২৫ বছর পর বায়ার্ন ছাড়ার ঘোষণা টমাস মুলারের
Published: 5th, April 2025 GMT
পেশাদার ফুটবলে মাত্র দুটি জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন টমাস মুলার। একটি জার্মানির, আরেকটি বায়ার্ন মিউনিখের। গত বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া মুলার এবার বায়ার্নকেও বিদায় জানানোর পথে। ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, চলতি মৌসুম শেষেই বায়ার্ন ছাড়তে চলেছেন তিনি। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন কর্তৃপক্ষও।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এক ক্লাবে সবচেয়ে বেশি সময় খেলা চালিয়ে যাওয়ার রেকর্ডটা মুলারের। ২০০০ সালে বায়ার্ন একাডেমিতে যোগ দেওয়া মুলার ক্লাবটির সঙ্গে আছেন টানা ২৫ বছর।
২০২৪-২৫ মৌসুম শেষে বায়ার্ন থেকে বিদায়ের খবর জানিয়ে ক্লাবের বিবৃতিতে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন মুলার। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে বায়ার্নের সঙ্গে বেড়ে ওঠার প্রসঙ্গ তুলে বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আজকের দিনটা আমার অন্য সব দিনের মতো নয়। বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় হিসেবে আমার ২৫ বছরের পথচলা এই গ্রীষ্মে শেষ হতে চলেছে। এটা এক অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, যা অনন্য সব অভিজ্ঞতা, দুর্দান্ত সব লড়াই এবং অবিস্মরণীয় সব জয়ে ভরা।’
জার্মানির হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতা বায়ার্নের সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম খেলেন ২০০৮-০৯ মৌসুমে। গত ১৭ মৌসুমে বায়ার্নের যত অর্জন, সবকিছুর সঙ্গে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। এ সময়ে মুলার বুন্দেসলিগায় ১৫০টি সহ ৭৪৩ ম্যাচে মোট ২৪৭ গোল করেছেন।
বায়ার্নের হয়ে জিতেছেন ১২টি বুন্দেসলিগা, ৬টি জার্মান কাপ, ৮টি জার্মান সুপার কাপ, ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ২টি উয়েফা সুপার কাপ এবং ২টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।
মুলারের পর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এক ক্লাবে সবচেয়ে লম্বা সময় খেলা চালিয়ে যাওয়া খেলোয়াড় আতলেতিকো মাদ্রিদের কোকে, যিনি ক্লাবটিতে আছেন ২০০৯ থেকে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।