2025-05-29@00:49:36 GMT
إجمالي نتائج البحث: 16

«ক রআন আরব»:

    পবিত্র কোরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। এর পেছনে যে গভীর তাৎপর্য রয়েছে, কোরআনের বিভিন্ন আয়াতেই তার ব্যাখ্যা করেছে।মহানবী (সা.)–এর সম্প্রদায়ের ভাষামহানবী (সা.) আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রথম শ্রোতা ছিলেন মক্কা ও তার আশপাশের আরব সম্প্রদায়। তাই তাদের কাছে আল্লাহর বাণী স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোরআন আরবি ভাষাতেই নাজিল হয়। কোরআনে আছে, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার সম্প্রদায়ের ভাষায় পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বাণী স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পারে।’ (সুরা ইব্রাহিম, আয়াত: ৪)কোরআনের আরেকটি আয়াতে আছে, ‘নিশ্চয়ই আমি এটিকে আরবি কোরআন করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত: ৩)এই আয়াত স্পষ্ট করে, প্রত্যেক নবী তাঁর সম্প্রদায়ের ভাষায় বাণী নিয়ে এসেছেন, যাতে মানুষ সহজে তা বুঝতে পারে। মক্কার লোকদের জন্য আরবি ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম।কোরআন আরবি ভাষায় না হলে মক্কার লোকেরা...
    ‘ইস্তিখারা’ আরবি শব্দ যার অর্থ আল্লাহর কাছে কোনো কাজ বা সিদ্ধান্তের জন্য কল্যাণ ও হিদায়াত প্রার্থনা। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) আমাদের কোরআনের সুরা শেখানোর মতো সকল বিষয়ে ইস্তিখারার পদ্ধতি শিখিয়েছেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৬৬)ইস্তিখারার আগে নিজে চিন্তাভাবনা করা এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত, বিশেষ করে বিয়ে, চাকরি বা বিনিয়োগের মতো বড় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এবং তাদের সঙ্গে বিষয়ে পরামর্শ করো। তারপর যখন তুমি সিদ্ধান্ত নাও, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯) ইস্তিখারার পদ্ধতিইস্তিখারা করা অত্যন্ত সহজ।১. প্রথমে দুই রাকাত নফল নামাজ: নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যদি কেউ কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিতে চায়, তবে সে ফরজ নামাজ ছাড়া দুই রাকাত নামাজ পড়বে এবং তারপর দোয়া করবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৬২)২. ইস্তিখারার...
    আল্লাহ কোরআনকে আরবি ভাষায় নাজিল করেছেন। আবার যেকোনো ভাষায় তা বোঝা সহজ করেছেন। এই লেখায় আমরা এমন সাতটি উপায় নিয়ে আলোচনা করব, যার মাধ্যমে আরবি না পড়তে বা না বুঝতে পারলেও কোরআনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায়। ১. উপযুক্ত অনুবাদ নির্বাচন করুনআপনার মাতৃভাষায় কোরআনের চমৎকার অনুবাদগুলো খুঁজে বের করুন। বিভিন্ন অনুবাদ পড়ে দেখুন কোনটি আপনার কাছে সহজবোধ্য ও হৃদয়গ্রাহী। শব্দ-শব্দ অনুবাদ ব্যবহার করলে কোরআনে বারবার ব্যবহৃত শব্দগুলোর অর্থ মনে রাখা সহজ হবে। একাধিক অনুবাদের তুলনামূলক পাঠ আয়াতের গভীর অর্থ উন্মোচনে সহায়ক। আজকাল ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ পাশাপাশি দেখার সুবিধা রয়েছে। ২. কোরআন তিলাওয়াত শুনুনআয়াতের অর্থ না বুঝলেও কোরআনের তিলাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শোনা আধ্যাত্মিক উপকার বয়ে আনে। কোরআনের তিলাওয়াতের কয়েকটি ফজিলত হলো:শিফা ও রহমত: ‘আমি কোরআন থেকে এমন কিছু...
    বাংলাদেশের সমাজে আজো এমন একটি ব্যাখ্যা প্রচলিত, যেখানে পবিত্র কোরআনের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিধানকে ব্যাখ্যা করা হয় এভাবে: “নারী কম পায় কারণ সে দেনমোহর পায়, আর পুরুষ বিয়ে করতে গিয়ে খরচ করে।”  ব্যাখ্যাটি যেন সরলীকরণের এক চরম উদাহরণ! এতে কোরআনের গভীর সমাজব্যবস্থার রূপরেখা এবং নারীর মর্যাদা বোঝার বদলে আমরা মুখস্থ কিছু বুলি আওড়াই। অথচ ইসলাম নারীকে কেবল উত্তরাধিকারীই বানায়নি, তাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির পূর্ণ মালিকানাও দিয়েছে, যা সপ্তম শতকের আরব সমাজে ছিল এক বৈপ্লবিক ঘটনা। ইসলাম আগমনের আগে আরবের অধিকাংশ পরিবারে নারীর উত্তরাধিকার বলতে কিছু ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে নারী ছিল সম্পত্তির অংশ—পুরুষের মালিকানাধীন এক জীব। এমন এক সমাজে কোরআনের ঘোষণা ছিল ঝড়ের মতো: “পুরুষদের জন্য যা পিতা-মাতা ও আত্মীয়রা রেখে গেছে, তার একটি অংশ আছে; আর নারীদের জন্যও...”...
    সুরা কুরাইশ পবিত্র কোরআনের ১০৬তম সুরা। এ সুরায় বলা হয়েছে, মক্কার কুরাইশরা শীত ও গ্রীষ্মকালে বাণিজ্য উপলক্ষে দেশ ভ্রমণ করতেন। তাদের আল্লাহ ক্ষুধায় খাদ্য ও ভয়ভীতি থেকে নিরাপত্তা দান করেছেন। তাই তাদের উচিত কাবাগৃহের প্রতিপালকের উপাসনা করা। সুরা কুরাইশের অর্থ আবার দেখে নিই: পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে। ১. কুরাইশদের সংহতির জন্য, ২. শীত ও গ্রীষ্মের সফরে তাদের সংহতির জন্য, ৩. তাদের উপাসনা করা উচিত এই কাবাগৃহের প্রতিপালকের, ৪. যিনি তাদের ক্ষুধায় খাদ্য দান করেছেন এবং নিরাপত্তা দান করেছেন ভয়ভীতি থেকে। সুরা কুরাইশের মূল কথা:প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে যে কুরাইশরা যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়, তাদের ঐক্য ও সংহতি যেন বজায় থাকে। দ্বিতীয় আয়াতে শীত ও গ্রীষ্মের সফরেও তাদের সংহতির কথা বলেছেন। ‘রিহলাহ’ শব্দ ব্যবহার করেছেন আল্লাহ। এর অর্থ এমন ভ্রমণ, যাতে বাণিজ্য...
    আরবি ভাষার রূপ মোট তিনটি। ধ্রুপদি আরবি, আধুনিক লেখ্য আরবি ও আধুনিক কথ্য বা চলতি আরবি। ধ্রুপদি আরবি ষষ্ঠ শতক থেকে প্রচলিত ও এটিই কোরআনের ভাষা। ইতিহাসে কোরআনের আরবি বা ধ্রুপদি আরবির কবিদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কবি আল-মুতানাব্বি ও ইবনে খালদুন ধ্রুপদি আরবির বিখ্যাত কবি ছিলেন। আধুনিক লেখ্য আরবিতে আধুনিক শব্দ যোগ হয়েছে ও অতি প্রাচীন শব্দগুলি বর্জন করা হয়েছে, কিন্তু এ সত্ত্বেও ধ্রুপদি আরবির সঙ্গে এর পার্থক্য খুব বেশি নয়।সমাজে আল্লাহ্ সচেতন এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা সরাসরি কোরআন পড়ে বুঝতে চান; কোরআনকে সরাসরি বুঝে বুকে ধারণ করতে চান; কোরআনের আলোয় আলোকিত হয়ে জীবন গড়তে চান। তাদের জন্য খুব সহজে কোরআন বোঝার পাঁচটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো: ১. কোরআনের মধ্যে ব্যস্ত থাকুনকোরআনের মধ্যে নিজেকে বেশি ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।...
    মুসলিমদের জীবন বিধানের সকল মূলনীতি কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর তোমার ওপর যে কিতাব (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে ‎তাতে রয়েছে সকল বিষয়ের বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৮৯)দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ দেশের মুসলিমদের কোরআন দেখে শুদ্ধ করে পড়ার প্রতি গুরুত্ব থাকলেও ইসলামি জীবন বিধানের মৌলিক উৎস কোরআন বোঝার ব্যাপারে অধিকাংশ মুসলিমই উদাসীন। অনেকে ভাবেন, অধিকাংশ মানুষ বিশুদ্ধ করে কোরআন পড়তে জানে না, সেখানে কোরআনের মর্মার্থ অনুধাবন নিয়ে কথা বলতে যাওয়া একটি বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ কোরআন বোঝা কঠিন কিছু নয়, সহজ।কোরআন নাজিল হয়েছে আরবি ভাষায়। এর শব্দবিন্যাস, ছন্দ, সৌন্দর্য, ব্যঞ্জনা, অন্তর্নিহিত শক্তি ও গভীরতা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। তবে কোরআন যেহেতু দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের হেদায়েতের জন্যই নাজিল...
    ইসলামি ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী জিন হলো অগ্নি দেহী, বুদ্ধিমান অদৃশ্য জীব। আল্লাহর আদেশ পালনের জন্যই তাদের সৃষ্টি। তারা প্রয়োজনে নানা আকার ধারণ করতে পারে। পবিত্র কোরআনের অনেক সুরায় জিনের উল্লেখ আছে। যেমন ‘সুরা জারিয়াত’-এর ৫৬ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘আমার সেবার জন্যই আমি মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছি।’আরবি ‘জিন্ন’ থেকে জিন শব্দটি এসেছে। জিন্ন অর্থ আচ্ছন্ন বা মোহাবিষ্ট করা। কারও ওপর পাগলামি ভর করলে চলতি ভাষায় তাকে বলে ‘মজনু’, যার মূল শব্দ মাজনুন বা ভূতগ্রস্ত। মানে যাকে জিন আছর করেছে।এর আরেকটি অর্থ ‘আবরণ’। জিন শব্দের ধাতু থেকে উৎপন্ন সব শব্দেই আবরণের অর্থ পাওয়া যায়। জিন ও মানুষের মাঝে টেনে দেওয়া হয়েছে আবরণ। ফলে মানুষ তাদের দেখতে পায় না, কিন্তু তারা ঠিকই মানুষকে দেখতে পায়। আল্লাহ তায়ালা জিন ও শয়তানদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে...
    জেরুজালেমে জন্মগ্রহণকারী তারিফ খালিদি একজন আরবি ভাষা, ইসলাম ও মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বিশেষজ্ঞ। ৮৬ বছর বয়সী এই পণ্ডিত এখন লেবাননে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের শেখ জায়েদ চেয়ার ইন অ্যারাবিক ও ইসলামিক স্টাডিজের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর হাত দিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফের একটি নতুন ইংরেজি তরজমা প্রস্তুত হয়েছে। প্রকাশ করেছে বিখ্যাত পেঙ্গুইন প্রকাশনা সংস্থা।কোরআনের ইংরেজি অনুবাদের ইতিহাস প্রায় ৩০০ বছরের। এর মধ্যে জর্জ সেলের অনূদিত দ্য কোরআন, কমনলি কলড দ্য আলকোরান অব মুহাম্মদ প্রকাশিত হয় আজ থেকে ২৯০ বছর আগে। এটিই প্রথম সরাসরি আরবি থেকে ইংরেজি অনুবাদ, যা লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে যত ইংরেজি অনুবাদ হয়েছে, তার বড় অংশই সেলের অনুবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে বলে খালিদি তাঁর অনূদিত কোরআনের ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন। আরও পড়ুনইসলামী সভ্যতার পনেরোটি নগরের কাহিনী২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩আবার ১৯৫৪...
    পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদুল হারামে গতকাল শুক্রবার ২৯ রোজার রাতে একত্রে নামাজ আদায় করেছেন ৪ দশমিক ১ মিলিয়নের (৪১ লাখ) বেশি মুসল্লি ও ওমরাহ পালনকারী।পবিত্র রমজান মাসের এ রাতে এ মসজিদে অনুষ্ঠিত খতমে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত শেষ (খতম আল–কোরআন) করা হয়।সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল–রাবিয়াহ জানান, মসজিদুল হারামে এ রাতে এশা ও তারাবিহ নামাজে অংশ নিয়েছেন ৩ দশমিক ৪ মিলিয়নের (৩৪ লাখ) বেশি মুসল্লি। তাঁদের সঙ্গে অংশ নেন আরও ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৬০০ ওমরাহ পালনকারী।এর বাইরে এদিন প্রায় ২৮ হাজার ২০০ জন মুসল্লি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে চলাচলের সুবিধা ও ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ জন অবস্থান নির্দেশক সেবা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি ৪২ হাজারের বেশি জমজমের পানিভর্তি বোতল ও ৭ লাখ ২ হাজার রোজাদারের...
    সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শেষ হলো তিলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা। শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির আজমান উম্মুল মোমেনীন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী পর্বে ২৫ জনের মধ্যে তিনটি আলাদা বিভাগে নয়জন প্রতিযোগী বিজয়ী হন। বিজয়ীদের শিক্ষা উপকরণ সহ প্রায় ৩ লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় ছোটদের বিভাগের বিজয়ী হয়- আয়শা আক্রাম, উম্মে সাওদা, জাহরা মোবারক; বড়দের বিভাগে- রায়ান মোহাম্মদ, আব্দুল আল নোমান, মিনহাজুল ইসলাম মুর্শেদ এবং হিফজ বিভাগে- নাজিহা নাউফা, আব্দুল কায়ুম, ফাতেমা তাবাসসুম সামিহা বিজয়ী হয়। আয়োজকরা জানান, প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশুকিশোরদের পবিত্র কোরআন ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে রমজানে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে কেবল দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা অংশ নিতে পারেন। এই পর্যন্ত প্রতিযোগিতার ছয়টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।...
    প্রখ্যাত স্কটিশ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম মন্টেগমেরি ওয়াট রচিত মুহাম্মদ অ্যাট মক্কা এবং মুহাম্মদ অ্যাট মদিনা বই দুটি প্রকাশের পর লেখক আবার এই বই দুটি মিলিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে আরেকটি বই রচনা করেন। সেটির শিরোনাম মুহাম্মদ: প্রফেট অ্যান্ড স্টেটসম্যান। এটি ছোট পরিসরে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও কাজের একটি ধারাবাহিক ও বিশ্লেষণধর্মী পরিক্রমা।এডিনবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামি অধ্যয়ন বিষয়ের এমিরেটাস প্রফেসর ওয়াট এ বইয়ের দশটি মূল অধ্যায়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরেছেন। অধ্যায়গুলো হলো—প্রতিভাবান এতিম, নব্যুয়তের ডাক, বিরোধিতা ও প্রত্যাখ্যান, মদিনায় হিজরত, মক্কাবাসীর উসকানি, মক্কাবাসীর ব্যর্থ প্রত্যাঘাত, মক্কা বিজয়, আরবের শাসক এবং মূল্যায়ন।বইটিতে লেখক মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও কর্ম তথা ইসলামের অভ্যুদয়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। এখানে বিস্তারিত ও খুঁটিনাটি বিবরণ ও বর্ণনা বাদ...
    ঘরে বসেই মুঠোফোনে মদিনার মসজিদে নববির ভেতর-বাইরে ঘুরে দেখা যাবে। শারীরিক, আর্থিক বা অন্য কারণে যাঁরা মদিনার মসজিদে নববিতে যেতে পারবেন না, তাঁরাও মসজিদে নববির ভেতর-বাইরে দেখার সুযোগ পাবেন। ঘরে বসে ভার্চ্যুয়াল মসজিদে নববি ঘুরে দেখার জন্য এই ঠিকানার (https://vr.qurancomplex.gov.sa/msq/) ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ভার্চ্যুয়াল মসজিদে নববি দেখার সময় আজানসহ পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শোনা যাবে। মসজিদে নববি প্রাঙ্গণে থাকা উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে ত্রিমাত্রিক ছবি দেখা যাবে এবং দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে আরবির পাশাপাশি ইংরেজি, ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষায়ও তথ্যগুলো পড়তে পারবেন।বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রবেশের পর মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারকের সামনের ও পাশের অংশ দেখতে পাবেন ভার্চ্যুয়াল ভ্রমণকারীরা। মসজিদে নববির বেশ কয়েকটি প্রবেশপথ রয়েছে। আল সালাম গেট, জিবরাইল গেট, আবু বকর আল সিদ্দিক গেট, আল...
    আজ আমরা যে সমৃদ্ধ পৃথিবীকে দেখি, একটা সময় পৃথিবী এমন ছিল না। আজ শান্তি ও সৌহার্দ্যে জীবন যাপন করছে বিপুল মানুষ, শিক্ষা, গবেষণা ও নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা, জীবনকে আরও মধুর, মনোরম ও পরিশীলিত করতে উদ্‌গ্রীব উঠছি—একসময় এতটা সহিষ্ণু ছিল না পৃথিবী, অসভ্য কলহের হাতে জর্জরিত হয়েছে তখন বিশ্ব। মানবজাতি আত্মধ্বংসের দিকে ঝুঁকছিল এবং নিজেদের অপকর্মের কারণে টিকে থাকার সব অধিকার হারিয়েছিল। মানুষ তখন উন্মত্ত ও হিংস্র পশুর মতো আচরণ করেছিল। সব সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য, শালীনতা, নৈতিকতা এবং নাগরিক আইনকানুন ভেসে গিয়েছিল বাতাসে। সে যুগকে বলা হতো বর্বরতার যুগ।খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতকে এই যুগের উদ্ভব হয়। ইতিহাসবিদ এইচ জি ওয়েলস বলেন, ‘এ সময় বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক দর্শনের যেন মরণ হয়েছিল। পৃথিবীতে মানুষ বলতে আর কিছু ছিল না’ (আ...
    মানুষ ও প্রাণিকুলের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য হলো বাক বা ভাষা। কোরআন কারিমের বর্ণনা, ‘দয়াময় রহমান আল্লাহ! কোরআন পাঠ শেখালেন; মানুষ সৃষ্টি করলেন। তাকে ভাষা বয়ান শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ আর রাহমান, আয়াত: ১-৪)শুদ্ধ ভাষা ও সুন্দর বর্ণনার প্রভাব অনস্বীকার্য। আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) ছিলেন ‘আফসাহুল আরব’ তথা আরবের শ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধভাষী। বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় কথা বলা নবীজি (সা.)–এর সুন্নত। আল্লাহ তাআলা কিতাব নাজিল করেছেন ও নবী–রাসুলদের পাঠিয়েছেন তাঁদের স্বজাতির ভাষায়। কোরআন মাজিদে এসেছে, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা-১৪ ইব্রাহিম, আয়াত: ৪)মহাগ্রন্থ আল–কোরআন আরবি ভাষায় নাজিল করার কারণ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ইহা আমি অবতীর্ণ করেছি আরবি ভাষায় কোরআন, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পারো।’ (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ২)হজরত মুসা (আ.)–কে নবী ও রাসুল হিসেবে আল্লাহ...
    মদিনার পবিত্র মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি। পাশাপাশি, শেখ ইব্রাহিম আল-আকবারকে এই মসজিদের কোরআন তেলাওয়াত প্রোগ্রামের সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীর রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের বরাতে দুই পবিত্র মসজিদবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইনসাইড দ্য হারামাইন’ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে। শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি মসজিদে নববীর খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর সময়ে প্রতিষ্ঠিত প্রথম মসজিদ, মসজিদে কুবায়ও ইমামতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আরো পড়ুন: হজ পালনে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা হজে শিশু সঙ্গী নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব মদিনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক আইনশাস্ত্র ও তাওহীদের লেকচারার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। মদিনায় কোরআন ছাপানোর দায়িত্বে থাকা কমিটির অন্যতম সদস্যও তিনি। শেখ আব্দুল...
۱