Samakal:
2025-11-02@20:25:58 GMT

শিশুর বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে

Published: 18th, February 2025 GMT

শিশুর বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে

এখনকার শিশুরা বই থেকে অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছে। তারা ঝুঁকে যাচ্ছে মোবাইল, ট্যাব কিংবা টেলিভিশনের প্রতি। এই আসক্তি তাদের বই পড়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছে। অথচ জ্ঞান অর্জন, কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুর মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
পরিবার থেকেই শুরু হোক বইয়ের প্রতি ভালোবাসা
শিশুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি মা-বাবা নিজেরাই বই পড়েন, শিশুও স্বাভাবিকভাবেই বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। শিশুকে গল্প পড়ে শোনানো, বই নিয়ে আলোচনা করা বা রাতে ঘুমানোর আগে গল্প বলা যেতে পারে। এসব ছোট ছোট অভ্যাস তার মনে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মাতে সাহায্য করবে।
বই নির্বাচন হোক শিশুর বয়স ও রুচির ভিত্তিতে
প্রত্যেক শিশুর রুচি ও আগ্রহ ভিন্ন। তাই বই বাছাইয়ের সময় তার বয়স ও পছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি। ছোটদের জন্য রঙিন ছবি ও সহজ ভাষার বই উপযুক্ত। বড় শিশুদের রূপকথা, কল্পকাহিনি, বিজ্ঞানভিত্তিক বই কিংবা ইতিহাসের গল্প তাদের মধ্যে কৌতূহল বাড়াতে পারে। বই নির্বাচন করার সময় শিশুকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিলে সে বইয়ের প্রতি আরও আগ্রহী হবে।
বইমেলা ও লাইব্রেরির প্রতি আগ্রহী করে তোলা
বইমেলা, লাইব্রেরি বা বইয়ের দোকানে নিয়ে গিয়ে শিশুকে নতুন বইয়ের জগৎ সম্পর্কে জানানো যেতে পারে। বইমেলায় ঘুরতে গেলে শিশুরা নানা ধরনের বই ও পছন্দের লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হতে এবং বই কেনার আনন্দ উপভোগ করতে পারে। পাশাপাশি যদি পরিবারে একটি ছোট্ট বুকশেলফ রাখা হয়, তাহলে শিশুরা বই পড়ার প্রতি আরও বেশি আগ্রহী হবে।
বইকে বিনোদনের অংশ করা
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। এটি যেন বইয়ের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে না ফেলে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুকে বইকে বিনোদনের অংশ করতে গল্প বলা প্রতিযোগিতা, বই পড়ে তার গল্প বলার অভ্যাস তৈরি করা বা বইয়ের চরিত্র নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
কীভাবে বই পড়াকে উপভোগ্য করা যায়?
১.

গল্প বলা ও অভিনয়ের মাধ্যমে পড়ানো চরিত্রগুলোর সংলাপ অভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে তারা আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে।
২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শিশু ধীরে ধীরে এটি উপভোগ করতে শুরু করবে।
৩. শিশু যদি বন্ধুর সঙ্গে বই আদান-প্রদান করে, তবে বই পড়ার আগ্রহ বাড়বে।
৪. শিশু যদি পড়ে একটি গল্প বলতে পারে বা গল্পের নৈতিক দিকগুলো বুঝিয়ে বলতে পারে, তবে তাকে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এতে সে আরও বই পড়তে উৎসাহিত হবে। v

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ