প্যারিস স্যান্ট জার্মেইন (পিএসজি) ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাটাকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। সবশেষ লিলের কাছে ২০২০/২১ মৌসুমে লিগ শিরোপা খুইয়েছিল প্যারিসের জায়ান্টরা। এরপর দলের অবস্থা যাই থাকুক, লিগ ওয়ানের শ্রেষ্ঠত্ব হারায়নি পিএসজি। শনিবার (৫ মার্চ) টানা চতুর্থবারের মতো ফ্রান্সের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করল তারা। তাও আবার ৬ ম্যাচ হাতে রেখে।

সমীকরণটা সহজ ছিল। শনিবার অঁজের বিপক্ষে পিএসজি কেবল ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত। লুইস এনরিকের দলের অপেক্ষা সহ্য হচ্ছিল না। কোন ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে তারা অঁজেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। ন্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন দেজিরে দোয়ের।

আরো পড়ুন:

পারলেন না মেসি-নেইমার, ফরাসি কাপ থেকে পিএসজির বিদায় 

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক

লিগ ওয়ানের ২৮ রাউন্ডের খেলা শেষে পিএসজি ৭৪ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে। এখনও তাদের হাতে ৬টি ম্যাচ আছে। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকো থেকে ২৪ পয়েন্ট এগিয়ে এনরিকের দল। মোনাকো বাকি সব ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ৭১ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারবে।

এটি পিএসজির ইতিহাসের ১৩তম লিগ ওয়ান শিরোপা। যা ফ্রান্সে একটি রেকর্ড। তাছাড়া আরব মালিকানার কাছে যাওয়ার পর (২০১২-১৩ মৌসুম থেকে) এটি প্যারিসের জায়ান্টদের ১১তম শিরোপা।  
পিএসজির অধিনায়ক মারকুইনহোস ২০১৩ সালে ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। এই ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি ১০টি লিগ ওয়ান শিরোপায় চুমু খেতে পেরেছেন।

মারকুইনহোস বলেন, “ব্যাপারটা আমার কাছে উত্তজনার, আমি সত্যিই খুশি। এতদিন ধরে একটি শীর্ষ দলের সঙ্গে থাকা একটি চ্যালেঞ্জ। এই শিরোপাগুলি ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে সবকিছু জেতার। যখন ফরাসি চ্যাম্পিয়নশিপ না জিতি, তখন কষ্ট হয়। এটা আমার সাথে দুইবার ঘটেছে।”

"এটা আমাদের ডিএনএ-তে আছে, মাঠে সবকিছু দেওয়ার, একটি আগ্রাসী দর্শন ধারন করার, এবং প্রতিটি ম্যাচে আমাদের জার্সি ভিজিয়ে ফেলার, তা যেই প্রতিপক্ষ হোক না কেন। ছোটবেলা থেকে আমি এমন দলে খেলেছি যাদের এই ডিএনএ ছিল।"

প্রথমার্ধে গোল হয়নি, তবে পিএসজি পুরোপুরি বল নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তারা ১১টি শট নিয়েছিল, যার মধ্যে গঞ্জালো রামোস প্রায় অর্ধেক শট নিয়েছিলেন। তবে এই পর্তুগিজ গোলের দেখান পাননি।

বিরতির পর খেলা শুরু হলে ১০ মিনিটের মাঝে পিএসজিকে লিড এনে দেন দোয়ের। এই ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দারুণ এক ভলি শটে গোল করেন, যা তার এই সিজনে পঞ্চম লিগ গোল। অ্যসিস্টটি করেন জানুয়ারির দলবদলে যোগ দেওয়া খভিচা কভারাতস্কেলিয়া।

এনরিক ২০২৩-২৪ মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাত্র দুইটি লিগ ম্যাচ হারেছেন। এই স্প্যানিশ কোচ প্রমাণ করেছেন যে, লিওনেল মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপে চলে যাওয়ার পরও দলগত শক্তি মোটেই খর্ব হয়নি। শেষ বাঁশি বাজানোর পর এনরিক ছুটে যান পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস কাছে। একে অপরকে আলিঙ্গন করেন তাঁরা। কাম্পোস ২০২২-২৩ মৌসুমে যোগ দেন পিএসজিতে। এই পর্তুগিজ স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরপর পিএসজি পুনর্গঠনে নিশেষ অবদান রাখেন। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসজ প এসজ র এনর ক

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা