সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে বিরোধে হামলার শিকার দুই যুবককে হাসপাতালেও মারধর
Published: 25th, March 2025 GMT
সিলেট নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকায় সিগারেটের ধোঁয়া ছোড়া নিয়ে হোটেল কর্মচারীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে হামলা করা হয় দুই যুবকের ওপর। ওই সময় ভাঙচুর করা হয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটের ফ্রন্ট ডেস্ক। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর হামলাকারী তিনজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন উসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই পলাশ। সোমবার রাত ৯টা ও ১১টার দিকে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে মীরবক্সটুলা এলাকার ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের পাশে ধূমপান করছিল ওই রেস্টুরেন্টের কয়েকজন কর্মচারী। ওই সময় চা পান করতে আসা দুই যুবক তাদের সিগারেটের ধোঁয়া অন্যদিকে ছুড়তে বলেন। এতে তাদের কথা না শুনে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করা হয় যুবকদের ওপর। এ নিয়ে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
আহত দুই যুবককে ওসমানী হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু রাত ১১টার দিকে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীসহ কয়েকজন কিশোর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবায় বাধা ও তাদের ওপর হামলা করে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন পুলিশের নায়েক সুবাশীষ, হাসপাতালের স্টাফ মিটু ও এক মহিলা নার্স। তাৎক্ষণিকভবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। তারা হলো- জকিগঞ্জ উপজেলার শাহজালালপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে, নগরীর মীরবক্সটুলা ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী গিয়াস উদ্দিন রানা, তার ভাই মোস্তাক হোসেন ও একই রেস্তোরার কর্মচারী জকিগঞ্জের আব্দুল আহাদের ছেলে আব্দুর রহিম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত
এছাড়াও পড়ুন:
চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।