চীনে আম রপ্তানি শুরু করছে বাংলাদেশ
Published: 18th, May 2025 GMT
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু করছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো চীনে আম রপ্তানির বিষয়ে এ মাসে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি সই হতে যাচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গতকাল রোববার দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আম রপ্তানির বিষয়ে কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চীনে আমসহ কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণসহ নানা কারণে ছয় বছর পর দেশটিতে আম রপ্তানির উদ্যোগ সফল হতে চলেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আম উৎপাদিত হয়েছে ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২১ টন। বাংলাদেশ থেকে গত বছর ২১টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইতালি ও সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ রয়েছে।
জানা গেছে, চীনের রাষ্ট্রদূত গতকাল সকালে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনার সময় কাঁঠাল রপ্তানির বিষয়ে বেইজিংয়ের আগ্রহের বিষয়টি তোলেন। ইয়াও ওয়েন আশা প্রকাশ করেছেন, চীনে কৃষিপণ্য রপ্তানির শর্ত পূরণ করে আগামী বছর থেকে বাংলাদেশ থেকে কাঁঠাল যাওয়ার পথ সুগম হবে।
চীনে যেকোনো খাদ্যপণ্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টম অব চায়না (জিএসিসি) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। জিএসিসি গত বছরের জুলাইয়ে আম রপ্তানির নিবন্ধন দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ এখনো কাঁঠাল ও পেয়ারা রপ্তানির অনুমোদন এখনো পায়নি জিএসিসি থেকে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কাঁচা চামড়া আমদানির বিষয়েও কথা বলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
যানবাহনে ওঠার দোয়া
ইসলামে জীবনের প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট দোয়া ও জিকির রয়েছে, যা মুমিনকে আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত রাখে এবং তাঁর সুরক্ষা প্রার্থনার সুযোগ করে দেয়। যানবাহনে ওঠার দোয়া এমনই একটি ফজিলতপূর্ণ আমল, যা যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আল্লাহর রহমত কামনায় পড়া হয়।
যানবাহনে ওঠার দোয়াযানবাহনে উঠার সময় রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া পড়া সুন্নাহ। এই দোয়া যাত্রার নিরাপত্তা, আল্লাহর সুরক্ষা এবং যাত্রার কল্যাণ কামনা করে। নিচে দোয়াটি দেওয়া হলো:
মূল দোয়া
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) যখন কোনো যানবাহনে (যেমন উট, ঘোড়া) উঠতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন:
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন।
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। পবিত্র তিনি, যিনি এই যানবাহনকে আমাদের জন্য বশীভূত করেছেন, যা আমরা নিজেরা বশ করতে পারতাম না। আর নিশ্চয়ই আমরা আমাদের প্রভুর কাছে ফিরে যাব। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৪৬)
পড়ার নিয়ম:
যানবাহনে উঠার সময় প্রথমে “বিসমিল্লাহ” বলা।
তারপর উপরের দোয়া পড়া।
দোয়া পড়ার পর তিনবার “আল্লাহু আকবার” এবং তিনবার “আলহামদুলিল্লাহ” বলা।
দোয়া পড়ার সময় আন্তরিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা।
আরও পড়ুননবীজি (সা.)–এর দোয়া০১ মে ২০২৫অতিরিক্ত দোয়া
যাত্রার সময় সুরক্ষার জন্য অন্যান্য দোয়াও পড়া যায়, যেমন:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ফি সাফারি হাজা আল-বিররা ওয়াত তাকওয়া, ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি এই যাত্রায় তোমার কাছে পুণ্য ও তাকওয়া এবং এমন আমল কামনা করি, যা তুমি পছন্দ করো। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩৪৫)
যানবাহনে উঠার দোয়ার ফজিলত অপরিসীম। হাদিসে এর গুরুত্ব ও পুরস্কার সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি যানবাহনে ওঠার সময় এই দোয়া পড়ে, আল্লাহ তাকে যাত্রার ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০২)
আধুনিক জীবনে যানবাহনের ধরন বদলেছে—উট বা ঘোড়ার পরিবর্তে এখন গাড়ি, বাস, ট্রেন, বিমান বা জাহাজ ব্যবহৃত হয়। তবে যানবাহনে ওঠার দোয়া সব ধরনের যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, “তিনিই তিনি, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বশীভূত করেছেন।” (সুরা জাসিয়া, আয়াত: ১৩)
দোয়ার মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে এবং তাঁর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করে। হাদিসে এই দোয়াকে যাত্রার নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুননববিবাহিতদের জন্য তিনটি দোয়া২১ জুলাই ২০২৫