ডালে ডালে ঝুলছে বাহারি সব আম। চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামের পরিত্যক্ত ইটভাটার জমিতে গড়ে তোলা বাগানটিতে আছে ৫৭ জাতের বিদেশি আম, এমনটাই দাবি মালিকের। শুধু আম নয়, আছে শতাধিক প্রজাতির ফল।
‘ফ্রুটস ভ্যালী এগ্রো’ নামের এই বাগানের মালিক শৌখিন ফলচাষি হেলাল উদ্দিন। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে তাঁদের পরিত্যক্ত দুটি ইটভাটার জমি অনাবাদি পড়ে ছিল। চার বছর আগে এই জমিতে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে ফলের চারা রোপণ করেন তিনি। এখন সেখানে প্রায় ৩ একর জায়গায় তৈরি হয়েছে পুরো একটি বাগান।
গত শনিবার বিকেলে বাগানটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় আড়াই শটি গাছে থোকায় থোকায় আম ঝুলছে। অধিকাংশ আম এখনো অপরিপক্ব। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পাকতে শুরু করবে বলে জানান হেলাল। গত বছর বাগানটি থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকার আম বিক্রি হয়েছিল। এবার আট লাখ টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি।
হেলাল উদ্দিনের বাগানে আমের মতোই এগুলোর নামেরও বৈচিত্র্য আছে। যেমন ভ্যালেন্সিয়া প্রাইড, লেমনজেস্ট, রোসারোসা, আতাউল্ফ, কারাবাও, আলফানসো, মায়া, হাডেন, সেনসেশন, আর-টু ই-টু, ক্যাংসিংটন প্রাইড, মিয়াজাকি, ব্ল্যাকস্টোন, জাম্বো রেড চাকাপাত, নামডকমাই, এসআর ম্যাংগো, ফ্রাংসিস, ব্রুনাই কিং, কেষার, মল্লিকা, তোতাপুরি, হানিডিউসহ আরও অনেক নাম। এগুলোর অধিকাংশই মিষ্টি, সুস্বাদু ও রসালো।
চাঁদপুর সদরের হেলাল উদ্দিনের বাগানে আছে ৫৭ জাতের বিদেশি আম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব গ নট
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে একসঙ্গে তিন মেয়ের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় একসঙ্গে তিন মেয়ের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার সকালে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়। তিন নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক স্বরূপ গোলদার প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম থেকেই ওই রোগী তাঁদের ফলোআপে ছিল। আজ সকালে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এখন মা ও তাঁর সন্তানেরা সুস্থ আছেন।
হাসপাতাল ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন বছর আগে লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামের খন্দকার সজীব হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয় আলপনা খানমের। আজ সকালে প্রসূতি ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে লোহাগড়া উপজেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তানদের ঝুঁকির কথা ভেবে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে স্বরূপ গোলদার অস্ত্রোপচার করেন। তিনি তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম এবং সন্তানদের সুস্থ দেখে খুশি গৃহবধূর পরিবার। তাঁর স্বামী খন্দকার সজীব হাসান বলেন, ‘বিয়ের তিন বছর পর আমাদের ঘরে তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। আমি এবং আমার পরিবার এতে অনেক খুশি। আমার বাচ্চাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’