Samakal:
2025-11-02@14:04:48 GMT

বাংলাদেশের আম বিশ্ববাজারে 

Published: 19th, June 2025 GMT

বাংলাদেশের আম বিশ্ববাজারে 

এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বাংলাদেশের আম পৌঁছে গেছে বিশ্বের ২৫টি দেশে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে। মৌসুম শেষে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার টন, যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ।

চলতি মৌসুমে ১৮ মে থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় আম রপ্তানি। ২৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো চীনে রপ্তানি হয় তিন টন আম। এ ঘটনা বাংলাদেশের জন্য এক নতুন বাজার উন্মোচনের বার্তা দেয়। এর আগেও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরবসহ অন্তত ৩৮টি দেশে আম রপ্তানি হতো।

এবারের মৌসুমে দেশের প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ টন আম। সাতক্ষীরার গোপালভোগ দিয়ে শুরু হয়ে এখন দেশের সব প্রধান আম অঞ্চলেই ভরা মৌসুম চলছে।

বাংলাদেশের আম বিদেশে পাঠানোর আগে মান নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউস এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট না পেলে কোনো রপ্তানিকারক আম পাঠাতে পারেন না।

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, আমের মধ্যে যাতে কোনো রোগ বা পোকামাকড় না থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়। প্যাকিং হাউস থেকে প্রক্রিয়াজাত হয়ে রপ্তানি মানের আম বিদেশে যাচ্ছে। ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশের আমের সুনাম বাড়ছে।

এ বছর প্রতি কেজি আম পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ডলারে রপ্তানি হচ্ছে। তবে বিমানের পরিবহন ব্যয় কেজিপ্রতি তিন থেকে চার ডলার। অর্থাৎ লাভ করতে হলে আরও উন্নত ও স্থায়ী রপ্তানি চেইন গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে প্রায় ১৫০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত রয়েছে, যারা এলসি খুলে আম পাঠায়।

রপ্তানিকারকদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আম যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ইউরোপে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বড় জনগোষ্ঠী থাকায় বাংলাদেশের আমের চাহিদা উল্লেখযোগ্য। এই বাজার ধরে রাখতে মান নিয়ন্ত্রণ, বাছাই, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও দ্রুত পরিবহন অত্যন্ত জরুরি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম ল দ শ র আম

এছাড়াও পড়ুন:

ফের রুপালি পর্দায় তানিয়া বৃষ্টি

ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। অভিনয় গুণে দর্শকের কাছে প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। তবে টিভি নাটকের কাজ নিয়েই অধিক ব্যস্ত সময় পার করেন। দীর্ঘ বিরতির পর ফের বড় পর্দায় ফিরছেন এই অভিনেত্রী। 

২০১৫ সালে আকরাম খান পরিচালিত ‘ঘাসফুল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তানিয়া বৃষ্টির। ২০১৯ সালে অভিনয় করেন ‘গোয়েন্দাগিরি’ সিনেমায়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি যুক্ত হচ্ছেন রায়হান খান পরিচালিত ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়। 

আরো পড়ুন:

সিনেমায় জুটি বাঁধলেন ইয়াশ-তটিনী

বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি

পরিচালক রায়হান খান বলেন, “ট্রাইব্যুনাল’ অসাধারণ গল্পের সিনেমা। আমি বিশ্বাস করি, এই সিনেমা দর্শকদের মনে নাড়া দেবে। এটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি কোর্টরুম ড্রামা, যার মধ্যে রয়েছে তীব্র ক্রাইম থ্রিলারের ছোঁয়া। গল্পটি ঘুরে দাঁড়ায় ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনের রাজনীতি ঘিরে।” 

বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে সিনেমাটির গল্প। গম্ভীর এক চরিত্রে দেখা যাবে তানিয়া বৃষ্টিকে। তাছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন—তারিক আনাম খান, মৌসুমী হামিদ, আদর আজাদ, রাকিব হোসেন ইভান, সায়রা আক্তার জাহান প্রমুখ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ