শ্রমজীবী মানুষ ও পথ শিশুদের পাশে ভালো সেন্ট্রাল
Published: 27th, March 2025 GMT
কারো হাতে পুতুল, কারো হাতে ব্যাট-বল। ওসের বয়স ৫ থেকে ১৩ বছর। ওরা সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। যাদের বাবা-মায়ের সাধ্য নেই সন্তানদের ঈদের জামার সাথে খেলনা কিনে দেয়ার।
এসব শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের এবার ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে পাশে দাড়িয়েছে ভালো সেন্ট্রাল। রান্না করা খাবারের প্যাকেটের সাথে প্রতিটি শিশুর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে খেলনা।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে নিতাইগঞ্জ ডাইলপট্টি এলাকায় ভালো সেন্ট্রাল কার্যালয়ে এসব পথ শিশুদের হাতে তুলে দেয়া এসব খেলনা ও খাবারের প্যাকেট। খেলনা পেয়ে বেশ খুশী এসব শিশুরা। নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে শিশুরা জানায়, আমরা খুশী এসব খেলনা পেয়ে। ঈদের আগে এসব খেলনা পাবো ভাবতেই পারি নাই।
এদিন বিকেলে ওই এলাকার শ্রমজীবী প্রায় সহস্রাধিক মানুষের হাতে তুলে দেয়া হয় রান্না করা খাবার। যাদের হাতে এসব খাবার তুলে দেয়া হয় তারা সবাই ডেইলি লেবার হিসেবে কাজ করে থাকেন। কেউ ৩০০ কেউ বা ৪০০ টাকা হাজিরায় কাজ করেন লোড আনলোডের।
এসব শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে ঈদ ছাড়া ভালো খাবার খাওয়া হয়ে উঠে না। তাদের কাছে এক বেলা মোরগ পোলাও খাওয়া বিলাসীতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এসব হত দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার বিতরণ করছে ভালো সেন্ট্রাল। শুধু রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নয়, বছর জুড়েই শ্রমিক অধ্যুষিত নিতাইগঞ্জ, মন্ডলপাড়া এলাকার শ্রমিকদের মাঝে খাবার বিতরণের এ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে সংস্থাটি।
যার নেপথ্যে রয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী তরুণ উদ্যোগক্তা শারিয়ার রহমান। আর বাংলাদেশে এটা সমন্বয় করছেন আরেক তরুণ উদ্যোগক্তা তাজুল ইসলাম রাজীব। প্রতিদিন অন্তত ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন। ভালো সেন্ট্রালের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে ভালো সেন্ট্রালের মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান ভুট্টো বলেন, পুরো রমজান মাস জুড়েই আমরা শ্রমজীবী মানুষের পাশে ছিলাম। অতিতের মতো ভালো সেন্ট্রাল শ্রমজীবী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ শ রমজ ব এসব খ
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক