ইংল্যান্ড নিশ্চিত করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে
Published: 7th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তান ম্যাচটি বর্জন করছে না ইংল্যান্ড। গতকাল বোর্ডের বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন। আফগানিস্তানে তালেবান শাসকগোষ্ঠী নারীর অধিকার হরণ করায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দেশটির সঙ্গে ম্যাচ না খেলার বিষয়ে চাপ তৈরি হয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ওপর।
আরও পড়ুনফাইনালে তামিম যেখানে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে১ ঘণ্টা আগে১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান ‘বি’ গ্রুপ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২৬ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে দুই দল। গত মাসে ব্রিটেনের ১৬০ জন পার্লামেন্ট সদস্য ইসিবির প্রতি লেখা চিঠিতে আফগানিস্তান ম্যাচটি বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ইসিবিতে গতকাল বোর্ড মিটিংয়ের পর চেয়ারম্যান থম্পসন জস বাটলারের দলকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার সবুজ সংকেত দেন। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে আফগানিস্তানে চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান থম্পসন।
থম্পসন বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে যা চলছে, সেটা নারী-পুরুষ বৈষম্য ছাড়া আর কিছু না। নারী ও মেয়েশিশুদের ক্রিকেট যখন পৃথিবীব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে, তখন আফগানিস্তানে যারা বড় হচ্ছে তাদের এই সুযোগ না দেওয়াটা হৃদয়বিদারক।’
থম্পসন আরও বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্প্রদায়ের সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়াই সঠিক পথ, যেটা ইসিবির একতরফা ম্যাচ বয়কটের চেয়ে বেশি ফলপ্রসু হবে। আমরা আরও শুনেছি, অনেক সাধারণ আফগানদের জীবনে যে কয়টি আনন্দের উৎস টিকে আছে, তার মধ্যে ক্রিকেট দল একটি। আমরা নিশ্চিত করছি, (চ্যাম্পিয়নস ট্রফির) এ ম্যাচটা আমরা খেলব।’
আরও পড়ুনমাশরাফি-ইমরুলের পর কি তামিম৫ ঘণ্টা আগে২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে মেয়েদের খেলাধুলার পাশাপাশি পড়ালেখা এমনকি চিকিৎসাসেবার শিক্ষা নেওয়াও নিষিদ্ধ। আফগানিস্তান আইসিসির পূর্ণ সদস্য, আর এই সদস্যপদ পাওয়ার একটি শর্ত হলো মেয়েদের দল থাকতে হবে। কিন্তু মেয়েদের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম না থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সরকারের সঙ্গে তালেবানের কূটনৈতিক আলোচনায় খেলাধুলা নিয়ে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান মনে করছে, এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আইসিসির প্রতি ইসিবি আহ্বান, আফগানিস্তানের যেসব নারী ক্রিকেটার দেশ ছেড়েছেন—বেশির ভাগই অস্ট্রেলিয়ায়—তাঁদের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হোক এবং শরণার্থী জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। গত সপ্তাহে এমসিসি ফাউন্ডেশন একটি তহবিল গঠন করে তাঁদের জন্য, যেখানে ১ লাখ পাউন্ড দান করেছে ইসিবি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক