রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে শ্বশুর-জামাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং ভুক্তভোগী পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে দলিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

এতে বক্তব্য দেন, দলিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিলাল দাস, সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দাস, আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ প্রমুখ। মানববন্ধনে সংগঠনের অন্য সদস্যরা ছাড়াও নিহতদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

রমেক ক্যাম্পাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় ড্যাব নেতা আটক

কাঙ্ক্ষিত বাজেট চেয়ে বেরোবির শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের হাত-পা ধরেও জীবন রক্ষা হয়নি শ্বশুর-জামাইয়ের। পুলিশ ও প্রশাসনের অবহেলার কারণেই এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাই দ্রুত বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি সারাদেশে মব ভায়োলেন্স দমন করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তারা বলেন, সারা দেশে যেভাবে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে একের পর এক তাণ্ডব, ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটছে, এসব ঘটনায় সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এখন পর্যন্ত কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সমালোচনা করেন বক্তারা।

অ্যাডভোকেট মনিলাল দাস বলেন, “প্রকাশ্যে চোর আখ্যা দিয়ে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা দুইজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উগ্রবাদীদের নিবৃত করতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। উপস্থিত থেকেও কেনো পুলিশ দায়িত্ব পালন করেনি, তার জবাব রাষ্ট্রকে দিতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিহত পরিবারগুলোর ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।”

গত ৯ আগস্ট রাতে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িহাট এলাকায় চোর সন্দেহে শ্বশুর-জামাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তারাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল

সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।

স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”

এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।

মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷  

অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।  

উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয়  এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদোন্নতি-নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ, আজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের মানববন্ধন
  • ড্রামে ২৬ টুকরা লাশ, দ্রুত বিচারের দাবিতে বদরগঞ্জে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
  • সিরাজগঞ্জে ‘যমুনা’ নামে নতুন উপজেলার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
  • পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে কুবিতে মানববন্ধন
  • সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
  • যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাবি অধ্যাপকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • তিন জেলায় বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন চেয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধে মানুষের দুর্ভোগ
  • রাজশাহীতে বিএনপির নারী কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন