তারকা অভিনয়শিল্পী আফরান নিশো ও তমা মির্জা ‘দাগী’ সিনেমার প্রচার প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত। তাদের অভিনীত সিনেমাটি আসছে ঈদে মুক্তি পাবে। শত ব্যস্ততার মাঝেও এই জুটি হাজির হবেন অতিথি জুরি হিসেব। তাদের সঙ্গে দীপ্ত স্টার হান্টের টেরিফিক টুয়েন্টির এপিসোড থাকছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও দিঘীও।
মোট ২০ জন প্রতিযোগী তাদের বিভিন্ন পারফর্ম্যান্স দিয়ে মূল জুরি বোর্ডের সঙ্গে অতিথি জুরিদের মূল্যায়ন গ্রহণ করবে এসব এপিসোডগুলোতে। যারা ভালো করবেন তারা চলে যাবেন পরের রাউন্ডে অর্থাৎ সুপার সিক্সটিনে। তবে যারা খারাপ করবেন তারা পড়ে যাবেন বাদ। কারা পরের রাউন্ডে আর কারা পড়ে যাচ্ছেন বাদ তা জানতে চোখ রাখতে হবে প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত ১০টায় দীপ্ত স্টার হান্টের এপিসোডগুলোতে। আজ রাত দীপ্ত টিভির পর্দায় হাজির হচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও দীঘি। আগামী শুক্র ও শনিবার থাকবেন নিশা-তমা।
পারফর্ম্যান্স চ্যালেঞ্জ
নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এবার প্রতিযোগীরা। তারা একই সাথে যেমন লাইভ অডিয়েন্সের মধ্যে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার 'ডেয়ার চ্যালেঞ্জ'-এর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, তেমনই 'সিন রিক্রিয়েশন' এর চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের সিনেমাজগতের সুপারস্টারদের দৃশ্যকে প্রেজেন্ট করতে হচ্ছে নতুনভাবে। অন্যদিকে জনপ্রিয় সব গানের সাথে ডান্স পারফরম্যান্স করে মুগ্ধ করতে হচ্ছে জুরিদের। কঠিন কঠিন পারফর্ম্যান্সের বাধা পেরিয়ে প্রতিযোগীরা সুপার সিক্সটিনে যাওয়ার জন্য লড়াই করছে টেরিফিক টুয়েন্টির ৪টি এপিসোডে।
জুরিবোর্ড জমজমাট
তারিক আনাম খান, শিহাব শাহীন এবং রাফিয়াত রশিদ মিথিলার মতো তারকাজুড়ির সাথে অতিথি জুরি হিসেবে টেরিফিক টুয়েন্টির এপিসোডগুলোতে উপস্থিত থাকছেন আফরান নিশো, তমা মির্জা, দিঘী ও গিয়াস উদ্দিন সেলিমদের মতো তারকাদের। প্রতিযোগীদের প্রেরণার সাথে সাথে তারা দিয়েছেন অভিনয় ও শো-বিজ জগতের নানা টিপসও।
সুপারস্টার হওয়ার পথে সেরা প্রতিযোগীদের সুযোগ
‘দীপ্ত স্টার হান্ট’ শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা না, এটি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। কারণ দীপ্ত স্টার হান্টের বিজয়ীরা পাবেন বড় পর্দার সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও টিভি সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ। কাজী মিডিয়া লিমিটেড বিজয়ীদের সঙ্গে দুই বছরের এক্সক্লুসিভ চুক্তি করবে, যেখানে তারা নিয়মিতভাবে অভিনয়ের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাবেন।
দীপ্ত স্টার হান্ট সঞ্চালনা করছেন ইসমাত জেরিন চৈতি এবং এর নির্বাহী প্রযোজনার দায়িত্বে আছেন সাইফুর রহমান সুজন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা
রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।
এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।
রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।
এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।
সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।
রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫