগান।গত শনিবার বিকেলে বাগানটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় আড়াই শটি গাছে থোকায় থোকায় আম ঝুলছে। অধিকাংশ আম এখনো অপরিপক্ব। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পাকতে শুরু করবে বলে জানান হেলাল। গত বছর বাগানটি থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকার আম বিক্রি হয়েছিল। এবার...
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু করছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো চীনে আম রপ্তানির বিষয়ে এ মাসে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি সই হতে যাচ্ছে।কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গতকাল রোববার দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আম রপ্তানির বিষয়ে কথা বলেছেন।প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চীনে আমসহ কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণসহ নানা কারণে ছয় বছর পর দেশটিতে আম রপ্তানির উদ্যোগ সফল হতে চলেছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আম উৎপাদিত হয়েছে ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২১ টন। বাংলাদেশ থেকে গত বছর ২১টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইতালি ও সিঙ্গাপুরের...
ছবি: সংগৃহীত
আবেদনের ছয় বছর পর চীনে আম রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমেই দেশটিতে আম রপ্তানির দ্বার খুলতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।চীনে যেকোনো খাদ্যপণ্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অব কাস্টম অব চায়না (জিএসিসি) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। জিএসিসি গত বছরের জুলাইয়ে আম রপ্তানির নিবন্ধন দিয়েছে। তবে কাঁঠাল ও পেয়ারা রপ্তানির অনুমোদন এখনো দেয়নি।চীনে কাঁঠাল ও পেয়ারা রপ্তানির জন্য জিএসিসি থেকে নিবন্ধন নেওয়ার আলোচনা সম্প্রতি নতুন করে শুরু হয়েছে। আরও পণ্য অর্থাৎ পেয়ারা, আলু, সয়ামিল এবং সুগন্ধি চালও রপ্তানির তালিকায় আছে। এগুলোর বিষয়ে অবশ্য খুব অগ্রগতি নেই বলে জানা গেছে।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনে আমসহ কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। চীন সরকার এমনিতেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে অনেক সময় নেয়।...
দেশের অন্যতম আম উৎপাদকারী জেলা নওগাঁয় গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার আমের মুকুল বেশি এসেছে। বাতাসে মুকুলের ম-ম ঘ্রাণ। কয়েক দিনের কুয়াশা ছাড়া আবহাওয়া আমের অনুকূলে। মুকুলের আধিক্য দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষি।বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষিবিদরাও। তাঁরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকূলে রয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। এবার গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, গত বছরের চেয়ে এবার ২৫ হাজার টন ফলন বাড়তে পারে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাধারণত ধরা হয় দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে আমের মুকুল ধরতে চায় না। তবে এবার জানুয়ারি মাসে দুয়েক দিন করে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ ছিল না। গড়...