টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজ মেয়েকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির বাবা মোজাম্মেল হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনি সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোজাম্মেল রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার তেতুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত দেলাজ মিস্ত্রীর ছেলে।

মোজাম্মেল হোসেন পরিবার নিয়ে উপজেলার গোড়াই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, মোজাম্মেল হোসেন পেশায় একজন সিএনজিচালক। তিনি তার স্ত্রী এবং একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে উপজেলার গোড়াই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্ত্রী গোড়াই এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এবং মেয়ে একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ আরও জানায়, গত ২৫ মার্চ ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোজাম্মেলের মেয়ে বাসায় ছিল। ২৭ মার্চ শিশুটির মা সকালে কারখানায় যান ডিউটি করতে। এই সুযোগে মাদকাসক্ত মোজাম্মেল নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে মেয়েকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন তিনি। দু-একদিনের মধ্যে মেয়েটি তার মাকে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথার কথা বলে। মেয়েকে ওষুধ খাওয়ানোর পরও ব্যথা না কমায় মা জানতে চান তার কী সমস্যা হয়েছে। পরে মেয়েটি তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে। বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েটির বাবা মোজাম্মেল পালিয়ে যান।

গত ৫ এপ্রিল শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০), সংশোধন (২০২০) এর ৯(১) ধারায় তার স্বামী মোজাম্মেলকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফেনি সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মোশারফ হোসেন বলেন, নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে ফেনি সদর এলাকা থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’

রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।

ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’

ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ