দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে জনভোগান্তি সৃষ্টির জন্য বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান (ফারুক) ও সদস্যসচিব জিয়া উদ্দীন সিকদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

গতকাল সোমবার দলের জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তাঁদের এই নোটিশ দেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে আপনারা বরিশাল বিমানবন্দর থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে নগরে প্রবেশ করেছেন। আপনাদের এমন কর্মকাণ্ড দলীয় শৃঙ্খলার চরম বরখেলাপ। এ জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা–ও লিখিত আকারে জানাতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি, জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ত শনিবার দুপুরে উড়োজাহাজযোগে ঢাকা থেকে বরিশাল আসেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ও সদস্যসচিব জিয়া উদ্দীন সিকদার। তাঁদের সঙ্গে দলের আরও দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ সময় বিমানবন্দর থেকে তাঁদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা অন্তত ২০০ মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করে তাঁদের নগরের সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এতে নগরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। সেখানে মনিরুজ্জামান খান সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ নিয়ে গত রোববার প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে ‘নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিত নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ