পবিত্র ঈদুল ফিতরে বেশ কটি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সবকটি সিনেমাই দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। তবে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমা নিয়ে অধিক চর্চা হচ্ছে। বক্স অফিসে আয়ের হিসাব ঢাকাই সিনেমার জন্য আশা জাগানিয়া।   

দেশের নির্মাতা-অভিনেতারা ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা নিয়ে প্রশংসা করছেন। এবার এ নিয়ে নিজের বক্তব্য জানালেন চিত্রনায়ক ওমর সানি। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে নিজের ভাবনার কথা জানান ‘কুলি’ তারকা।

ওমর সানি বলেন, “এবার ঈদে ‘বরবাদ’ বাম্পার হিট, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। অন্য সিনেমা সুপার হিট, হিট, ফ্লপ সেটাও অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই, ভালোটার প্রশংসা করতেই হবে। আমি বলছি অন্য কথা, হিসাব আমরা যা দেখছি এভাবে যদি কলের পানির মতো টাকা আসতো তাহলে আমরা বসে থাকতাম না, সিনেমা বানাতাম। আমাদেরও প্রোডাকশন ছিল, সিনেমাও বাম্পার হয়েছে সবাই জানে, তার সাথে সাথে কেউ যদি প্রশংসা করে কিংবা সমালোচনা করে তাকে হুমকি দিতে হবে এটা ঠিক না।”

আরো পড়ুন:

‘বরবাদ’ সাফল্যের কারণ জানালেন পরিচালক

আমি শাকিব খানকে চিনি না: লাবণী সরকার

‘ফ্লপ’ নয় ‘হিট’ শব্দটা শুনতে চান ওমর সানি। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রশংসা করলেও বিপদ, অন্য আরেকজন এসে বলবে, ‘আপনি প্রশংসা করলেন কেন?’ প্রশংসাও করতে হবে, সমালোচনাও করতে হবে, একসাথে কাজও করতে হবে, হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই; এগুলি শুনতে আর ভালো লাগে না। হিসাব দেবার কিছু নাই, পরবর্তী সিনেমার প্ল্যান করেন চলচ্চিত্রের মানুষ কাজ পাক, সেটা আমরা চাই, বাম্পারহিট শুনতে চাই, সুপারহিট শুনতে চাই, হিট শুনতে চাই, ফ্লপ শব্দটা শুনতে চাই না। শুনতে চাই, এই টাকা দে সিনেমা বানাই।”

ওমর সানির বক্তব্যের বিষয়গুলো স্পষ্ট হলেও, কে বা কারা হুমকি দিচ্ছেন সে বিষয়টি পরিষ্কার করেননি। এ নিয়ে নেটিজেনরাও তাকে প্রশ্ন করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আলাদা কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ওমর স ন কর ছ ন বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ