গরমে দ্রুত পেকে যাচ্ছে সব আম, ঈদের জন্য ‘মানুষ খাচ্ছে কম’
Published: 10th, June 2025 GMT
রাজশাহীতে আমের সবচেয়ে বড় হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে। ঈদের পর এই হাটের আমের বাজার বসানো হয়েছে একটি কলেজ মাঠে। গতকাল সোমবার বিকেলে হাটে ঢুকতেই দেখা গেল, একজন আম বিক্রেতা মুঠোফোনে অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে বলছেন, ‘তরে কইছিলাম না যে আম নামাবি না। এখন বাজারে তো দাম কয় না।’
ফোন রাখার পর আলাপে জানা গেল তাঁর নাম মনজুর মিয়া। আমের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে আজকের (সোমবার) আমের বাজার সবচেয়ে কম। ক্ষীরশাপাতির (হিমসাগর) দামই বলে না ক্রেতারা। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ। গত বছর এই দিনে এই আম আড়াই হাজার টাকাতেও পাওয়া যায়নি। ঈদের আগেও ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। এখন আম না পেড়ে উপায় ছিল না। দুই বিঘা আয়তনের বাগানের আম কিনেছেন। সব আম পেকে পড়ে যাচ্ছে।
সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বানেশ্বর হাটে মনজুর মিয়ার মতো বেশ কয়েকজন আম বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, এবার রাজশাহীতে আমের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া ছিল। মুকুলও বেশি ছিল। মুকুল থেকে আমের গুটিও হয়েছিল বেশি। এবার তাই অন্যবারের চেয়ে আমের ফলন ভালো। এ বছর আমের মৌসুমে পড়ে গেছে কোরবানির ঈদ। গত বছরও পড়েছিল। তবে আম কম ছিল। প্রচণ্ড রোদ আর গরম থাকায় ঈদের আগে-পরে সব আম পরিপক্ব হয়ে গেছে। একসঙ্গে আম পাকতে শুরু করায় সবাই আম পাড়তে শুরু করেছেন। অন্যদিকে ক্রেতাও নেই। এ কারণে আমের বাজারে ধস নেমেছে।
১৫ ক্রেটে ৭ মণের মতো আম নিয়ে এসেছিলেন মো.
মো. জালাল নামের একজন বলেন, ‘এবার আমের দাম সর্বনিম্ন। আম লওয়ার লোক নেই। দাম বলছেই না। এবার সব ব্যবসায়ীর লস। ঈদের আগেও বাজার এত কম ছিল না। আজকে বারো শ টাকা মণ হিমসাগর আম। আর ল্যাংড়া আমের দাম বলে এগারো শ টাকা। এই দামে বিক্রি করলে সার, ওষুধ, শ্রমিকের দামই উঠবে না।’
আম নিয়ে চলছে ক্রেতা–বিক্রেতার দর–কষাকষি। সোমবার বিকেলে রাজশাহীর বানেশ্বরে আমের হাটেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ব জ র স মব র
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইরাল ছবিটি নিয়ে যা জানা গেল
উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে গতকাল রোববার স্পেনকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে একাধিকবার উয়েফা নেশনস লিগ জিতল পর্তুগাল। উত্তেজনাকর এই ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়। যা নিয়ে ব্যাপক ট্রল করেন নেটিজেনরা। ছবিটিতে আসলে কি ছিল আর ছবিটি কোন দলের সমর্থকের? যা নিয়ে এতো আলোচনা-সমালোচনা চলছে-
ভাইরাল এই ছবিতে দেখা যায়, স্পেনের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এক সমর্থক উচ্ছ্বাস করছেন। তার পাশে রয়েছেন এক নারী, তিনিও স্পেনের জার্সি পরিহিত। তবে সেই পুরুষের জার্সির নিচে আরেকটি সাদা ও নীল ডোরাকাটা জার্সি রয়েছে। যা উচ্ছ্বাসের সময় দেখা যায়। নেটিজেনরা প্রশ্ন করেন- তিনি কি প্রকৃতপক্ষে একজন আর্জেন্টাইন ফ্যান। বউয়ের চাপে স্পেনের সাপোর্ট করছেন? এ নিয়ে আর্জেন্টাইন ভক্তরা নানা ট্রল করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিড ডট কমে সর্বপ্রথম এই ছবিটি পোস্ট করা হয়। সেখানে কটাক্ষ করে লেখা হয় দ্য মোস্ট ওয়েল স্প্যানিশ ফ্যান। এরপর ছবিটি বাংলাদেশেও ব্যাপক ভাইরাল হয়। দেশের আর্জেন্টাইন ফ্যানরা এটি নিয়ে নানা ট্রল করেন।
পরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবির ব্যক্তিটি আসলে একজন স্প্যানিশ। তিনি স্পেনের সমর্থক। বউয়ের চাপে বা কোনো নারীর চাপে পড়ে তার আর্জেন্টাইন স্বত্ত্বাকে চাপা দিয়েছেন- বিষয়টি এমন নয়। জার্সিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, নীল-সাদা রঙের জার্সিটি দেখতে আর্জেন্টিনার জার্সির মতো হলেও এর ডোরাকাটার সঙ্গে মিল নেই। আর জার্সির বুকের অংশে কালো লোগো দেখেও বোঝা যায় যে, এটি আর্জেন্টিনার জার্সি নয়। এটি মূলত স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাবের; লা লিগার ক্লাব মালাগার হোম জার্সি।