ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত ষড়যন্ত্র মূলক হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ায় সদর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম শামীমকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং-বি-১৭২৪ এর কার্যালয়ে কারা মুক্ত শামীমকে বরণ করা হয়। পাশা-পাশি নারায়ণগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে ফুলের শুভেচ্ছা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

 এসময় ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু, যুগ্ন সম্পাদক জুবায়ের জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন রবি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ হাওলাদার প্রমুখ। 

ফেডারেশন সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন রবি বলেন,  সদ্য কারা মুক্ত তাইজুল ইসলাম শামীম সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা শামীমকে শুভ কামনা জানাই এবং কারা মুক্ত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমরা শ্রমিক নেতাদের যে কোন মুক্তিতেই আলোকিত। আমাদের ফেডারেশনের সফলতাই ঐখানে। শ্রমিক নেতারা সাধারণ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের সেবায় ব্যস্ত থাকবে এটাই আমাদের মূল লক্ষ।

ট্রাক ইস্ট্যান দখলে ব্যর্থ হয়ে শামীমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় এ নেতা আরোও বলেন, পক্ষ-বিপক্ষের লোক থাকবেই এইটা আমরা তেমন গুরুত্ব দেইনা। বিশেষ করে আমাদের শ্রমিকরা নির্বাচনের মাধ্যমে যাকে চাইবে তারা তাকেই রাখবে। আইনগত বিধি ছাড়া দখলের কোন সুযোগ নাই। আমরা সকল দখলদারিত্বের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি।

কারা মুক্ত তাইজুল ইসলাম শামীম বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে  আবু আল ইউসুফ খান টিপু আমাকে প্রায় ২ মাস জেল খাটিয়েছে। এধরণের মামলাগুলা স্টে করা হয়। এড.

সামছুন নূর বাঁধন বিএনপি পরিবারের সদস্য, এড. আবুল কালাম সাহেবের মেয়ে ও কাউছার'র বোন তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কারা মুক্ত হতে পেরেছি। কারাগারে থাকাবস্থায় জানতে পারি কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনে আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। যেহেতু আহ্বায়ক হাসান ভাই স্ট্রোক করেছে তাই যাওয়া হয় নাই। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আমাদের কাছে সব কিছু জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের অবগত করেছি। টিপু'র নেতৃত্বে ফেডারেশন থেকে একটা গ্রুপ কমিটি আনার পায়তারা চালাচ্ছে। 

সুজন মাহমুদ বলেন, তাইজুল ইসলাম শামীম ষড়যন্ত্রের শিকাড় হয়ে গত ২ মাস কারাগারে ছিলো। আজ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা শামীমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। আবু আল ইউসুফ টিপু, শামীম এর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে না পাওয়ায়  মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা ফেডারেশনকেও অবগত করেছি। এবিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দগণকেও  জানাব এবং সর্বচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান করব। বিএনপির নেতা হয়ে আরেক বিএনপির নেতাকে কি ভাবে এ ধরণের মামলা দেওয়া হয়। একটি সুন্দর কমিটি গঠন যেন হয় সে প্রত্যাশা করছি। এছাড়া আওয়ামী দোসররা যেন কমিটিতে না থাকে। আপনারা দেখেছেন শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমানের প্রেতাত্মারা বিগত সময় ট্রাক ইস্ট্যান দখল করে লুট-পাট করে খেয়েছে তাদের দিয়ে কমিটি করার জন্য বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য নিল নকশা করছে।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম শামীম, মহানগর বিএনপি সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যুগ্গ আহ্বায়ক সুজন মাহমুদ, শ্রমিক ইউনিয়ন এর যুগ্ন আহ্বায়ক মেহেদী হাসান লিটন, সদস্য মোঃ রফিক, মোঃ হারুন, মো: আবুল কালাম, মোঃ ছাত্তার, মোঃ মন্টু প্রমুখ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ভারতের আসামে গত বছর একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে উলফা (আই) নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটি শনিবার গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (ইনডিপেনডেন্ট ) চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার ইন চিফ। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুজন হলেন অভিজিৎ গগৈ ও জাহ্নু বড়ুয়া।

গত বছর আসামে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন ব্যাহত করতে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে একাধিক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা তদন্তের ভার নেয় এনআইএ।

এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডি স্থাপন করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
  • ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেরেক: প্রেস সচিব