সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ
Published: 15th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বকেয়া বেতন বোনাস না দিয়ে একটি গার্মেন্ট বন্ধ করে দেয়ায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মাদানীনগর এলাকায় ঢাকামুখি লেনে এএসটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করে। এসময় প্রায় আধা ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, এএসটি গার্মেন্টসে প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক কাজ করতেন। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের তিন থেকে চার মাসের বকেয়া বেতন বোনাস ঈদের পর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঈদের পূর্বে ছুটি দিয়ে দেন। ঈদের পর ছুটি শেষ হলে শ্রমিকরা কাজের উদ্দেশ্যে এসে দেখেন গার্মেন্টসে তালা ঝুলসে।
পরবর্তীতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন মালিক পক্ষ তাদের ছুটি দিয়ে রাতের অন্ধকারে সকল মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ কওে বিক্ষোভ করে।
এবিষয়ে জানতে এএসটি গার্মেন্টসের মালিক মো.
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে মহসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি কেউ থানায় অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ গ র ম ন টস
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।