বলিউডের হিট ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘আশিকি’। অনুরাগ বসু নির্মাণ করতে যাচ্ছেন সিনেমাটির তৃতীয় কিস্তি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্র অর্থাৎ রাহুল রায় চরিত্রের জন্য কার্তিক আরিয়ানকে আগেই চূড়ান্ত করা হয়। এরপর জানা যায়, তার বিপরীতে অভিনয় করবেন ‘অ্যানিমেল’খ্যাত অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি।

‘আশিকি থ্রি’ সিনেমার জন্য লুক টেস্ট দেন তৃপ্তি দিমরি। এরপর পরিচালক অনুরাগ বসু নিশ্চিত করেন সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন না তৃপ্তি। শুরু হয় নানা গুঞ্জন। শোনা যায়, ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় লগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করার কারণে বাদ হওয়া হয়েছে তৃপ্তিকে। কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, ‘আশিকি থ্রি’ সিনেমার চরিত্রটির জন্য ‘নিষ্পাপ’ কাউকে প্রয়োজন।

বেশ কিছু দিন ধরে এ নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চলছে। তবে নীরব তৃপ্তি। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক অনুরাগ বসু। মিড-ডে ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃপ্তিকে বাদ দেওয়ার যেসব কারণ নিয়ে চর্চা চলছে তা উড়িয়ে দিয়েছেন এই পরিচালক। অনুরাগ বসু বলেন, “এসব সত্যি নয়। আর তৃপ্তিও এটা খুব ভালো করে জানেন।”

আরো পড়ুন:

‘তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা’

সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন যীশুর কন্যা, নীরবতা ভাঙলেন সারা

তবে ঠিক কী কারণে ‘আশিকি থ্রি’ সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন তৃপ্তি, তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দেননি এই নির্মাতা।

বলিউডের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘অ্যানিমেল’। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় সিনেমাটি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রণবীর কাপুর। তার বিপরীতে দেখা যায় তৃপ্তি দিমরিকে।

সিনেমাটি মুক্তির পরই ফাঁস হয় তৃপ্তি-রণবীর কাপুরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ। এ দৃশ্যে তৃপ্তিকে প্রায় নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়; যা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর হইচই পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তৃপ্তি। এ ঘটনার প্রায় এক বছর পর তৃপ্তি জানান, দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলে তিনি।

রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃপ্তি দিমরি বলেন, “অ্যানিমেল’ সিনেমা মুক্তির পর ২-৩ দিন কেঁদেছিলাম। মানুষ এমন সমালোচনা করবে তা আমি প্রত্যাশা করিনি। মানুষ যে ধরনের মন্তব্য লিখেছিলেন, তা দেখে আমি প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিলাম।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা