এনরিকে ও ক্যাম্পোসের পিএসজির চারে চার
Published: 6th, April 2025 GMT
প্যারিস স্যান্ট জার্মেইন (পিএসজি) ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাটাকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। সবশেষ লিলের কাছে ২০২০/২১ মৌসুমে লিগ শিরোপা খুইয়েছিল প্যারিসের জায়ান্টরা। এরপর দলের অবস্থা যাই থাকুক, লিগ ওয়ানের শ্রেষ্ঠত্ব হারায়নি পিএসজি। শনিবার (৫ মার্চ) টানা চতুর্থবারের মতো ফ্রান্সের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করল তারা। তাও আবার ৬ ম্যাচ হাতে রেখে।
সমীকরণটা সহজ ছিল। শনিবার অঁজের বিপক্ষে পিএসজি কেবল ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত। লুইস এনরিকের দলের অপেক্ষা সহ্য হচ্ছিল না। কোন ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে তারা অঁজেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। ন্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন দেজিরে দোয়ের।
আরো পড়ুন:
পারলেন না মেসি-নেইমার, ফরাসি কাপ থেকে পিএসজির বিদায়
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক
লিগ ওয়ানের ২৮ রাউন্ডের খেলা শেষে পিএসজি ৭৪ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে। এখনও তাদের হাতে ৬টি ম্যাচ আছে। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকো থেকে ২৪ পয়েন্ট এগিয়ে এনরিকের দল। মোনাকো বাকি সব ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ৭১ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে।
এটি পিএসজির ইতিহাসের ১৩তম লিগ ওয়ান শিরোপা। যা ফ্রান্সে একটি রেকর্ড। তাছাড়া আরব মালিকানার কাছে যাওয়ার পর (২০১২-১৩ মৌসুম থেকে) এটি প্যারিসের জায়ান্টদের ১১তম শিরোপা।
পিএসজির অধিনায়ক মারকুইনহোস ২০১৩ সালে ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। এই ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি ১০টি লিগ ওয়ান শিরোপায় চুমু খেতে পেরেছেন।
মারকুইনহোস বলেন, “ব্যাপারটা আমার কাছে উত্তজনার, আমি সত্যিই খুশি। এতদিন ধরে একটি শীর্ষ দলের সঙ্গে থাকা একটি চ্যালেঞ্জ। এই শিরোপাগুলি ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে সবকিছু জেতার। যখন ফরাসি চ্যাম্পিয়নশিপ না জিতি, তখন কষ্ট হয়। এটা আমার সাথে দুইবার ঘটেছে।”
"এটা আমাদের ডিএনএ-তে আছে, মাঠে সবকিছু দেওয়ার, একটি আগ্রাসী দর্শন ধারন করার, এবং প্রতিটি ম্যাচে আমাদের জার্সি ভিজিয়ে ফেলার, তা যেই প্রতিপক্ষ হোক না কেন। ছোটবেলা থেকে আমি এমন দলে খেলেছি যাদের এই ডিএনএ ছিল।"
প্রথমার্ধে গোল হয়নি, তবে পিএসজি পুরোপুরি বল নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তারা ১১টি শট নিয়েছিল, যার মধ্যে গঞ্জালো রামোস প্রায় অর্ধেক শট নিয়েছিলেন। তবে এই পর্তুগিজ গোলের দেখান পাননি।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে ১০ মিনিটের মাঝে পিএসজিকে লিড এনে দেন দোয়ের। এই ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দারুণ এক ভলি শটে গোল করেন, যা তার এই সিজনে পঞ্চম লিগ গোল। অ্যসিস্টটি করেন জানুয়ারির দলবদলে যোগ দেওয়া খভিচা কভারাতস্কেলিয়া।
এনরিক ২০২৩-২৪ মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাত্র দুইটি লিগ ম্যাচ হারেছেন। এই স্প্যানিশ কোচ প্রমাণ করেছেন যে, লিওনেল মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপে চলে যাওয়ার পরও দলগত শক্তি মোটেই খর্ব হয়নি। শেষ বাঁশি বাজানোর পর এনরিক ছুটে যান পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস কাছে। একে অপরকে আলিঙ্গন করেন তাঁরা। কাম্পোস ২০২২-২৩ মৌসুমে যোগ দেন পিএসজিতে। এই পর্তুগিজ স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরপর পিএসজি পুনর্গঠনে নিশেষ অবদান রাখেন।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসজ প এসজ র এনর ক
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত