সে যেন দুঃখের কারণ না হয়, পরীমণির ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট
Published: 16th, March 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার লাস্যময়ীকন্যা পরীমণি। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানারকম চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্পষ্টবাদী হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ জীবনের অনুষঙ্গ। এসব বিষয়েও তার বক্তব্য পরিষ্কার।
পরীমণি তার ভাবনার কথা প্রকাশ করতে ফেসবুক বেছে নেন। রবিবার (১৬ মার্চ) ভোররাতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এতে তিনি লেখেন, “আজ এখন যাকে নিয়ে তোমার সুখ খুঁজে পাচ্ছো, দেখো সে যেন তোমার দুঃখের কারণ না হয়! সোনা।”
ব্যক্তিগত জীবনে পরীমণি অভিনেতা শরিফুল রাজকে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন। এ দম্পতির পুণ্য (পদ্ম) নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। যদিও ভেঙে গেছে এই সংসার। একাই পুত্রকে মানুষ করছেন এই অভিনেত্রী। মাঝে মধ্যে প্রাক্তনকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন পরীমণি। এটিও ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা।
আরো পড়ুন:
কার বাহুডোরে পরীমণি?
‘পরীর বাচ্চাদের তথাকথিত বাপের দরকার নাই’
অভিনেত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নিয়ে নেটিজেনরা বেশ আলোচনা-সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, পরী তার প্রাক্তন স্বামী শরিফুল রাজকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
নেটিজেনদের অনেকের দাবি— ‘সোনা’ শব্দটি দিয়ে রাজকে বোঝাতে চেয়েছেন পরীমণি। অনেকেই পরীমণির বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে পোস্ট দিয়েছেন। এ অভিনেত্রীর পোস্টটি শেয়ার দিয়ে একজন লিখেন, “পরী রাজকে ভুলতে না পেরে এমন পোস্ট করেছে।”
সাব্বির নামে একজন লেখেন, “দেখ সময় কোথায় নিয়ে যায়?” ফারহান লেখেন, “কষ্ট পেয়ে এভাবে রাজকে মিস করার কী আছে। নিজেকে নিজে ভালোবাসেন।” এমন অনেক মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্ম হয়। পরে পরীমণি একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
জীবনের পাঁচটি দশক পেরিয়ে আসা একজন নারীর সামনে জীবনটা দেখা দেয় এক ভিন্ন রূপে। শারীরিক পরিবর্তন তো ঘটেই, মনের জগতেও ঘটে অদলবদল। অনেকের ধারণা, এই বয়সে এসে খাবারদাবারের প্রতি তেমন গুরুত্ব না দিলেও চলে। বাস্তবতা হলো, এই বয়সে দেহের চাই আরও বেশি যত্ন, আরও বেশি মনোযোগ। সুস্থ থাকতে বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন প্রয়োজন, তেমনি নির্দিষ্ট ধরনের খাবার বাদ দেওয়াও জরুরি। পরিবারের ৫০ পেরোনো নারীর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সেসব দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে বাকিদেরও।
এই বয়সে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ঝুঁকিতে থাকেন একজন নারী। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ে যায়, ভেঙে যায় সহজেই। পড়ে গেলে তো ভাঙেই, জোরে টান লাগলেও হাড় ভেঙে যেতে পারে কারও কারও। টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান বলেন, ‘৫০ পেরোনোর পর একজন নারীর ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি এড়াতে এই বয়সেও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে রোজ। পরিবারের খুদে সদস্যটির জন্য যেমন, তেমনি বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর জন্যও রোজ এক গ্লাস দুধ বরাদ্দ রাখতে হবে। এই ক্যালসিয়ামকে পুরোপুরিভাবে দেহের কাজে লাগাতে প্রয়োজন ভিটামিন ডি। সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’
ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই
এক গ্লাস দুধ কিংবা তা দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন রোজ। দই বা লাচ্ছি খেতে পারেন। কাঁটাসহ ছোট মাছ খেতে পারলে তা থেকেও ক্যালসিয়াম মিলবে। গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি, যেমন পালংশাক, ব্রকলি ও কাঠবাদামেও পাবেন কিছুটা ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের উপকার পেতে অবশ্যই ভিটামিন ডি চাই। এর জন্য রোজ রোদে সময় কাটানোর অভ্যাস করুন। দেহের বেশ খানিকটা অংশে প্রতিদিন রোদ লাগান, অন্তত ২০ মিনিট ধরে।
রোজ দুধ খেলে শরীর ভালো থাকবে