যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে দেশটির আরো ১০০টি পণ্য শূন্য শুল্কে বাংলাদেশে রপ্তানির সুবিধা দেবে সরকার।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সরকারের এ উদ্যোগের তথ্য জানিয়ে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ ইউএসটিআরকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

আইসিসির গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নেতানিয়াহু

মার্কিন শুল্ক পুনর্বিবেচনা চেয়ে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি

শেখ বশিরউদ্দীন চিঠিতে লিখেছেন, আমাদের শুল্ক তালিকায় ১৯০টি পণ্য শূন্য বা শুল্ক মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে এবং আরও ১০০টি পণ্যকে এ তালিকাভুক্ত করার বিবেচনায় রাখা হয়েছে।’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত ও দূরীকরণে যৌথভাবে কাজ করতে উভয় দেশের মধ্যে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সই হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো লিখেছেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানিতে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে, তাহলে সেটি দূর করতে আমরা উন্মুক্ত আলোচনা ও সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বাণিজ্য শাখার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছি। পাশাপাশি এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হয়েছি।

তিনি লিখেছেন, সরকার শুল্কহার কমানোর এবং সব অশুল্ক বাধা (নন-ট্যারিফ) দূর করার উপায় খুঁজছে। তারা উভয় দেশের জন্য লাভজনক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সংস্কারেরও সূচনা করেছে। এই সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে আমদানি নীতি, কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাসম্পদ অধিকার, ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় সংরক্ষণের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য চুক্তি করার পরিকল্পনা করছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতাদের এ দেশে গাড়ি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও সয়াবিন, গম ও তুলার মতো কৃষিপণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়াতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছি।

দেশের স্বাস্থ্য সেবা ও অন্যান্য সেবামূলক খাতে বিনিয়োগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ও অন্যান্য সেবামূলক খাতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করব। আমি মনে করি এসব পদক্ষেপসহ আরো যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেগুলো আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে।

চিঠির শেষের দিকে বাণিজ্য উপদেষ্টা লেখেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সরকার আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য সুবিধা ও জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি করতে আপনার বিভাগের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর আগে মার্কিন শুল্ক পুনর্বিবেচনা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ব ণ জ য উপদ ষ ট পদক ষ প দ র কর র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ