বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়ের পর অস্বস্তির চোট সংবাদ
Published: 20th, April 2025 GMT
লা লিগার উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে নাটকীয়ভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ক্যাম্প ন্যুতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তে ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে কাতালান ক্লাবটি। এই জয় তাদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলেও ম্যাচ শেষে এসেছে দুঃসংবাদও।
দলীয় এই সাফল্যের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়েছে রবার্ট লেভানডভস্কির ইনজুরি। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে বাঁ পায়ের ঊরুর পেছনের অংশে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার চোটটি হ্যামস্ট্রিংয়ের, যার কারণে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাকে।
সেক্ষেত্রে লেভানডভস্কিকে মিস করতে হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আসন্ন কোপা দেল রে ফাইনাল এবং ইন্টার মিলানের বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আর নিশ্চিতভাবে পরবর্তী ম্যাচে মায়োর্কার বিপক্ষে মাঠে নামা হচ্ছে না তার।
আরো পড়ুন:
৩-১ এ পিছিয়ে পড়েও বার্সার ধ্রুপদী জয়
ইয়ামালকে নিয়ে মেসি: সে এখনই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন
বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিক ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “রবার্টের এমআরআই আগামীকাল করানো হবে। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”
বর্তমান মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ৩৬ বছর বয়সী লেভানডভস্কি এখন পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন, যার মধ্যে ১১টি এসেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে। মৌসুমের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি বার্সেলোনার জন্য নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
লা লিগায় এখন পর্যন্ত বার্সেলোনা ৩২ ম্যাচে ২৩ জয়, ৪ ড্র ও ৫ হারে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ এক ম্যাচ কম খেলে ৬৬ পয়েন্টে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তবে ১১ মে’র এল ক্লাসিকোই হয়তো নির্ধারণ করে দেবে কে জিতবে এবারকার লা লিগা শিরোপা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।