রূপগঞ্জে প্রবাসী রায়হান হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
Published: 23rd, April 2025 GMT
রূপগঞ্জে আলোচিত প্রবাসী রায়হান হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তাররা হলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বরুনা পুবেরটেক এলাকার মৃত ইয়ানুছের ছেলে তাইজুল, তার স্ত্রী রাহিমা, মেয়ে তাইরিন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) র্যাব ১১ কোম্পানি কমান্ডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আড়াইহাজার উপজেলার বেপারি বাড়ি বায়তুল নুর জামে মসজিদ পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রবাসী রায়হানের কাছ পাঁচ লাখ টাকা ধার নেন তাইজুল। এরপর থেকে ধার নেওয়া টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকেন। পরে চলতি বছরের ২৪ মার্চ সকালে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় তাইজুল টাকা দিবে বলে রায়হানকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করে।
এরপর তারা রায়হানের মরদেহ তাইজুলের বাসার দোতলায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রায়হানের বাবা বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে তাইজুল তার স্ত্রী রাহিমা, মেয়ে তাইরিন পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে পলাতক আসামিরা আড়াইহাজার উপজেলার বেপারি বাড়ি বায়তুল নুর জামে মসজিদ পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। পরে র্যাব-১১ একটি অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা করে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর র পগঞ জ য ব ১১ ত ইজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।