‘দ্যা ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি বৈবিছাআ’র পূর্ণ সংহতি ঘোষণা
Published: 6th, April 2025 GMT
বিশ্বব্যাপী ‘দ্যা ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি ঘোষণা ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা। তারা বলেন, আমাদের সংহতি সকলকে সমস্বরে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
রোববার (৬ এপ্রিল) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রিজন আহমেদ নিলয় সাক্ষরতি বিবৃতিতে বলা হয়, সমগ্র বিশ্ব আজ এক ভয়াবহ নৃশংসতা, অমানবিক তাণ্ডব, নির্মমতার নিশ্চুপ সাক্ষী।
মাসের পর মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীর ওপর পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ এমনকি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পর্যন্ত এই আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি।
হাজার হাজার শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষকে হত্যা সহ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত, অনাহারে ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে। এই ভয়াবহতা কেবল কোনো ভূ-রাজনৈতিক সংকট নয়, এটি ইতিহাসের এক গভীরতম মানবিক বিপর্যয়।
আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং এটি মানবতার বিরুদ্ধে সংগঠিত ভয়াবহ অপরাধ। একটানা বোমাবর্ষণ, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, শিশুহত্যা-মূলত মানবতার বিরুদ্ধাচরণ।
আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা-সচেতনভাবে গাজায় চলমান নৃশংস গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী "দ্যা ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা" কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।
আমরা আশা করি, আমাদের সংহতি সকলকে সমস্বরে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে আমরা সকল বিবেকবান মানুষকে গাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যাদের টাকা নিয়েছেন, তাদের ফেরত দেন : মাকসুদ চেয়ারম্যানকে সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৫টি বছর বন্দরের মানুষ ভালো ছিল না কারণ এখানে অপশাসন চলেছিল।
এই বন্দরে চলত ওই সেলিম ওসমানের শাসন তিনি এই বন্দরকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিলেন। আর তার কিছু সর্দার মানে লাঠিয়াল ছিল তাদেরকে ব্যবহার করে তিনি জনগণের সম্পদ লুট করেছিলেন।
আর বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। মুসাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন কিন্তু সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর ছিলেন। মুসাপুরে এমন কোন অপকর্ম নাই যা তিনি করেন নাই।
জুলাই বিপ্লবের আন্দোলন যারা করেছে তারা কিন্তু কোন কিছুই করে নাই। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি ৫ই আগস্টের পরই ওই স্বৈরাচারের দোসর মাকসুদ হোসেন ও তার ছেলের নেতৃত্বে জনগণের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আর যাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল চারটায় মুছাপুর ইউনিয়নের হরিবাড়ি এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, মাকসুদ চেয়ারম্যান এখন আবার নির্বাচন করতে চায় এমপি হওয়ার সাধ জাগছে। শেখ হাসিনা ও সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসর তাকে বাংলার মাটি তথা বন্দরের মাটিতে কোন স্থান নাই। তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়।
স্বৈরাচারের দোসরা যারা চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে তাদেরকে আর ছাড় নাই তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়। মাকসুদের বিরুদ্ধে কিন্তু অনেক বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম শান্ত থাকেন।
আপনার যে সাধ জেগেছে সেটা এই বন্দরের মানুষ আপনাকে করতে দিবে না। শুধু তাই না আমরা জানতে পেরেছি এই মাকসুদ এই বন্দর মানুষকে গ্যাসের কথা বলে বেড়িয়েছে এবং অনেক কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছেন।
অনেকেই আমাদের কাছে এই বিষয়ে বলেছে আমরা বলতে চাই যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেন। অন্যথায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকব।
ইনশাল্লাহ আমাদের সরকার বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা এই বন্দরের বঞ্চিত জনগণকে গ্যাসের ব্যবস্থা করে দিবো। আর এই গ্যাসের জন্য কোন জনপ্রতিনিধিকে আপনারা কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়ার সভাপতিত্বে এবংনারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, সদস্য হুমায়ূন কবির।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রহিম, বিএনপি নেতা অনিক আহম্মেদ, মোশারফ হোসেন, খোরশেদ আলম, মাকসুদ হোসেন, নুর আলম, বিল্লাল হোসেন, পানা উল্লাহ, নিজাম হোসেন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানস, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবন্দ।