বাকসাস আয়োজিত ‘সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ সমাপ্ত
Published: 13th, February 2025 GMT
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি বাঙলা কলেজে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘সমাপনী অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে আয়োজনের ইতি টানা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঙলা কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মিটুল চৌধুরী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও শিক্ষক উপদেষ্টা (বাকসাস) নাহিদা পারভীন এবং সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান সাবেহা সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক উপদেষ্টা (বাকসাস) প্রফেসর সায়েমা ফিরোজ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রফেসর সায়েমা ফিরোজ বলেন, ‘‘এরকম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করায় বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ। তরুণদের মাঝে সঠিক সাংবাদিকতা ছড়িয়ে পড়ুক, এটা আমাদের চাওয়া। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবাদিকতা পেশায় নিযুক্ত থাকা অনেক বড় অর্জন। যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ।’’
ডিআরইউ-এর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘‘এরকম আয়োজন দেখে অনেক আনন্দিত। এত শিক্ষার্থী সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন, সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। আমি বাকসাসকে অনুরোধ করব, আপনারা এমন আরো কর্মশালায় আয়োজন করবেন। এ ছাড়াও আমি উপাধ্যক্ষ ম্যামকে অনুরোধ করব, এই ক্যাম্পাসে জার্নালিজম বিভাগ চালু করতে যেন বিবেচনায় রাখা হয়।’’
সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
তিন দিনের কর্মশালায় সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও দেশবরেণ্য প্রথিতযশা সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতার কলাকৌশল ও রিপোর্টিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। এ ছাড়াও, টেলিভিশন সাংবাদিকতা, সংবাদ লিখন, ফিচার রাইটিং ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয়ে ‘বিশেষ প্রশিক্ষণ’ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন— মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান রুমান, সরকারি বাঙলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর সায়মা ফিরোজ, নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি ও আলোচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক মো.
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”
তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”
বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”
কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।
অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।
ঢাকা/এসবি