কার্যালয়ের ভেতর আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা, বাইরে খুনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
Published: 13th, April 2025 GMT
নোয়াখালীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক বাবর হোসেনের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ‘মধ্যম করিমপুর এলাকার সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে বাবর হোসেন খুনের বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বজনেরা।
জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের বাইরে যখন এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, তখন কার্যালয়ের ভেতরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক চলছিল। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় জেলা পুলিশ সুপার মো.
নিহত বাবর হোসেন নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। গত বুধবার রাত ৯টার পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হন তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের কোম্পানীঘাট এলাকার স্লুইস গেট–সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পেছনে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল, গলায় কালো দাগ দেখা গেছে। পরিবারের ধারণা, কেউ শ্বাসরোধে বাবরকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহত বাবরের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
কর্মসূচিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত বাবর হোসেনের বোনেরাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব বর হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি নেতা মহিদুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের জন্য কার্ড প্রদানের তালিকায় নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম তার পছন্দের কিছু লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেই অনুযায়ী কার্ড না দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২০-২৫ জন অনুসারীসহ পরিষদে হাজির হন। এ সময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হাফিজুর রহমানকে টেনে-হিঁচড়ে পরিষদ থেকে তুলে নিয়ে যান। একইসঙ্গে পরিষদের ভেতরে থাকা সেবাপ্রত্যাশী ও কর্মচারীদের আটকে রেখে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সচিবকে তুলে নিয়ে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে সেনাবাহিনী ওই বিএনপি নেতাসহ ৬ জনকে আটক করে। সচিব হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
রাকসু থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে যারা
‘নাসীরুদ্দীন আলোচনায় আসতে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন’
ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই ঘণ্টা পর তালা ভেঙে ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, ইউনিয়ন পরিষদের তালা দেয়ার ঘটনায় ৬ জন আটক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস বলেন, ‘‘পরিষদে তালা দিয়ে সচিবকে তুলে নিয়ে তারা উপজেলায় আসে। আমি ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারি অফিসে তালা দেয়ার অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করেছে।’’
ঢাকা/সোহাগ/বকুল