মৌলভীবাজারে বন–পাহাড়ের দুর্লভ ফুল ‘কুরচি’
Published: 22nd, April 2025 GMT
গাছটির কাছে গেলেই হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো অচেনা সুগন্ধ মনকে ফুলমুখী করে তুলে, অনেকটা আচ্ছন্ন করে ফেলে। ‘দাঁড়াও পথিকবর’...এ রকমই পথ আগলে দাঁড়ায় যেন এই ফুলের ঘ্রাণ, ফুলের চোখ খোলা রূপবতী পাপড়ি, পালক। গাছটি খুব বড় নয়। তার ডালে ডালে সবুজ পাতাকে ছাপিয়ে থোকায় থোকায় দুধরঙা সাদা ফুল ফুটে আছে। সব জঞ্জালকে দূরে ঠেলে সবুজে-সাদায় মিলে এ এক শান্ত, স্নিগ্ধ মুহূর্ত গাছটির কাছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকেই বলেছিলেন, ‘কুরচি, তোমার লাগি পদ্মেরে ভুলেছে অন্যমনা.
শান্তিবাগ ওয়াকওয়েতে বেশ কিছুদিন থেকে গাছটিতে ফুল আসছে। ধীরে ধীরে কিছু সাদা ফুল ফুটছে। তবে এই কদিনে একদম ঝাঁপিয়ে ফুটেছে ফুল। রোববার সকালে ওয়াকওয়েতে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র আকারের গাছটিতে লম্বাটে, সবুজ পাতাকে ছাপিয়ে দুধরঙা অনেক ফুল শাখাপ্রশাখায় ফুটে আছে। গাছের পুরাটাই ফুলে ফুলে ভরে গেছে। ঊর্ধ্বমুখী ও এলোমেলো ডালগুলোতে ফুলের ঝাঁপি খুলে দিয়েছে কেউ। গ্রীষ্মের শুরুতে কেমন যেন আকাশের মেঘকে ডাকছে এই ফুল!
এখানে শরীরচর্চা করতে আসা বিকাশ ভৌমিক কিছুদিন আগে একটি গাছে অনেকগুলো সাদা ফুল ফোটার কথা জানিয়েছিলেন। গাছটির কাছে গেলেই সুতীব্র, মিঠে ঘ্রাণ মনকে আচ্ছন্ন করে। অনেকটা দূর পর্যন্ত সেই মধুগন্ধ ছড়িয়ে আছে। গাছের নিচে সবুজ ঘাসের ওপর পাপড়ি ঝরে পড়ছে। ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে সাদা সাদা পাপড়িদল। মৌলভীবাজার শহরে এর আগে এ রকম ফুলে ফুলে ছেয়ে থাকা কুরচির গাছ আছে, জানা যায়নি। চোখে পড়েনি।
পলাশ ও শিমুলের রং যখন ঝরে যায়, তখন কুরচিই প্রকৃতির বর্ণসুষমার ঘোষক হয়ে ওঠে। মৌলভীবাজার শহরের শান্তিবাগ ওয়াকওয়েতেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু
তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে।
রোববার তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।