ইসরায়েলের কারাগারে ‘অপুষ্টিতে’ ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যু
Published: 7th, April 2025 GMT
১৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোর ইসরায়েলের কারাগারে ‘অপুষ্টিতে’ মারা গেছে। ওই কিশোরের নাম ওয়ালিদ খালিদ আহমেদ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্যালেস্টাইন প্রিজনারস সোসাইটির (পিপিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস–ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের কারাগারে এই প্রথম কোনো কিশোরের মৃত্যু হলো।
ওয়ালিদের পরিবার ও পিপিএস জানিয়েছে, গত ২২ মার্চ ইসরায়েলের মেগিদো কারাগারে সে মারা যায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রামাল্লা শহরের নিজ বাড়ি থেকে ইসরায়েলের সেনারা তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। পাথর নিক্ষেপ ও ককটেল ছোড়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে ওই কিশোরের পরিবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পিপিএস জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। আদালতে তাঁর মামলার শুনানিও ইচ্ছাকৃতভাবে পেছানো হয়েছে।
মারা যাওয়ার পাঁচ দিন পর তেল আবিবের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টটিটিউটে ওয়ালিদের ময়নাতদন্ত হয়। ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি তাঁর পরিবারের কাছে আছে, যা তাঁরা সিএনএনকে সরবরাহ করেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তারা কোনো সাড়া দেয়নি। পরে দেশটির আইন মন্ত্রণালয় কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়।
ইসরায়েলের কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে একটি চিকিৎসক দলকে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠানো হয়। তারা যথাযথ পদক্ষেপও নেয়। কারাগারে মারা যাওয়া অন্য বন্দিদের মতো ওই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেটি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র ক র ওই ক শ র র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট