হল সংসদে মনোনয়নপত্র নিলেন ডাকসু ভিপি সাদেক কায়েমের ছোট ভাই
Published: 17th, September 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদেক কায়েমের ছোট ভাই আবু আয়াজ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি মনোনয়নপত্র নেন। তবে হল সংসদের কোন পদে নির্বাচন করবেন, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তা জানা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির সূত্র জানায়, আবু আয়াজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সোহরাওয়ার্দী হল শাখার প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি ওই হলেরই আবাসিক শিক্ষার্থী। ওই হল থেকেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আয়াজ। তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবরার ফারাবী প্রথম আলোকে বলেন, আয়াজ বন্ধুদের সঙ্গে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তবে কোন পদে নির্বাচন করবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
সোহরাওয়ার্দী হল সংসদ থেকে মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবু আয়াজও। আজ বুধবার বিকেলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তবে নির্বাচন করা বা না করার সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবে নেওয়া হবে। তিনি যেহেতু দলীয় প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন, তাই কোন পদে লড়বেন, তা–ও দলীয়ভাবে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হওয়া সাদিক কায়েমের পরিবার বসবাস করছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামে। তবে তাঁর বাবা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। বাবা পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী। ব্যবসার সূত্রে প্রায় ৪০ বছর আগে খাগড়াছড়িতে স্থায়ী হন তিনি। আবু আয়াজ সাদিক কায়েমের একমাত্র ছোট ভাই। এ ছাড়া তাঁদের আরও তিন বোন রয়েছে।
আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৬৩৭ জন। গত রোববার মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।