2025-07-29@08:06:45 GMT
إجمالي نتائج البحث: 34
«ন ত জউদ দ ন আহমদ»:
তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রধান পুরুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট লেখক মঈদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘তাঁর (তাজউদ্দীন) সম্পর্কে বলতে গেলে আমরা প্রায় কিছুই জানি না। ইতিহাস নিয়ে এত দিন যে মিথ তৈরি করা হয়েছিল, তা ভাঙতে হবে। বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাসকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।’আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মঈদুল হাসান এ কথা বলেন। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সারা দেশে তাদের নিবন্ধিত বেসরকারি গ্রন্থাগারের পাঠক-শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।এই রচনার বিষয় ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের আড়ালের নায়ক: তাজউদ্দীন আহমদ’। এ প্রতিযোগিতায় ৩৬টি পাঠাগার অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের বয়সভিত্তিক ‘ক’ ও ‘খ‘ দুটি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ৩১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।অনুষ্ঠানে লেখক মঈদুল হাসান ছাড়াও অতিথি ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের...
তাজউদ্দীন আহমদ যে নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন, এ তথ্যটা আমরা প্রথম জানতে পারি বদরুদ্দীন উমরের ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ গ্রন্থটি পাঠের সূত্রে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম শুরু হওয়ার আগেই, ১৯৭০ সালে। এর আগে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পারিবারিক পরিমণ্ডলের কারও কারও তাজউদ্দীনের এই ডায়েরি লেখার অভ্যাসটির কথা জানা থাকতে পারে। কিন্তু তাঁরাও খুব সম্ভবত এর ঐতিহাসিক মূল্য বা গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। বদরুদ্দীন উমরই প্রথম ভাষা আন্দোলন নিয়ে তাঁর বিশাল গবেষণাধর্মী কাজের প্রথম খণ্ডের ভূমিকায় তাজউদ্দীনের এই ডায়েরির ‘অপরিসীম গুরুত্বের’ উল্লেখ করে লেখেন, ‘তাঁর ডায়েরিতে প্রতিটি দিনের একটি হিসাব আছে এবং সেটা থেকে বহু সভা-সমিতি ও ঘটনার সময় এবং তারিখ নির্ধারণ আমার পক্ষে সহজ হয়েছে। ছোট ছোট অনেক ঘরোয়া সভার বিবরণ এবং অংশগ্রহণকারীদের নামধামও তাঁর ডায়েরি থেকেই আমি পেয়েছি।’বস্তুত...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন ‘জনগণের বুদ্ধিজীবী’। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের বাতিঘর, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিলেন আপসহীন। সমাজ পরিবর্তনের জন্য মৌলিক চিন্তা যাঁরা করতেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে তাঁর খুব সখ্য ছিল। কিন্তু রাজনীতিবিদের মতো কোনো দলের আনুগত্য তিনি করেননি।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভার স্মারক বক্তৃতায় এ কথা বলেন বক্তারা। এ সভার আয়োজন করে এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টার।অনুষ্ঠানে এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টারের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন গণতন্ত্রে আপসহীন ও রাজনৈতিক সহনশীলতার অনন্য নজির। ভাষা আন্দোলন থেকে সামরিক শাসনবিরোধী লড়াই, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন অকুতোভয়।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ দল বা গোষ্ঠীনিরপেক্ষ...
তাজউদ্দীন আহমদ শুধু তাঁর পরিবারের নয়, তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্পদ। অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের শুধু একজন নেতা ছিলেন না, একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে সর্বপ্রাণের প্রতি তাঁর দরদ ছিল। আজ শনিবার বাংলা একাডেমিতে তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। সেন্টার ফর তাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকটিভিজম (সিতারা) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আলোচনায় অংশ নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ভি কে গোকুল বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত রেখে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে স্বনির্ভর নীতি গ্রহণ করেছিলেন।তাজউদ্দীন আহমদের মমত্ববোধের প্রসঙ্গে ভি কে গোকুল বলেন, সর্বপ্রাণের প্রতি তাঁর মমত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় একটা লেখায়, যেখানে একটি চড়ুই পাখির মৃত্যু...
শারমিন আহমদ: এই যে জানতে চাননি, এটা খুব আশ্চর্যের ব্যাপার না! কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলো। প্রশ্ন উঠেছিল এটা ভারতের মাটিতে হবে, না বাংলাদেশের মাটিতে হবে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং জায়গাটার নাম তিনি করলেন মুজিবনগর। কারণ, এটা অনস্বীকার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তো মুক্তিযুদ্ধের সিম্বল ছিলেন। সব মিলিয়ে এমনই ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি নাম কখনোই চাননি। দেশ এখন মুক্তির পথে চলে গেছে, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা করছে, সেটাতে কোনোমতে যেন ভাঙন না ধরে। ওই সিম্বলটা তিনি সব সময় ধারণ করেছেন। তিনি নিজের প্রচার চাননি, একটা জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। সেই জায়গাটায় মুজিব কাকু কখনোই যাননি। জানতেও চাননি। একদিন আব্বু বললেন, ‘লিলি, আজকে বলতেই হবে মুজিব ভাইকে এসব কথা।’ তিনি যাওয়ার পর যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা...
মতিউর রহমান: একই সঙ্গে দেখেন, তখন ভারতের সরকার, ভারতের আরও অন্যান্য রাজ্যের বামপন্থী গণতন্ত্রী সরকার এই তাজউদ্দীন আহমদ বা বাংলাদেশের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের এসব উদ্যোগকে সমর্থন করেছে। এবং বিশ্বব্যাপী একটা জোট ভারতকে সমর্থন করল—সোভিয়েত ইউনিয়ন–সমর্থক সব রাষ্ট্র এবং আরও অন্য শক্তিগুলোরও একটা ভূমিকা ছিল। সেভাবেই একটা মুক্তিযুদ্ধের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ হয়েছে, যেটা কাজ করতে পারল না এবং এটা গঠনের পেছনে কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদের একটা বড় ভূমিকা, চেষ্টা ছিল দলের ভেতরে বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও। সবাইকে নিয়ে চলা; আবার শুধু নিজ দল নয়, দলের বাইরে অন্যদেরও যুক্ত করে নিয়ে আসা। সেখানে মাওলানা ভাসানী, মনোরঞ্জন ধর, কংগ্রেস দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বা কমিউনিস্ট পার্টি—সবাইকে মিলিতভাবে নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ হয়েছিল এবং এই কৃতিত্ব তাজউদ্দীন আহমদের।শারমিন আহমদ: তিনি জাতীয়ভাবে সব দল মিলে করতে চেয়েছিলেন। ওই...
মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পরবর্তী সময়ে উপেক্ষার শিকার ছিল বলে মন্তব্য করেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। তিনি বলেন, ‘এ জায়গায় আমরা ব্যক্তিগতভাবে, প্রতিষ্ঠানগতভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্বে আক্রান্ত।’তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে মাহ্ফুজ আনাম এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জন্মশতবর্ষ স্মরণানুষ্ঠানে’র আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আমি স্মরণ করতে চাই, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কী ধরনের চেতনা ও আলোচনা আমরা করেছি, সেটা নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার যাত্রা শুরু করে। এরপর আমাদের একটা বিরাট বিতর্ক তৈরি হলো বাকশাল নিয়ে। সব কাগজ বন্ধ করে দেওয়া হলো, সব দলকে নিষিদ্ধ করা হলো।’এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যাত্রায় প্রথম ধাক্কা মন্তব্য করে মাহ্ফুজ...
২৩ জুলাই ’৪৭, বুধবার বেলা ১টায় লীগ অফিসে গেলাম। সেখান থেকে ডাক্তার করিমকে নিয়ে কামরুদ্দীন সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। তার সঙ্গে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আলাপ হলো। এরপর লীগ অফিসে ফিরে এলাম।নগরীর বাইরের অর্থাৎ জিনারদির ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা বিকেল ৫টায় সালার-এ-সুবা জনাব মোহাজেরের সঙ্গে দেখা করলেন। কালু মিয়া ও ডা. এম এম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নগর লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেননি। জনাব মোহাজের সভায় ভাষণ দিলেন এবং ন্যাশনাল গার্ডের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করলেন। ডা. এম এম খান নেতা ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ করলেন এবং তিনি অপ্রাসঙ্গিক বিষয়েই বেশি কথা বলছিলেন। জনাব মোহাজেরকে অসন্তুষ্ট মনে হচ্ছিল। তিনি বিকেল ৫-৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে চলে গেলেন। অলি আহাদ সন্ধ্যা ৬টায় আজিজ সাহেব...
তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন আদর্শবাদী নেতা। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন বাস্তববাদী। আদর্শিক দিক থেকে তিনি মানুষের মুক্তির কথা ভেবেছেন। এমন মুক্তি, যেখানে মানুষ শোষণ, বঞ্চনার শিকার হবে না। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন। আর বাস্তববাদী ছিলেন বলেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়েছিলেন। তাঁর দলের ভেতরের অনেক বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন।আজ বুধবার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের শততম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সাহিত্য–সংস্কৃতির পত্রিকা কালের ধ্বনি বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য সারথী: শতবর্ষে তাজউদ্দীন আহমদ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
আমার ঠিক মনে নেই, কে আমাকে বইটি দিয়েছিলেন। হয়তো কোনো বন্ধু বা কোনো সহকর্মী কিংবা আমার কোনো শিক্ষার্থী। কিন্তু বইটির শিরোনাম দেখেই আমি চঞ্চল হয়ে উঠেছিলাম। বইটি বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার এবং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত লিখিত রোজনামচার ওপর ভিত্তি করে একটি অখণ্ড পুস্তক। সুতরাং বইটি আমি সাগ্রহ নিলাম।বইটি পড়তে শুরু করে এর বিষয়বস্তুর বাইরে পাঁচটি বিষয় আমার মনোযোগ কাড়ল। এক, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জনাব তাজউদ্দীন আহমদ প্রতিদিনই তাঁর দিনপঞ্জিতে কিছু না কিছু লিখেছেন। এ সময়কালের মধ্যে দিনপঞ্জির কোনো পাতাই ফাঁকা যায়নি। তাঁর এই লেগে থাকার অধ্যবসায় ঈর্ষণীয় পর্যায়ের।দুই, রোজনামচাগুলো তাজউদ্দীনের শৃঙ্খলামান্য মনের পরিচায়ক। তিনি তাঁর মনকে এমনভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছিলেন যে প্রতিটি দিনের ঘটনা, তা যত সামান্যই হোক না কেন, তিনি তা রোজনামচায়...
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত ব্যক্তি হলেন- মাদারীপুরের কালকিনি থানা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মাহমুদ শাহরিয়ার ওরফে মনির (৪৬)। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ২০১৯ সাল থেকে মাহমুদ শাহরিয়ার মনির কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত রোববার তাকে ঢাকায় আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত থেকে তাকে পুনরায় কারাগারে আনা হয়। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তিনি কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাহমুদ শাহরিয়ার মনিরকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন জানান, কারাগারে ভেতর শাহরিয়ার মুনির অসুস্থ হয়ে...
পরিণত বয়সে ফ্রেডরিখ নিৎশে, ১৮৮০-এর দশকের জার্মানিতে স্মরণ-সর্বস্ব ইতিহাস রচনাকে অসুস্থতা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। সেই ভাবনাকে আড়ে-দিঘে টেনে আরেক ধাপ এগিয়ে রণজিৎ গুহ একে ‘নিষ্প্রাণ জ্ঞান’ বলেন৷ দুঃখজনক হলেও, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসচর্চা চিরকাল একরৈখিকভাবেই হয়েছে। সেখান থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য বা চিন্তা পাওয়া দুঃসাধ্য।রাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে যাঁরা জড়িত, তাঁদের আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা নিঃসন্দেহে মূল্যবান। কিন্তু এই ঘরানাটিও ‘আমিত্ব নামক অশ্লীলতার মহাসমুদ্রে’ অবগাহন করে নির্মিত। কাজেই এই বাড়াবাড়ি রকমের ‘আমি’ লেখককে প্রশান্তি দিলেও পাঠককে ত্যক্তবিরক্ত-ক্ষুব্ধ করতে পারে। তবে ডায়েরি অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি পড়া আমাদের জন্য যেকোনো বিচারেই লাভজনক। রবীন্দ্রনাথ ‘সাহিত্যের সত্য’র দ্বিতীয় প্রবন্ধে ‘পাওয়া’, ‘হওয়া’, আর ‘হয়ে ওঠা’ সংক্রান্ত যে আলাপ করেছেন, তাজউদ্দীনের জীবনের সঙ্গে এর বিস্ময়কর সাদৃশ্য রয়েছে। যে বর্তমান সতত, অস্থির, তাকে ডায়েরির পাতায় বদ্ধ করে পাঠক-গবেষকদের...
গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় লেগুনা ও অটোরিকশা সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মালেক মৃধা (৮০) শরীয়তপুরের গোসাইহাট থানার কোদালপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন আব্দুল মালেক মৃধা। সকালে তিনি ছেলেকে নিয়ে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তারা। ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কের শিববাড়ি এলাকায় পৌঁছালে একটি লেগুনার সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুল মালেক মৃধাসহ ৫-৬ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা...
দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ১৬টি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। তবে সেখানে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। সবেমাত্র কীটের চাহিদা প্রস্তুত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার (১৬ জুন) জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের শরীরে। গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলছে, তারা ২০ হাজার কীটের চাহিদা প্রস্তুত করেছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) তারা এটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবেন। তবে করোনা রোগীদের জন্য ১০টি বেড প্রস্তুত রেখেছেন। এরমধ্যে ৫টি পুরুষ ও ৫টি মহিলা রোগীদের জন্য। এখনো পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী...
সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আপেল মাহমুদকে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি ধরে রাখতে যা করতে হলো, তাকে অনেকেই রবিঠাকুরের ‘জীবন ও মৃত্যু’ গল্পের সেই কাদম্বিনীর পরিণতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এটি সত্য, নিজেকে জীবিত প্রমাণে কাদম্বিনীকে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করতে হলেও আপেল মাহমুদকে তেমন কিছু করতে হয়নি। কিন্তু জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার কর্মকর্তাদের সামনে এই অত্যন্ত সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধাকে বৃদ্ধ বয়সে যেভাবে দলিল-দস্তাবেজ ও সাক্ষী হাজির করতে হয়েছে, তার ভোগান্তি মৃত্যুর চেয়ে কমও নয়। আপেল মাহমুদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স দশ বছরের ওপরে, তাদের নিশ্চয়ই তাঁর কথা মনে আছে– যাঁর কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান শুনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রাণিত হতেন, বুকে সাহসের সঞ্চার হতো। সেই সময়ে রেকর্ড করা তাঁর কণ্ঠের গান ‘একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’,...
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম টাকা ছাপানো হয় ভারতে। কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় আসার আগে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক শহরে অবস্থিত নাসিক সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে ৮০ কোটি এক টাকার নোট ছাপানোর উদ্যোগ নেন। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশে প্রচলিত সব পাকিস্তানি নোট ধাপে ধাপে সরিয়ে নিজস্ব মুদ্রা চালু করা। কারণ, পাকিস্তান সরকার তখন এক টাকা ও উচ্চ মূল্যমানের নোট বাতিলের পরিকল্পনা করছিল। তাই সময়ক্ষেপণ করলে দেশের অর্থনীতিতে হঠাৎ ধস নামার আশঙ্কাও ছিল।তবে ভারতে নোট ছাপানোর উদ্যোগ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার মুখে পড়েন তাজউদ্দীন আহমদ। তাঁর বিরুদ্ধে সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগ তোলে তাঁর নিজ দল আওয়ামী লীগেরই একটি গোষ্ঠী। তারা গুজব ছড়িয়ে দেয়, ভারতের প্রিন্টিং প্রেসে এক টাকার মুদ্রা ছাপানোর যে সিদ্ধান্ত তাজউদ্দীন নিয়েছেন, তাতে ভারতের...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বুধবার দুপুরে 'সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস'এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালেরকন্ঠসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।' এতে আরও বলা হয়, 'মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করেছে সরকার। এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। প্রশ্ন তুলেছেন তাজউদ্দিন আহমদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে। বুধবার (৪ জুন) সকালে ফেসবুকে এ বিষয়ে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দী হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন দাবি করে সারজিস আলম লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।” “তাজউদ্দিন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?” মন্ত্রণালয়ের কাজের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, “মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল- মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী...
কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রাসায়নিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক শ্রমিক। গত বৃহস্পতিবার রাতে মৌচাক নিশ্চিন্তপুর এলাকার মন্ট্রিমস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী (২০) মন্ট্রিমস লিমিটেড কারখানার কার্টন সেকশনে চাকরি করতেন। নিশ্চিন্তপুর এলাকার তমিজ উদ্দিনের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্টে ইদ্রিস আলী লেখেন, কারখানাটিতে এক বছর ধরে চাকরি করেন তিনি। কিছু লোক আসার তিন মাস এবং ছয় মাস হওয়ার পরেই তাদের স্থায়ী করে। তাঁকে করে না। কারণ হচ্ছে, তিনি মেশিনের লোক। একদিন ৬টায় গিয়েছিলেন, এর জন্য বিচার করেছে। কী অপরাধ ছিল তাঁর। তাদের কারণে জীবন শেষ করে দেবেন তিনি। এর জন্য দায়ী তাদের সেকশনের প্ল্যানিং কর্মকর্তা কামরুল এবং ম্যানেজার হারুন। মানুষকে মানুষ মনে করে...
গাজীপুরে কৃষক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের দাখিনখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম রাকিব মোল্লা (২৯)। তিনি দাখিনখান এলাকার বাসিন্দা ও গাজীপুর সদর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাখিনখান এলাকায় ইন্তাজ ও সেলিম মিয়া নামের দুজনে মিলে কেব্ল টিভি (ডিশ) ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করছিলেন। সম্প্রতি রাকিব মোল্লা সেই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেন। এ নিয়ে এলাকাটিতে উত্তেজনা চলছিল। রাকিবের সঙ্গে ইন্তাজ ও সেলিম মিয়ার প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে রাকিব দাখিনখান এলাকায় অবস্থান করছেন—এমন খবরে প্রতিপক্ষ ইন্তাজ, সেলিমসহ অন্তত ৭ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে তাঁরা রাকিবের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে...
গাজীপুরে ইন্টারনেট ব্যবসার বিরোধের জেরে মো. রাকিব মোল্লা (২৯) নামে কৃষকদলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় গাজীপুর মহানগরের সদর থানার দাক্ষিণখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাকিব মোল্লার বাসা দাক্ষিণখানে। তারা বাবার নাম ইব্রাহিম মোল্লা। তিনি গাজীপুর সদর থানার কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ওই এলাকায় মো. ইন্তাজ ও মো. সেলিম মিয়া নামে দুজন অংশিদারভিত্তিতে ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করছিলেন। সম্প্রতি মো. রাকিব মোল্লা সেই ব্যবসা তার দখলে নেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মো. রাকিব মোল্লা দাখিণখান এলাকায় অবস্থান করছেন এমন খবরে ইন্তাজ ও সেলিমমিয়াসহ অন্তত সাত জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে আসেন। প্রথমে তাদের...

তাজউদ্দীন আহমদের স্বহস্তে লেখা মুক্তিযুদ্ধের অজানা দলিল: আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সারসংক্ষেপ
ভূমিকা: শারমিন আহমদ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেটা ছিল অস্থির ও উত্তাল এক সময়। পরাশক্তিগুলোর মধ্যে তীব্র ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের পরস্পরবিরোধী অবস্থান। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নানা টানাপোড়েন। নিজ দলের মধ্যেও মতবিরোধের শেষ নেই। এসবের মধ্যেই সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। নানা মতের মোকাবিলা ও সমন্বয় করে জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে স্থির লক্ষ্যে সবকিছু সামলে গেছেন। সরকারের সব কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে গেছেন বিজয়ের লক্ষ্যে।এই গুরুদায়িত্ব পালনের মধ্যেও তাঁর দলের মধ্যে ভূমিকা রাখতে হয়েছে। সে সময় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির একাধিক বৈঠক চলেছে। তাতে তাজউদ্দীন আহমদ অংশ নিয়েছেন। শুধু অংশ নেননি। বৈঠকে কে কী বলছেন, সেসব মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। নিজের হাতে তা যত্ন করে টুকে রেখেছেন। তাঁর সেই নোট টেলিগ্রাফের মতো অতি সংক্ষেপে প্রায়...
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি পুরোমাত্রার সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়। এর আগে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসেছিলেন, শেখ মুজিবের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার জন্য। মুজিবের সঙ্গে ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, খন্দকার মোশতাক প্রমুখ। শেখ সাহেব বক্তব্যে অটল ছিলেন। তাঁর ভাষ্য ছিল– আমরা ইলেক্টেড হয়েছি; পূর্ব পাকিস্তানে সব সিটে আমাদের প্রার্থী জিতেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম– ছয় দফাভিত্তিক সংবিধান পাকিস্তানের জন্য রচনা করা হবে। আমরা এই কর্মসূচি দিয়ে জনসমর্থন পেয়েছি। এখন আমরা ছয় দফাকে ভিত্তি হিসেবে রেখে নতুন সংবিধান করব। পশ্চিম পাকিস্তানের বড় দল ছিল জুলফিকার আলি ভুট্টোর পিপলস পার্টি। পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও ছিল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টিসহ কতগুলো ছোট ছোট কমিউনিস্ট গ্রুপ। আরও ছিল জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম...
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের আওড়াখালি বাজারে এই হামলা হয়। এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় দৈনিক যুগান্তরের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল গাফফারের মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও ল্যাপটপ। বর্তমানে তিনি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ইতোমধ্যে এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে। ঘটনার সময় আব্দুল গাফফারের সঙ্গে ছিলেন একই পত্রিকার কাপাসিয়া প্রতিনিধি মো. খোরশেদ আলম। তাঁর ভাষ্য, রোববার ইফতার শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। রাত ৮টা ৪৭ মিনিটে অজ্ঞাতপরিচয় একটি নম্বর থেকে গাফফারের ফোনে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে তারা গাফফারের অবস্থান জানতে চায়। রাত ৯টার দিকে তারা আওড়াখালী বাজারের পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে কাউলিতা গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন আকন্দ, সাহেদ, ফালু,...
জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় আগেই অস্থায়ী জামিনে ছিলেন নারী-পুরুষসহ ১৩ জন। স্থায়ী জামিনের জন্য মামলার সব আসামি বুধবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে ছিলেন। আদালত তাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুরও করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। আগে থেকে হাতে ধারালো দা, চাপাতি, ছুরি ও লাঠি নিয়ে আদালত চত্বরে ওত পেতে থাকে মামলার বাদী। জামিন নিয়ে আদালত থেকে বের হওয়ার পরই আসামিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মামলার বাদী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। পুলিশ, আইনজীবীদের সামনে কোপাতে ও পেটাতে থাকে। পুরো আদালতপাড়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য আসামিরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অফিস কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন। দ্বিতীয় দফায় সেখানে গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে আসামি মিলন মিয়া ও বাবুল মিয়া নামে সহোদর দুই ভাইকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মামলার বাদী...
বাংলাদেশের এক আবছায়া অধ্যায় ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সাল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শত্রু ছিল চেনা। কিন্তু সাতচল্লিশ-পরবর্তী বাংলাদেশের এই সময়টা এত বেশি আলো-আঁধারিময় যে তখনকার দেশ ও সমাজের নিখুঁত পরিস্থিতি জানা এবং তা শিল্পে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিস্থাপন শুধু কঠিনই নয়, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জের। ফলে যখন শুনলাম, দুঃসময়ের অন্যতম এই সময়েও যারা সফলভাবে কলম সচল রেখেছেন তাদেরই একজন অঞ্জন আচার্য ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সময়কাল নিয়ে গল্প লিখছেন, তখন বইটি নিয়ে আগ্রহটা তীব্র হলো। ‘সাদা রাত’ নামে ইতিহাসধর্মী গল্পগ্রন্থটি পড়ে মনে হলো এটি সাহিত্য সৃষ্টিতে অঞ্জন আচার্যের উল্লেখযোগ্য চেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম। অন্যতম বলার কারণ অনেক। প্রথমত অঞ্জন আচার্যের ভাষা ও গদ্যের গাঁথুনি। বইটির প্রতিটি গল্পের চরিত্ররাই কেমন আলো আঁধারিময়। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এ চরিত্রগুলো আমাদের অতি চেনা। তারপরও যেন বহু চেনা বাকি রয়ে গিয়েছিল। বইটিতে...
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ প্রকাশ হয়েছে কবি ও গল্পকার অঞ্জন আচার্যের ইতিহাসধর্মী গল্পগ্রন্থ ’সাদা রাত’ [১৯৭২—৭৫ সাল : বাংলাদেশের আবছায়া অধ্যায়]। বইটি প্রকাশ করেছে বিদ্যাপ্রকাশ। এর প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটির মূল্য ২২০ টাকা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণের বিদ্যাপ্রকাশের স্টলে [স্টল নং : ১২৯—১৩২]। খন্দকার মোশতাক, সিরাজ সিকদার, সর্বহারা পার্টি, রক্ষীবাহিনী, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ, বাকশাল, তাজউদ্দীন আহমদ, খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, জেলহত্যা— বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন বহুল আলোচিত ১০ ব্যক্তি বা ঘটনা অবলম্বনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১০টি গল্প। আরো পড়ুন: শনিবার বইমেলার সময় পরিবর্তন বইমেলায় সাদিয়া সুলতানার সপ্তম উপন্যাস ‘উঠল্লু’ বইটি সম্পর্কে লেখক অঞ্জন আচার্য বলেন, “এই সময়কে ধরে এর আগে কোনো সিরিজ গল্প লেখা হয়েছে বলে জানা নেই। কারো প্রতি পক্ষপাতি হয়ে সত্য-মিথ্যা...
ডিসেম্বর ১৯৭১। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভেসে এল দৃঢ় এক কণ্ঠস্বর—‘দেশবাসী সংগ্রামী ভাই ও বোনেরা,বাংলাদেশে দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুক্তিসংগ্রাম আজ সাফল্যের তোরণে উপনীত হয়েছে।...’রেডিওর সামনে দাঁড়িয়ে মানুষ শোনে, শোনে আর কাঁদে—আনন্দে, গর্বে, বেদনামিশ্রিত বিজয়ের অনুভূতিতে।সেই কণ্ঠস্বর ছিল বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের—পাদপ্রদীপের আড়ালে থাকা দূরদর্শী এক নেতা, যাঁর কৌশলী নেতৃত্ব ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের এই বিজয় সম্ভব হতো না। শেখ মুজিব যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী, তখন তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন এক সদ্য জন্ম নেওয়া জাতির—নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী সরকারকে, সামলেছিলেন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি, গড়ে তুলেছিলেন একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির ভিত্তি। তাঁর জীবনের এমন সব ঐতিহাসিক সত্য নিয়েই মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন তাজউদ্দীন নামে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।এই বইয়ে তাজউদ্দীন আহমদের কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবনকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন লেখক।...
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সংগঠনটির এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটে। আহত যুবকের নাম মোবাসের হোসেন (২৬)। তিনি নগরীর হারিনাল দক্ষিণপাড়া এলাকার আলী আহমেদের ছেলে। মোবাসের বৈষম্যবিরোধী গাজীপুর জেলার সদস্য। আরো পড়ুন: নামাজের সময় গানবাজনার অভিযোগকলেজের অনুষ্ঠানে হামলা, চেয়ার-বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর গোপালগঞ্জে শরীরে পেট্রোল ঢেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে গাজীপুরের শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে দিনভর বিক্ষোভ চলে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান শিক্ষার্থীদের সঠিক বিচার পাইয়ে দেওয়ার এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। এরপর বিকেল ৫টার দিকে...
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।গুলিতে মোবাশ্বের হোসেন (২৬) নামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি গাজীপুর মহানগরের হারিনাল দক্ষিণপাড়া এলাকার আলী আহমেদের ছেলে। তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আরও পড়ুনগাজীপুরে হামলার প্রতিবাদে হাসনাত-সারজিসের নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ৩ ঘণ্টা আগেকয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, শুক্রবার রাতের হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে আজ শহরের রাজবাড়ি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান শিক্ষার্থীদের বিচার নিশ্চিত ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে পাঁচটার দিকে...
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গতকাল শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে গেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম। গতকাল রাত তিনটার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে যান তাঁরা।এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বেলা ১১টায় গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি।আরও পড়ুনগাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন২ ঘণ্টা আগেএর আগে গতকাল রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত...
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাদের কয়েকজনকে আটক করে মারধর করেন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, “গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন। আমরা আসছি...।” এছাড়া, গাজীপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ওই পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে,...
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজে জামাল উদ্দীন ভূঁইয়াকে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, গত রোববার এক অফিস আদেশে জামাল ভূঁইয়াকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজের আয়-ব্যয়ের ক্ষমতাসহ অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ওই পদের ‘যোগ্য নন’ বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। জামাল ভূঁইয়াকে অযোগ্য আখ্যায়িত করে শিক্ষার্থীরা সোমবার আন্দোলন শুরু করেন। গতকাল মঙ্গলবারও তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, জামাল ভূঁইয়াকে পদায়নের আদেশের কপি মেহেদী হাসান নামে এক শিক্ষার্থী তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করায় তাঁকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। খান মুহাম্মদ মফিজ উদ্দিন নামে...
ছাত্রলীগের এক ইউনিয়ন সভাপতির ওপর আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে কাপাসিয়ায় প্রবাস ফেরত যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত মো. এনামুল (৩০) উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় এনামুলের স্ত্রী নাজনীন ইসলাম বৃষ্টি কাপাসিয়া থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। এনামুলের বড় বোন নাসিমা সুলতানা জানান, চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত সোমবার জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) নিতে এসেছিলেন চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ হোসেন। তাঁকে মাঠে দেখতে পেয়ে বিগত সরকারের আমলে তাঁর হয়রানি ও মারধরের শিকার একদল লোক তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় ফরিদ হোসেনের সঙ্গীরা তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। মারামারির এ দৃশ্য ভিডিও করতে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া ফেরত এনামুল। তাঁর ভিডিও করার দৃশ্য দেখে ফেলায় ফরিদের...