যৌন নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি, পাল্টে গেল ‘দ্য রেবেল কিড’ এর দুনিয়া
Published: 16th, February 2025 GMT
কনটেন্ট ক্রিয়েটর অপূর্বা মুখিজা। নেট দুনিয়ায় ‘দ্য রেবেল কিড’ নামেই পরিচিত তিনি। বিগত বহুদিন ধরেই মানুষের আক্রোশের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তুমুল সমালোচনার মুখে থাকা রণবীর এলাহাবাদিয়া যেই অনুষ্ঠানে একজন প্রতিযোগীকে পিতামাতার যৌনতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন সেই ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট প্যানেলের অংশ ছিলেন তিনি।
রণবীর তার মন্তব্যের জন্য সমালোচনার কবলে পড়লেও এখন জানা গেছে তার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণার শিকার হচ্ছেন অপূর্বাও।
অনলাইনে যৌন নির্যাতন, হয়রানি এবং মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন ‘দ্য রেবেল কিড’। সম্প্রতি অপূর্বার বন্ধু রিদা থারানা তার নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মন্তব্যকারীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি কখনো ভাবতেও পারিনি যে কিছু মানুষ নারীদের ঘৃণা করে, কেবল তারা নারী বলে। তারা নারী হিসেবে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, বেঁচে আছেন, নিজেকে ভালোবাসছেন, এমনকি বেড়ে ওঠার সাহস দেখাচ্ছেন এটাই মূল সমস্যা।
একজন নারীরও অন্য যে কারো মতো একই সমস্যা হতে পারে সেটা কেউ ভাবতে পারে না, কারণ তিনি একজন নারী। তাই সব সময় পরিস্থিতি আরো খারাপ করে হয়। যখন আপনাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়, আপনাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় এবং এমন একটি দেশে বাস করা হয়, যেখানে আপনাকে রক্ষা করার কথা ছিল, তখন আপনি কিভাবে নিরাপদ বোধ করবেন?’
এদিকে সাম্প্রতিক ইস্যুতে রাজস্থান ট্যুরিজমের ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম একাডেমির (আইফা) সহযোগিতায় ট্রেজার হান্ট শুট থেকে অপূর্বাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।