গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত ব্যক্তি হলেন- মাদারীপুরের কালকিনি থানা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মাহমুদ শাহরিয়ার ওরফে মনির (৪৬)।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ২০১৯ সাল থেকে মাহমুদ শাহরিয়ার মনির কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত রোববার তাকে ঢাকায় আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত থেকে তাকে পুনরায় কারাগারে আনা হয়। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তিনি কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাহমুদ শাহরিয়ার মনিরকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন জানান, কারাগারে ভেতর শাহরিয়ার মুনির অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ ইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি। এতে তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯ জন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির আরও তিন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক সমকালকে বলেন, আজ রোববার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল থানায় এসে তিন দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এতে তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯ জন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে রকিব, হুদা ও আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানাতে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি দেয় বিএনপি। সেইসঙ্গে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোট পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে দলটি।

গত ১৬ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা যায়, বিতর্কিত এবং একতরফা নির্বাচন না করতে বরং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছিল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এমনকি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর সারা দেশে বেপরোয়া হামলা এবং আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এসব হামলা বন্ধে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল বিএনপি। তৎকালীন নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ তো নেয়নি, বরং বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করেছিল পুলিশ।

বিতর্কিত ওই তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী সাবেক তিন সিইসি ঢাকাতেই নিজ বাসায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরাকান আর্মির বাধায় সাগরে যেতে ভয় টেকনাফের জেলেদের
  • স্বজন ভেবে লাশ নিয়ে এলেন, গোসল করালেন, এরপর যা ঘটল
  • সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ
  • প্রধানমন্ত্রিত্ব মেয়াদ, উচ্চকক্ষ ও এনসিসি, ‘একই প্যাকেজে’ আলোচনা চায় বিএনপি
  • মেয়াদ ও বার এই দুই শব্দ ঘিরে বহু ব্যাখ্যা তৈরি হয়েছে: সালাহউদ্দিন
  • আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা এলডিপিতে
  • শেখ হাসিনা ও সাবেক ৩ ইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
  • রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স রবিবার, মূল বক্তা আলী রিয়াজ
  • ফেসবুকে ‘মৃত্যু’ নিয়ে ভিডিও পোস্টের দেড় ঘণ্টা পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু