ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যা
Published: 1st, April 2025 GMT
ঈদের রাতে সাভারে রুবেল (৩০) নামে এক নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেলের বাড়ি বরিশাল। তিনি বাঁশপট্টি মহল্লার মনিরের মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ‘‘রুবেল দুই মাস হলো বাঁশপট্টি এলাকায় রাতে নৈশ প্রহরীর কাজ করে। আজ রাত ১১টার দিকে রুবেলের মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপরে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কিছু সময় পরেই বাসায় খবর আসে রুবেলকে গুলি করছে। এরপর আমরা তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
বুলেটের ক্ষত বলে জানিয়েছেন হরনাথ।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল মিঞা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছে। তবে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।’’
সাব্বির//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।