১০৫ মিনিট পর স্থগিত ফাইনাল, বাকি খেলা কবে
Published: 22nd, April 2025 GMT
দেশের ঘরোয়া ফুটবলে দর্শক খরা নতুন ঘটনা নয়। ময়মনসিংহ রফিকউদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচে গ্যালারির দৃশ্য খানিকটা ভিন্ন ছিল। এর মধ্যে বৃষ্টি নামতেই কিছু তরুণ দর্শক নেমে বৃষ্টি বিলাস শুরু করেন।
ঝড়-বৃষ্টির পর ফাইনালের বাকি খেলা শুরু হলেও ম্যাচের ফল হয়নি ১০৫ মিনিটে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ায় ১৫ মিনিট। আলো স্বল্পতায় বাকি ১৫ মিনিট খেলানো সম্ভব হয়নি। ম্যাচ তাই স্থগিত করে দেওয়া হয়।
বাকি ১৫ মিনিটের খেলা কবে হবে বাফুফে বা লিগ কমিটি এখনো জানায়নি। তবে এটুকু জানা গেছে, লিগ কমিটি ফেডারেশন কাপের বাকি ১৫ মিনিটের খেলা কবে, কখন, কোথায় খেলাবে সে বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া খেলা স্থগিতের বিষয়টিও টুর্নামেন্টের নিয়মে উল্লেখ আছে বলেও জানা গেছে।
সময় মতো ম্যাচ শুরু হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ময়মনসিংহে প্রায় এক ঘণ্টা পর বাকি খেলা শুরু হয়। তার আগে ম্যাচের ৬ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। খানিক বাদেই সমতায় ফেরে আবাহনী। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ের ১২ মিনিটে গুরুতর ফাউল করে লালকার্ড দেখেন বসুন্ধরা কিংসের ফয়সাল হোসেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ১৫ ম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।