‘২০-২৫ রান কম করেছে গুজরাট টাইটানস’—ইডেনে গার্ডেনে আজ শুবমান গিলদের ইনিংসে শেষে এমনই মনে হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটি ১২.২ ওভারে ১১৪ রান এনে দেওয়ার পর ইনিংস শেষে স্কোরটা দ্বিগুণ না হওয়া তো ব্যর্থতাই। গুজরাট করতে পারেনি ২০০-ও, ইনিংস শেষ করে ৩ উইকেটে ১৯৮ রান তুলে। তবে এই রানই যথেষ্ট হয়েছে গুজরাটের। স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৩৯ রানে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে গুজরাট।

রান তাড়ায় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে কলকাতা। অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ছাড়া বলার মতো রান পাননি অন্য কেউ। ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়ে কলকাতা অধিনায়ক ৩৬ বলে করেছেন ৫০ রান। ১৩তম ওভারে রাহানে যখন বিদায় নিলেন ৪৫ বলে ১০৮ রান দরকার ছিল কলকাতার।

আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ১০ বলে ১৭ রান তুলে একটু আশা জাগিয়েছিলেন। তবে গুজরাটের লেগ স্পিনার রশিদ খানে করা ১৬তম ওভারটা ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় পুরোপুরি দূর করে দেয়। ওভারের প্রথম ৪ বলে ১টি চার মারতে পারলেও অন্য তিনটি বল বুঝতেই পারেননি রাসেল। মরিয়া হয়ে সামনে গিয়ে মারতে গিয়ে পঞ্চম বলে স্টাম্পড হয়ে যান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।

পরের ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণা তিন বলের মধ্যে আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে কলকাতার স্কোরটাকে ১১৯/৭ বানিয়ে দেন। উইকেটে তখনো টিকে ছিলেন রিংকু সিং। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান (১৪ বলে ১৭ রান)। ২ উইকেট করে নিয়ে গুজরাটের সেরা বোলার প্রসিধ কৃষ্ণা ও রশিদ খান। দুজনই ৪ ওভারে দিয়েছেন সমান ২৫ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করা গুজরাট শুরুতে অতটা আক্রমণাত্মক হতে পারেনি। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪৫ রান তুলতে পারেন শুবমান গিল ও সাই সুদর্শন। পরের ৬ ওভারে ৬৮ রান তুলে অবশ্য সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন দুজন। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুদর্শন ফেরেন ৩৬ বলে ৫২ রান করার পর।

৫ ওভার পরে সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরত্বে আউট গিল। গুজরাট অধিনায়ক বৈভব অরোরার ফুল টসে ছক্কা মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে ক্যাচ দিয়েছেন দলকে ১৭২ রানে রেখে। ৫৫ বলে ৯০ রান করার পথে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন ভারতীয় তারকা। গিলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রান যোগ করা জস বাটলার অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। ২৩ বলের ইনিংসে ৮টি চার মারলেও ছক্কার দেখা পাননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস ১৯-২২ সেপ্টেম্বর, ঠিক হবে ‘রণকৌশল’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ১৩তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বেলা তিনটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশন হবে। উদ্বোধনী পর্ব শেষে বিএমএ মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এবারের কংগ্রেস থেকে ১৭ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিপিবির রণকৌশল নির্ধারণ ও ভবিষ্যতের লড়াই-সংগ্রামের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

সিপিবির কংগ্রেস সামনে রেখে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান আবু সাইদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিহির ঘোষ। বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমও। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন।

সিপিবির নেতারা বলেন, সমাজবদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সারা দেশে দলের শাখা, থানা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৫২৫ জন প্রতিনিধি। এ ছাড়া ২৬ জন পর্যবেক্ষক কংগ্রেসে অংশ নেবেন। দেড় শতাধিক ভেটেরান (অভিজ্ঞ) সদস্যকে কংগ্রেসে সম্মাননা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নানা বাস্তবতায় সিপিবির এবারের কংগ্রেসে বিদেশি সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা যোগদান করছেন না। তবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সিপিবির কংগ্রেস উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা আসতে শুরু করেছে। এবারের কংগ্রেস থেকে ১৭ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে সিপিবির আগামী দিনের সংগ্রাম, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিপিবির রণনীতি-রণকৌশল নির্ধারণসহ ভবিষ্যতের লড়াই-সংগ্রামের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে সিপিবির এই কংগ্রেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির মিডিয়া উপপরিষদের আহ্বায়ক লাকী আক্তার সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্পাদক, সদস্য এবং কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির বিভিন্ন উপপরিষদের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস ১৯-২২ সেপ্টেম্বর, ঠিক হবে ‘রণকৌশল’