আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কথা হচ্ছিল নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানীর সঙ্গে। জানালেন, মানিকগঞ্জে আছেন। নিজের রেস্টুরেন্টে সময় দিচ্ছেন। তবে বিকেলে থেকে একটা বিষয় নিয়ে তিনি ভীষণ বিরক্ত। সে প্রসঙ্গ মনে করে সানী বললেন, কে বা কারা তাঁকে আম ব্যবসায়ী বানিয়ে দিয়েছেন। অথচ তিনি নাকি আমের ব্যবসা করছেন না। এ নিয়ে ফোনের ওপার একনাগাড়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়ে গেলেন।

একসময়ের ব্যস্ত ও জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। হঠাৎ হঠাৎ তাঁকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খবরে পাওয়া যায়। তবে এখন তিনি পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছেন। শুরুতে ঢাকা শহরে রেস্টুরেন্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও এখন ঢাকার বাইরে নিয়ে গেছেন এই ব্যবসা। দিন দিন ওমর সানীর সেই রেস্টুরেন্টে বিক্রি বাড়ছে। এটা উপভোগ করছেন নব্বই দশকের এই তারকা। এর মধ্যে খবর চাউর হয়, আমের ব্যবসা করছেন।

শুক্রবার কথা প্রসঙ্গে ওমর সানী বললেন, ‘আমার এক আত্মীয় আমের ব্যবসা করছেন। আমি তাঁকে সহযোগিতা করছি। সহযোগিতা করতেই আমি ওদের পেজ শেয়ার করেছি। তবে ভবিষ্যতে আমের ব্যবসা মন চাইলে করতেও পারি। আমি মনে করি, ব্যবসা করা দোষের কিছু নয়। সৎভাবে যেটাই করব, সেটাই আনন্দের, কোনো চুরি তো করছি না।’  

ওমর সানী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র ব যবস ওমর স ন করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।

এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে  ১ হাজার ২৫৯  ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ