রায়ানের বয়স আট বছর। চুপচাপ, ভীতু আর একটু বেশি ভাবুক। বেশ কয়েকদিন ধরে রাতে তার ঘুমই আসে না! জানালার বাইরের বাগানে একটা বড় আমগাছ আছে। ওই গাছটার দিকে তাকালেই তার মনে হয়, কেউ একজন তাকিয়ে আছে!
এক রাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো। মা রান্নাঘরে। বাবা অফিসের ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত।
রায়ান ফিসফিস করে বাবাকে বলে, বাবা, ওই আমগাছটার নিচে কে দাঁড়িয়ে থাকে রোজ রাতে?
বাবা হেসে বললেন, কে আবার? হয়তো রাতজাগা কোনো পাখি।
না না; আমার মনে হয় ওটা ভূত। একদিন দেখেছি, ওর চোখ লাল হয়ে জ্বলে উঠেছিলো।
বাবা এবার গম্ভীর হলেন। ল্যাপটপ বন্ধ করে বললেন, চলো, একবার দেখে আসি।
এতো রাতে বাইরে যাবো?
আমরা দুইজন আছি। তুমি তো আমার বীর যোদ্ধা!
রায়ান কিছুক্ষণ মাথা নেড়ে বললো, ঠিক আছে, কিন্তু তুমি আগে হাঁটো।
দুজন টর্চ হাতে বাগানের দিকে গেলো। আমগাছটার নিচে গিয়ে রায়ান বাবার হাত শক্ত করে চেপে ধরলো।
হঠাৎ বাবা বললেন, ওই দেখো, ওখানে ভূত!
রায়ান ভয়ে বাবার পেছনে লুকোলো। কিন্তু একটু পরে শুনলো, বাবা হাসছেন।
এই যে ভূতটা দেখছো সেটা আসলে তোমার পুরোনো ছাতা! জানো, বাতাসে সেটি ওড়ার মতো লাগছিলো।
রায়ান কৌতূহলী হয়ে ছাতাটার দিকে তাকালো। সত্যিই তো; কালো ছাতা আর লাল রিফ্লেক্টর! দূর থেকে দেখলে একদম ভূতের মতো।
বাবা বললেন, ভয় একবার ধরে বসলে, তখন পাথরও ভূত মনে হয়। আসল ভূত হচ্ছে ভয় নিজেই!
রায়ান একটুও ভয় পাচ্ছিলো না তখন। সে বললো, তাহলে আমি ভয়কে ভয় পাই না!
বাবা বললেন, ভয়কে জিততে হলে জানতে হয় ভয়ের পোশাকের নিচে কী আছে। আমরা আজ সেটি জেনে গেছি।
সেই রাতের পর রায়ান আর ভয় পায় না। আমগাছের ছায়াকে এখন সে ডাকে ‘ভূত মামা’ নামে। আর তার বাবা? সে এখন রায়ানের ভয়বিজয়ী হিরো! n
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় দুই বছর কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমা
জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় প্রমাণ পাওয়া গেলে দুই বছর কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন:
সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায়: তথ্য উপদেষ্টা
বেতারকে শক্তিশালী করতে ব্যবস্থা নেবে সরকার: তথ্য সচিব
এতে বলা হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর ২০ ধারা অনুযায়ী সাইবার স্পেসে জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত হবেন।
সদ্য জারি হওয়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫-এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা অন্য কোনো সংস্থা সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল বা অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে, অনলাইনে, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তাহলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর ধারা ২০ অনুযায়ী বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া, অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে।
জুয়া খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনলাইন জুয়ার সব গেটওয়ে, অ্যাপ্লিকেশন, লিংক, ওয়েবসাইট এবং বিজ্ঞাপন জনস্বার্থে জরুরিভিত্তিতে বন্ধ, ব্লক বা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অবহিত করা হচ্ছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ