সড়কে চাকা পাল্টানোর সময় আরেক ট্রাকের চাপায় চালক ও তাঁর সহকারী নিহত
Published: 15th, April 2025 GMT
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ট্রাকের চাকা পাল্টানোর সময় অন্য একটি ট্রাকের চাপায় চালক ও তাঁর সহকারী নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক এলাকায় সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ট্রাকচালকের নাম শাহীন মিয়া (৫০) এবং তাঁর সহকারী কামাল মিয়া (৪৫)। দুজনই সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার কমলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে শাহীন মিয়া ও কামাল মিয়া ট্রাক নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পারাইরচকে তাঁদের ট্রাকটির চাকা পাংচার হয়ে যায়। পরে তাঁরা দুজনই নেমে অন্ধকারে রাস্তার পাশে চাকা মেরামতের কাজ করছিলেন। এ সময় একই দিক থেকে পাথরবোঝাই একটি ট্রাক এসে তাঁদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত দুজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি