রূপগঞ্জে আলোচিত প্রবাসী রায়হান হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তাররা হলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বরুনা পুবেরটেক এলাকার মৃত ইয়ানুছের ছেলে তাইজুল, তার স্ত্রী রাহিমা, মেয়ে তাইরিন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) র‌্যাব ১১ কোম্পানি কমান্ডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আড়াইহাজার উপজেলার বেপারি বাড়ি বায়তুল নুর জামে মসজিদ পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, প্রবাসী রায়হানের কাছ পাঁচ লাখ টাকা ধার নেন তাইজুল। এরপর থেকে ধার নেওয়া টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকেন। পরে চলতি বছরের ২৪ মার্চ সকালে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় তাইজুল টাকা দিবে বলে রায়হানকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করে। 

এরপর তারা রায়হানের মরদেহ তাইজুলের বাসার দোতলায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রায়হানের বাবা বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে তাইজুল তার স্ত্রী রাহিমা, মেয়ে তাইরিন পলাতক ছিলেন। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে পলাতক আসামিরা আড়াইহাজার উপজেলার বেপারি বাড়ি বায়তুল নুর জামে মসজিদ পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। পরে র‌্যাব-১১ একটি অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা করে।

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর র পগঞ জ য ব ১১ ত ইজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা

সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।

সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
  • মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা