কখনও ভেবে দেখেছেন শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো, মস্তিষ্কেরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। অন্যান্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কেরও প্রচুর পুষ্টি, ব্যায়াম এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেকেই বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন না। দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু অভ্যাস আছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট করে। যেমন-

ঘুম থেকে ওঠার পর অযথা ফোনে স্ক্রোল করা
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার মস্তিষ্কের সতেজ বাতাস, মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা এবং প্রচুর সূর্যালোকের প্রয়োজন। কিন্তু বেশিরভাগভাগ মানুষ ঘুম থেকে উঠেই ফোন স্ক্রল করতে থাকেন। ঘুম থেকে ওঠার পর গুরুত্বপূর্ণ কল-মেসেজ চেক করার পর, ফোনটি রেখে দিন। এরপর হাঁটাহাটি,মেডিটেশন, যোগব্যায়ামের মতো আরও কিছু কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। এতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়বে। 

অনেক বেশি জাঙ্ক ফুড খান

আপনি যতই ভোজনরসিক হোন না কেন, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। বেশি ইচ্ছে হলে মাসে একবার বা দুবারের বেশি খাবেন না। অন্যান্য সময় টাটকা, মৌসুমি এবং সুস্বাদু খাবার খান। 

বই না পড়া 
শরীরের মতো আমাদের মস্তিষ্কেরও ব্যায়ামের প্রয়োজন। এর জন্য, খাবার এবং জ্ঞান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের বই পড়া মস্তিষ্ককে আরও চিন্তা করতে, আরও শিখতে এবং সক্রিয় করতে সাহায্য করে। যদি পড়ার অভ্যাস না থাকে, তাহলে তৈরি করুন। প্রতিদিন যেকোনো বইয়ের পাঁচ পৃষ্ঠা পড়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকুন। 

ব্যায়াম না করা
কোনো ধরনের ব্যায়াম না করলে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। পেশির সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক সচল রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। 

দক্ষতা না বাড়ানো
রুটিন অনুযায়ী নিজের পেশাগত কাজ ছাড়া অন্য কিছু না করা  মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নিয়মিত শেখা, দক্ষতা বৃদ্ধি  মস্তিষ্ককে খুশি রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ