আইপিএলের শুরুতে বুমরাহকে পাচ্ছে না মুম্বাই
Published: 14th, March 2025 GMT
পিঠের চোটে ভুগছেন ভারতের তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এই চোটের কারণে সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারেননি তিনি। আর এবার আইপিএলের শুরুতেও মাঠে নামতে পারছেন না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই নির্ভরযোগ্য বোলার।
চলতি মার্চ মাসে তিনটি ম্যাচ খেলবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২৩ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আইপিএল শুরু করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এরপর ২৯ মার্চ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে খেলবে আহমেদাবাদে। আর ৩১ মার্চ ওয়াংখেড়েতে ঘরের মাঠে লড়বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। এই তিনটি ম্যাচেই থাকছেন না বুমরাহ।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের শুরুতে দলে যোগ দিতে পারেন বুমরাহ। সম্ভাব্যভাবে ৪ এপ্রিল লক্ষৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আইপিএলে ফিরতে পারেন তিনি। তবে মাঠে ফেরার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের মেডিকেল টিমের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের ওপর।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের শেষ টেস্টে পিঠের চোট পান বুমরাহ। এরপর থেকেই পুনর্বাসনে রয়েছেন তিনি। ভারতীয় নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকার জানিয়েছিলেন, বিসিসিআইয়ের মেডিকেল বিভাগ বুমরাহকে অন্তত পাঁচ সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিল। শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক দলে রাখা হলেও ফেব্রুয়ারির শুরুতে নতুন স্ক্যানের পর তাকে বাদ দেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।