গতকাল সোমবার টার্কিশ ফুটবলের শীর্ষ লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শীর্ষ দুই ক্লাব গালাতাসারাই ও ফেনেরবাচে। হাইভোল্টেজ এই লড়াইটি শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।

এই ম্যাচের পর প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হন ফেনেরবাচ কোচ জোসে মরিনিও। মরিনিও বলেন, ঘরের মাঠে গালাতাসারাইয়ের বেঞ্চে থাকা সদস্যরা ‘বানরের মতো লাফালাফি করেছে।’ এ সময় রেফারি স্লোভেনিয়ান স্লাভকো ভিনচিচকে নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সমালোচনা করেছে তুরস্কের রেফারিদেরও।

মরিনিওর এমন মন্তব্য গালাতাসারাইয়ের সদস্যদের মধ্যে বেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। জবাবে তারা মারিনিওকে ‘বর্ণবাদী’ বলে মন্তব্য করে এবং পর্তুগিজ কোচের বিরুদ্ধে বারবার তুর্কি জনগোষ্ঠীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ এনেছে। গালাতাসারাই অবশ্য এটুকুতেই থামেনি।

তারা এখন মরিনিওর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি বর্ণবাদী মন্তব্যের জের মরিনিওর বিরুদ্ধে ফিফা ও উয়েফাতেও অভিযোগ দিতে যাচ্ছে গালাতাসারাই।

এর আগে দুই দলের অনুরোধে এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় স্লোভেনিয়ান রেফারি বেনচিচকে। আর ম্যাচ শেষে মরিনিও বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই রেফারিকে ধন্যবাদ দিতে চাই। প্রতিপক্ষের বেঞ্চের সদস্যরা তো বানরের মতো লাফালাফি করেছে। টার্কিশ রেফারি হলে প্রথম মিনিটেই আমাদের হলুদ কার্ড দেখানো হতো এবং আমাকে ৫ মিনিট পরই তাকে বদলি করে ফেলতে হতো।’

মরিনিও আরও যোগ করে বলেছেন,“‘আমি ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে রেফারির সঙ্গে দেখা করেছি। সেখানে চতুর্থ রেফারিও সে ছিল, যে একজন টার্কিশ। আমি তাকে (বেনচিচ) এই বড় ম্যাচটায় দায়িত্ব পালন করতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। এরপর আমি চতুর্থ রেফারিকে বলেছি, ‘যদি তুমি এই ম্যাচে রেফারি থাকতে তবে বিপর্যয় হয়ে যেত।’”

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ