এবার একযোগে ৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার ৯ ফেব্রুয়ারির জারি করা চিঠির নির্দেশনার আলোকে ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ২১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হলো।

নাম পরিবর্তন হওয়া কলেজগুলো হলো

বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনার সরকারি জয়বাংলা কলেজ, কিশোরগঞ্জের জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ।

নাম পরিবর্তন হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনা হলো

বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, বরগুনা সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ঢাকা কলেজের শেখ কামাল হল ও লে.

শেখ জামাল একাডেমিক ভবন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শেখ রাসেল ছাত্রাবাস, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ লুৎফর রহমান একাডেমিক ভবন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন, শেখ কামাল প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, শেখ কামাল ছাত্রাবাস, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, নরসিংদী সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হোস্টেল, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাস, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, চাঁদপুর সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, বৃন্দাবন সরকারি কলেজে দেশরত্ন শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও শেখ ওয়াজেদ বিজ্ঞান ভবন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক কাম-এক্সামিনেশন হল, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শেখ কামাল ছাত্রাবাস, শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রনিবাস, দিনাজপুর সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, সরকারি হাজী আবদুল বাতেন কলেজের শেখ রাসেল ভবন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি বাঙলা কলেজের নবনির্মিত ভবন। এ ছাড়া যেসব সরকারি কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আছে তার নাম হবে আইসিটি ল্যাব।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এদিকে গত ২৮ মে-এর প্রজ্ঞাপনে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবস্থিত সরকারি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নামও রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম দেওয়া হয় ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম বদলের প্রতিবাদ করেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজসহ অনেকে। সমালোচনার মুখে পরে ১ জুলাই কলেজটির নাম বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

তালিকা দেখুন এখানে

আরও পড়ুনকমনওয়েলথ ফেলোশিপে আবেদনের সুযোগ, মাসে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সঙ্গে নানা সুবিধা৭ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ফি-মেধা কোটা-ভর্তির যোগ্যতা-গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে৪ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র শ খ হ স ন এক ড ম ক ভবন প র সরক র কল জ র ব মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াকআউটের পর আবারো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির যোগদান  

ওয়াকআউটের পর আবারো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগদান করেছে বিএনপি। 
  
সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ না নিয়ে সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে দলটি। তবে কিছুক্ষণ পর আবার আলোচনায় ফিরে আসে বিএনপির প্রতিনিধিদল।

আলোচনার শুরুতেই কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও ন্যায়পাল নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা আগেই বলেছি এই চার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিএনপি আলোচনা করবে না।” এরপরই তারা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন।

বিএনপির বেরিয়ে যাওয়ার পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,     “একটি বড় দল অনুপস্থিত থাকলে এই বিষয়ে ঐকমত্য কীভাবে হবে?”

জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “বিএনপি আগেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তবে কারও অনুপস্থিতিতে আলোচনা অর্থহীন হয়ে গেলে কমিশন তা বিবেচনায় নেবে।” 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে গঠনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। এরপরও সাংবিধানিক ও আইন দ্বারা পরিচালিত পদগুলোতে নিয়োগ নিয়ে ভিন্ন ভাবনার প্রয়োজন নেই। এতে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা সীমিত হবে এবং তা রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি করবে।” 

পরে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধি দল আবার আলোচনায় যোগ দেয়।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
  • ২ বছরের ভেতরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আপত্তি নেই বিএনপির
  • জুলাই সনদের খসড়ায় ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের চিত্র নেই: ইসলামী আন্দোলন
  • কক্সবাজারের সোনাদিয়া উপকূলে ভেসে এল অজ্ঞাতনামার লাশ, এখনো নিখোঁজ অরিত্র
  • তাজউদ্দীন আহমদ দেশের স্বাধীনতার প্রধান পুরুষ
  • মানবাধিকার মিশন নিয়ে উদ্বেগ, আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত ন্যায়সংগত হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন
  • ওয়াকআউটের পর আবারো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির যোগদান  
  • দিনলিপির দর্পণে তাজউদ্দীন আহমদ