পেশাদার ফুটবলে মাত্র দুটি জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন টমাস মুলার। একটি জার্মানির, আরেকটি বায়ার্ন মিউনিখের। গত বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া মুলার এবার বায়ার্নকেও বিদায় জানানোর পথে। ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, চলতি মৌসুম শেষেই বায়ার্ন ছাড়তে চলেছেন তিনি। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন কর্তৃপক্ষও।

ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এক ক্লাবে সবচেয়ে বেশি সময় খেলা চালিয়ে যাওয়ার রেকর্ডটা মুলারের। ২০০০ সালে বায়ার্ন একাডেমিতে যোগ দেওয়া মুলার ক্লাবটির সঙ্গে আছেন টানা ২৫ বছর।

২০২৪-২৫ মৌসুম শেষে বায়ার্ন থেকে বিদায়ের খবর জানিয়ে ক্লাবের বিবৃতিতে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন মুলার। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে বায়ার্নের সঙ্গে বেড়ে ওঠার প্রসঙ্গ তুলে বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আজকের দিনটা আমার অন্য সব দিনের মতো নয়। বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় হিসেবে আমার ২৫ বছরের পথচলা এই গ্রীষ্মে শেষ হতে চলেছে। এটা এক অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, যা অনন্য সব অভিজ্ঞতা, দুর্দান্ত সব লড়াই এবং অবিস্মরণীয় সব জয়ে ভরা।’

জার্মানির হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতা বায়ার্নের সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম খেলেন ২০০৮-০৯ মৌসুমে। গত ১৭ মৌসুমে বায়ার্নের যত অর্জন, সবকিছুর সঙ্গে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। এ সময়ে মুলার বুন্দেসলিগায় ১৫০টি সহ ৭৪৩ ম্যাচে মোট ২৪৭ গোল করেছেন।

বায়ার্নের হয়ে জিতেছেন ১২টি বুন্দেসলিগা, ৬টি জার্মান কাপ, ৮টি জার্মান সুপার কাপ, ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ২টি উয়েফা সুপার কাপ এবং ২টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।

মুলারের পর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এক ক্লাবে সবচেয়ে লম্বা সময় খেলা চালিয়ে যাওয়া খেলোয়াড় আতলেতিকো মাদ্রিদের কোকে, যিনি ক্লাবটিতে আছেন ২০০৯ থেকে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এখনো অভিনয়ের রানি হয়ে আছেন শাবানা

চার দশক ধরে এমন সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা মানুষের মনে গেঁথে গেছে। নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা শাবানার নাম শুনলে আবেগপ্রবণ হন, গর্ব বোধ করেন। ২৫ বছর আগে অভিনয়কে বিদায় জানানো শাবানা এখনো কোটি বাঙালির হৃদয়ে অভিনয়ের রানি হয়ে আছেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনয়ের এই রানির আজ জন্মদিন। ১৯৫২ সালে আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসেবে ৭৩ বছর পূর্ণ করে ৭৪–এ পদার্পণ করলেন শাবানা।

মাত্র আট বছর বয়সে সিনেমায় অভিনয়ে নাম লেখান শাবানা। এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ নামের ছবিতে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ‘চকোরী’ ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় শুরু। ২৫ বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন চলচ্চিত্রের গুণী এই অভিনয়শিল্পী।

অভিনয়জীবনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হুট করেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। শুরুর দিকে নিউইয়র্কে থাকলেও এখন স্বামী, সন্তান, নাতি-নাতনি নিয়ে নিউ জার্সিতে থাকছেন।

শাবানা যখন অভিনয় ছেড়ে দেন, তখন ফেসবুক ছিল না। সামাজিক যোগাযোগের অন্য কোনো মাধ্যমও ছিল না। এখন এই বিশেষ দিনে পরিচিত, অপরিচিত সবাই ফেসবুকে নানা কিছু লিখছেন। পুরোনো দিনের অনেক স্থিরচিত্রও পোস্ট করে থাকেন।

জুটি হিসেবে আলমগীরের সঙ্গেই তিনি ১৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া রাজ্জাক, ওয়াসিম, উজ্জ্বলের সঙ্গেও অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। পাকিস্তানি নায়ক নাদিমের সঙ্গেও দর্শক তাকে পছন্দ করেছিল।

শাবানার উল্লেখযোগ্য সিনেমা গুলো হল- ‘চকোরী’, ‘মধু মিলন’, ‘অবুঝ মন’, ‘চান্দ সুরজ’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, ‘চৌধুরী বাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘স্বীকৃতি’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অতিথি’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘জননী’, ‘মাটির ঘর’, ‘সখী তুমি কার’, ‘শেষ উত্তর’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘নাজমা’, ‘ভাত দে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘লালু ভুলু’, ‘মা ও ছেলে’, ‘লাল কাজল’, ‘নালিশ’, ‘ঘরের বউ’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘নতুন পৃথিবী’, ‘হিম্মতওয়ালী’, ‘বাসেরা’, ‘হালচাল’, ‘চাঁপা ডাঙ্গার বউ’, ‘অশান্তি’, ‘বিরোধ’ ও ‘স্বামী স্ত্রী’ ইত্যাদি।

ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৩ সালে শাবানা বিয়ে করেছেন পরিচালক ওয়াহিদ সাদিককে। দুটি কন্যা ও একটি পুত্রসন্তান ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে চলে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ