Samakal:
2025-06-19@09:45:07 GMT

বাংলাদেশের আম বিশ্ববাজারে 

Published: 19th, June 2025 GMT

বাংলাদেশের আম বিশ্ববাজারে 

এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বাংলাদেশের আম পৌঁছে গেছে বিশ্বের ২৫টি দেশে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে। মৌসুম শেষে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার টন, যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ।

চলতি মৌসুমে ১৮ মে থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় আম রপ্তানি। ২৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো চীনে রপ্তানি হয় তিন টন আম। এ ঘটনা বাংলাদেশের জন্য এক নতুন বাজার উন্মোচনের বার্তা দেয়। এর আগেও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরবসহ অন্তত ৩৮টি দেশে আম রপ্তানি হতো।

এবারের মৌসুমে দেশের প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ টন আম। সাতক্ষীরার গোপালভোগ দিয়ে শুরু হয়ে এখন দেশের সব প্রধান আম অঞ্চলেই ভরা মৌসুম চলছে।

বাংলাদেশের আম বিদেশে পাঠানোর আগে মান নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউস এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট না পেলে কোনো রপ্তানিকারক আম পাঠাতে পারেন না।

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, আমের মধ্যে যাতে কোনো রোগ বা পোকামাকড় না থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়। প্যাকিং হাউস থেকে প্রক্রিয়াজাত হয়ে রপ্তানি মানের আম বিদেশে যাচ্ছে। ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশের আমের সুনাম বাড়ছে।

এ বছর প্রতি কেজি আম পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ডলারে রপ্তানি হচ্ছে। তবে বিমানের পরিবহন ব্যয় কেজিপ্রতি তিন থেকে চার ডলার। অর্থাৎ লাভ করতে হলে আরও উন্নত ও স্থায়ী রপ্তানি চেইন গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে প্রায় ১৫০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত রয়েছে, যারা এলসি খুলে আম পাঠায়।

রপ্তানিকারকদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আম যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ইউরোপে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বড় জনগোষ্ঠী থাকায় বাংলাদেশের আমের চাহিদা উল্লেখযোগ্য। এই বাজার ধরে রাখতে মান নিয়ন্ত্রণ, বাছাই, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও দ্রুত পরিবহন অত্যন্ত জরুরি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম ল দ শ র আম

এছাড়াও পড়ুন:

কিন্ডারগার্টেনের ফি নেওয়ার নীতিমালা থাকা উচিত: উপদেষ্টা

বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিষয়ে একটি নীতিমালা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, “কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই একটি নীতিমালা হওয়া উচিত, যাতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো ফি নিতে না পারে। তাদের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি কেমন হবে, তা-ও সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।”

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পিটিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা। এতে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক, উপজেলা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং পিটিআইর ইনস্ট্রাকটররা অংশ নেন।

এ সময় তারা প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, শ্রেণিকক্ষের আধুনিকায়ন, পাঠদানের মানোন্নয়ন, মিড ডে মিল চালু করা, আইসিটির মানোন্নয়ন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং বিনামূল্যে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীরা কিন্ডারগার্টেনগুলোকে নীতিমালার মধ্যে আনার বিষয়ে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভাষায় বই পড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং শিক্ষকদের টিচার্স গাইড অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ