নুরুল হাসান সেঞ্চুরি পেলেন। তাতে দুই ম্যাচ পর তাঁর দল ধানমন্ডি ক্লাব পেল জয়ের দেখাও। সেঞ্চুরি করে সাদমান ইসলাম জয় এনে দিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংককে। আজ জয়ে পেয়েছে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবও , এবার ম্যাচসেরা দলটির অধিনায়ক আজিজুল হাকিম।

আবার জিতেছে গুলশান

মিরপুরে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। ৭৯ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন আজিজুল। ৪৯ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ইফতেখার হোসেন। ১০ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন পারটেক্সের তৌফিক আহমেদ।

রান তাড়ায় ৪৩.

২ ওভার খেলে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে ৫৭ রানে হারে পারটেক্স। দলটির হয়ে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রবিউল ইসলাম। ৫ ম্যাচের তিনটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে গুলশান।

নুরুলের সেঞ্চুরি, ধানমন্ডির জয়

টানা দুই ম্যাচে বড় হারের পর জয়ে ফিরেছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। আজ বিকেএসপিতে শাইনপুকুরকে ৯৭ রানে হারিয়েছে তারা। এই জয়ের পথে সেঞ্চুরি করেছেন ধানমন্ডির অধিনায়ক নুরুল হাসান। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ধানমন্ডি ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে।

শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না দলটির, ওপেনার হাবিবুর ৪২ বলে ৪৫ রান করলেও ধানমন্ডি ৭৬ রানে হারায় ৪ উইকেট। এরপর ১১৩ রানের জুটি গড়েন নুরুল ও সানজামুল ইসলাম। ৫৪ বলে ৪০ রান করে সানজামুল ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন নুরুল। ১৩১ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩২ রান করেন তিনি। শাইনপুকুরের রায়ান রাফসান নেন ৩ উইকেট।

ব্যাট হাতে রান পাওয়া সানজামুল বল হাতে ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নেন ৪  উইকেট, ৩টি উইকেট পেয়েছেন কামরুল ইসলাম। ৪৫.৩ বল খেলে ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় শাইনপুকুর। ৭০ বলে দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন রহিম আহমেদ।

সাদমানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর বড় জয়

সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ২৬০ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ। রান তাড়ায় নেমে ৪৪.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অগ্রণী ব্যাংক।

শুরুতে ব্যাট করতে নামা রূপগঞ্জের হয়ে ১০৯ বলে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন ওপেনার অমিত মজুমদার। এ ছাড়া ৭৭ বলে ৫৭ রান আসে আসাদুল্লাহ আল গালিবের ব্যাটে। ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের রুয়েল মিয়া ও তাইবুর রহমান।

রান তাড়ায় নেমে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় অগ্রণী ব্যাংক। ২০ বলে ২৮ রান করে ওপেনার ইমরানুজ্জামান আউট হলে এই জুটি ভাঙে। এরপর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন সাদমান ইসলাম। ৫৮ বলে ৬২ রান করে ইমরুল আউট হন। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়া সাদমান ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর ন ব য ট কর ধ নমন ড উইক ট ইসল ম দলট র

এছাড়াও পড়ুন:

২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২

লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিনেই জমে উঠেছে খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্কের দৃঢ়তায় ২০৭ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৮২ রান।

ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন চারটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট তুলে নেন এই প্রোটিয়া গতিতারকা। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত ছিলেন মিচেল স্টার্ক, খেলেছেন ৫৮ রানের কার্যকরী ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ ও বেউ ওয়েবস্টার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। জবাবে কামিন্সের আগুনে পেসে ১৩৮ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। একে একে ব্যর্থ হন উসমান খাজা (৬), ক্যামেরুন গ্রিন (০), ট্র্যাভিস হেড (৯), স্টিভ স্মিথ (১৩) ও কামিন্স (৬)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৬১ রানের জুটি। ক্যারি করেন ৪৩ রান, স্টার্ক তুলে নেন ফিফটি।

শেষ উইকেটে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে আরও একবার প্রতিরোধ গড়েন স্টার্ক। দুইজন মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ২০০ পেরিয়ে। শেষ পর্যন্ত হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন এইডেন মার্করাম।

এখন প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার। প্রথমবারের মতো টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে তাদের প্রয়োজন ২৮২ রান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অজিদের হারিয়ে টেস্টের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা 
  • ২৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দ. আফ্রিকা
  • ২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২
  • প্রোটিয়াদের গুড়িয়ে দিলেন কামিন্স