স্থানীয়রা বলছেন, না খেয়ে থাকলেও পরিবারটি কারও কাছে কিছু চাইত না
Published: 16th, August 2025 GMT
রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিখর গ্রামের যে বাড়ি থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে এখনো মানুষের ভিড়। দূর–দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন, নানা কথা বলছেন। প্রতিবেশী ও কাছের মানুষেরা বলছেন, না খেয়ে থাকলেও মিনারুল কারও কাছে হাত পাততেন না। তাঁর স্ত্রীও চাইতেন না। দুই সন্তানও সেভাবেই বেড়ে উঠছিল। মিনারুল তাঁর বাবা-মা-ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে নিজের পরিবারের কাউকে মিশতে দিতেন না।
আজ শনিবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ওই এলাকায় অবস্থান করে এসব তথ্য জানা গেছে। মিনারুলের প্রতিবেশী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘মিনারুল অভাব-অনটন, ধারদেনায় জর্জরিত ছিল। ঠিকমতো পেটে ভাত জুটত না। এ কারণে নিজের পথ নিজে বাইছা নিছে। এই কথাগুলো কাউকেই বলেনি। নিজের বাড়ির মা-বাপ-ভাই-কাউকেই বলেনি কুনুদিন। প্রতিবেশীদেরও বলত না। বউও কাউকে বলত না। ছেলেমেয়েরাও ওর মতোই ছিল। তারাও বলত না। হয়তো কাক বলতে কাকে বলবে, সে বুঝেনি। সে ছিল চাপা স্বভাবের। কুনুদিন প্রকাশ করেনি। না খেয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় ঘুরেছে।’
মিনারুলের চাচা আবু তালেব বলেন, ‘ঋণের খবর বাবা বুলতি পারব না। অভাব ছিল। কিন্তু বুঝতে পারিনি। কাউকে বুলত না যে বাবা। ও যে এই ঘটনা ঘটাবে, এটা আমরা জানতাম না। এক আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।’
মিনারুলের প্রতিবেশী আলাল উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন আগে মিনারুল আমার কাছে এসে বুলল, “কাকা, টেকা ধার কোথাও পাওয়া যাবে কি না।” আমি বুললাম যে, “লাভ সুদে কেউ টেকা দিবে না, জমি বা পুকুর বন্দক লিয়ে দিবে।” পরে আর কথা হয়নি। শুনেছি বাবার কাছেও নাকি টেকা চেয়েছিল।’
চার মরদেহ উদ্ধারের পরদিন ওই বাড়িতে আজও মানুষের ভিড়। আজ সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিখর গ্রামে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন।
গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”
ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত