গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগ বাতিল, তিন সাঁওতাল হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বৃহস্পতিবার উপজেলার কাটামোড় এলাকায় সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এ কর্মসূচির আয়োজন করে। 
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইপিজেড নির্মাণের নামে সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের ভেতরে সাঁওতালদের বাপ-দাদার তিন ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। শহীদ শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মারডির রক্তে ভেজা জমিতে ইপিজেড করা যাবে না। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আদিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। পল্লিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ চিহ্নিত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও উচ্ছেদ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে তারা দেশান্তরে বাধ্য হবে। এতে ভাষা, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাঁওতালসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শূন্যতা ঠেকাতে তাদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.

খায়রুল চৌধুরী, লেখক-গবেষক পাভেল পার্থ, এএলআরডির পরিচালক শামসুল হুদা, এএলআরডির আইন বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট রফিক সিরাজী, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, রেজাউল করিম মাস্টার, ময়নুল ইসলাম, স্বপন শেখ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আদিবাসী নেতা প্রিসিলা মুরমু ও ফারুক কবীর। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় মা ও মেয়ে জখম  

বন্দরে বাড়ী দেওয়ালে আস্তর করা কাজে  বাধা প্রদানের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মা ও মেয়ে জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে রাত্রী আক্তার (২৪)।

স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত হোসনে আরা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঘটনার ওই দিন রাতে  বাদী হয়ে হামলাকারি সন্ত্রাসী ইব্রাহিম, মুক্তার, জীবন, হাসনা বানু,  সজিব, কালু ও ইলিয়াস মিয়ার নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি  লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে,  বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম একই এলাকার মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মোক্তারসহ উল্লেখিত এলাকার জীবন, হাসনা বানু, সজিব, কালু ও ইলিয়াসের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বসত বাড়ি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। 

গত ২৩ জুলাই বিকাল ৫টায় প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম হাসনা বানুর বসত বাড়ী সিমানা ঘেঁষে কোন প্রকার  জায়গা না ছেরে পাকা ভবন নির্মঠু করে আসছে । প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম  হাসনা বানু জায়গায় দাড়িয়ে দেওয়ালে আস্তর করতে চাইলে ওই সময় হাসনা বানু মেয়ে রাত্রী আক্তার আস্তর করা কাজে বাঁধা প্রদান করে।  

এ ঘটনায় সকল  বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে হাসনা বানু বসত বাড়িতে  অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে বসত বাড়ি ভাংচুরসহ ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গেলে রাত্রী আক্তারকে বেদম মারধর  জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে স্নালতাহানী করে।

ওই সময় হামলাকারিরা রাত্রী আক্তারের  গলায় থাকা ৮ আনা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন

কোনো কারন ছাড়া মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তার কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন নেতৃত্বে উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা হাসনা বানু বাড়িতে  অনধিকার প্রবেশ করে কোনো কারন ছাড়া এলোপাথারী কিলঘুষি মেরে মারধর সহ আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা জখম করে।

তারপর বিবাদীগন আমার পরিহিত জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্ললতাহানী করে। আর আমার ও আমার পরিবারের প্রান নাশের ক্ষতি সাধন করবে বলে ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম সাবেক ছাত্র নেতা  জাকির খানের নাম ভাঙ্গিয়ে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পশ্চিম হাজীপুর ও পূর্ব হাজীপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ