আট দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেন জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো- ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় শ্রেণি হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে ডি.

এ.ই অধীনস্থ থেকে বের করে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আলাদা প্রতিষ্ঠান করতে হবে, সকল কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধুমাত্র ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম দশম গ্রেডের পে স্কেলে বেতন দিতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদেরকে মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান করতে হবে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে প্রবেশের পর ৬ মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রায়হান উদ্দিন শামীম বলেন, ‘‘সারা দেশের কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এর প্রেক্ষিতে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি চূড়ান্ত করে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় স্মারকলিপি প্রদান করে। কিন্তু, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো লিগ্যাল নোটিশ না পাওয়ায় নিজেদের অধিকার আদায়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করে। সারা দেশে কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলনের ব্যনারে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালী এটিআইয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।’’

ঢাকা/সুজন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয় থেকে বর্তমানে বিভিন্ন চলমান প্রকল্প ও গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথি নিয়ে গেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান চালায় দুদকের দলটি।

অভিযানে ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। অভিযান শেষে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে অভিযান চালান। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ ও বর্তমানে যেসব কাজ চলমান রয়েছে, সেসব কাজের আমরা তথ্য চেয়েছি। এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা দেখতে এখানে এসেছি। এখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, এখানে কাজের ভলিউম বেশি, তাই সেসব কাজের বিষয়ে তথ্য চেয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে আমরা এই অফিসে আবার আসব।’

বেলা তিনটার দিকে দুদকের দলটি এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করে। দুদক দলের অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী শামসুর নাহার প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের একটি দল তাঁর কার্যালয়ে এসেছিল। তারা বর্তমান চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কী অবস্থা ও গত পাঁচ বছরের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেসবের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি