কারাগারে স্বামীকে দেখে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী
Published: 18th, April 2025 GMT
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে কারাগারে স্বামীকে দেখে ফেরার পথে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এক তরুণী ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জস্থ কেন্দ্রীয় কারাগারে তার স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে বুধবার রাত ৮টার দিকে কারাগারের সামনে থেকে একটি সিএনজিতে উঠেন। সিএনজিতে আগে থেকে থাকা দুজন নারী যাত্রী কিছু দূর যাওয়ার পর নেমে যান। এরপর সিএনজিতে উঠানো হয় ২-৩ জন পুরুষ যাত্রীকে। চালক ও যাত্রীরা কৌশলে ভুক্তভোগীকে ঘুরিয়ে তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে রাতভর ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণকারীরা বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাকে রেখে পালিয়ে যান।
তরুণীটি আশপাশের লোজনের সহযোগিতায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তরুণীর কাছ থেকে আমরা অভিযোগ নিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আসামি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরে তরুণীর মেডিকেল চেকআপ করে তদন্তপূর্বক মামলা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।