Samakal:
2025-04-30@21:24:42 GMT

বিচারক হয়ে ফিরলেন পূর্ণিমা

Published: 26th, April 2025 GMT

বিচারক হয়ে ফিরলেন পূর্ণিমা

নন্দিত অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অভিনয়ে তিনি অনিয়মিত। তাঁর অভিনীত একাধিক চলচ্চিত্রের শুটিং আটকে আছে। নতুন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খবরে নেই তিনি। তবে রান্নাবিষয়ক একটি রিয়েলিটি ‘সেরা রাঁধুনী’-এর শোর বিচারক হয়ে পর্দায় ফিরলেন তিনি। মাছরাঙা টেলিভিশনে এর প্রচার শুরু হয়েছে।

কয়েক মাস ধরে এর প্রচার শুরু হলে পূর্ণিমা এসেছেন স্টুডিও রাউন্ড থেকে। বর্তমানে দেশসেরা রন্ধনশিল্পীদের রান্নায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই, কুকিং রিয়েলিটি শোয়ের প্রধান বিচারকের একজনের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

পূর্ণিমা বলেন, ‘এর আগেও নানা অনুষ্ঠানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে রান্না অনুষ্ঠানে বিচারকের দায়িত্ব পালন উপভোগ করছি। আয়োজনে রন্ধনশিল্পীরা শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই দেখাচ্ছেন। আশা করছি, এখান থেকে প্রতিভাবান রন্ধনশিল্পীরা বের হবেন।’ 

বর্তমানে পূর্ণিমা নিয়মিত অভিনয়ে না থাকলেও শোবিজে তাঁর উপস্থিতি বরাবরই নজরকাড়া। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লাইভ অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও দেখা যায় তাঁকে।  কিছু ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মিডিয়ার কাজে অংশ নিচ্ছেন তিনি। 

ব্যক্তিজীবনে বেশ গোছানো পূর্ণিমা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। সেখানে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী নিয়মিত ভালোবাসা ও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাঁকে। পূর্ণিমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো ছবি ছিল ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মনের মাঝে তুমি’। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবিতে তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসা পায়।

এরপর ২০০৬ সালে এসএ হক অলিক পরিচালিত ‘হৃদয়ের কথা’ ছবিতেও তিনি মন কাড়েন দর্শকদের। এই দুই ছবির পর থেকে পূর্ণিমা হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ নায়িকা তাঁর ক্যারিয়ারে রিয়াজ, শাকিব খান, মান্নাসহ অনেক নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেন। সময় বদলালেও পূর্ণিমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আগ্রহ একই রয়ে গেছে। সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার অনন্য মিশেলে তিনি আজও বাংলার দর্শকের মনে একটি স্থায়ী জায়গা দখল করে আছেন। 

এদিকে নতুন কোনো সিনেমায় যুক্ত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও, নির্মাণাধীন রয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা। এগুলো হলো নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’। 

২০১৮ সালে শুরু হওয়া এসব সিনেমা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে। আদৌ শেষ হবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে সংশয়। নির্মাতাও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সিনেমা দুটিতে পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ ও আরিফিন শুভ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

হয়রানির অবসান চান ব্যবসায়ীরা

কর আদায়ের নামে হয়রানি ও জটিলতার অবসান চেয়েছেন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে উৎপাদন পরিচালনার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। আগামী অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর যৌথ আয়োজনে এনবিআরের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এ দুটি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ছিল বেশি। 

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সভাপতিত্ব করেন। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ এবং ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান। সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক হাফিজুর রহমান।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ভ্যাট আদায়ে কিছু অযৌক্তিক কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এগুলো ভ্যাট কর্মকর্তারা আটকে রেখে অযথা সময়ক্ষেপণ করেন। এতে ব্যবসায়ীরা নানা ঝামেলায় পড়েন। এসব পরিহার করতে হবে। 

ব্যবসা-বাণিজ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেড়েছে উল্লেখ করে বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, এক সময় বস্ত্র খাতের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ছাড়পত্র বিটিএমএর পক্ষ থেকেই দেওয়া হতো। কিন্তু এনবিআর পুরো বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার পর জটিলতা বেড়েছে। প্রতিটি ধাপে ছাড়পত্র নিতে হয়। দেখা যায়, ৩০ হাজার টাকা শুল্ককর জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, তারা কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেও দুই বছরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। তার ভাষায় ‘আমরা বিদেশিদের বিনিয়োগের জন্য ডাকছি। অথচ নিজের দেশের উদ্যোক্তারা জ্বালানি সংকটে ভুগছেন।’

মোস্তফা কামাল বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেকের ব্যাংক হিসাব এবং করনথি তল্লাশি করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ঢালাওভাবে তল্লাশি করে ব্যবসায়ীদের যাতে হয়রানি করা না হয়, সে জন্য এনবিআরের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। 

বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, এইচএস কোড নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এগুলো দূর করতে হবে। তিনি বলেন, ফাইবার রিসাইকেলের ক্ষেত্রে মোট ২২ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। অথচ অন্যান্য দেশ এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেন। তাই তিনি এ ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানান। 

এমসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম বলেন, করের আওতা সম্প্রসারণের আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এতে যারা কর দেন, তাদের ওপর প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। তাছাড়া ব্যবসা পরিচালনার অনেক খরচ অনুমোদন হয় না। তাই ঘোষিত হারের চেয়ে কার্যকর কর অনেক বেড়ে যায়। 

ঢাকা চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি রাজীব চৌধুরী বলেন, সরকারের মোট রাজস্বের ৮৪ শতাংশ আসছে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে। অন্যান্য জেলা থেকে রাজস্ব আসছে না। এসব জেলা থেকে কর আদায় বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে তিনি কর প্রদান সহজ করার ওপর জোর দেন। 

সভায় ব্যবসা ও বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি  সুনির্দিষ্ট এবং গঠনমূলক বাজেট প্রস্তাবনা দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। 

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক-সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক হাফিজুর রহমান। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। তৈরি পোশাকসহ সব রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো ০.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা, কার্যকরি কর হার কমিয়ে আনা এবং শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোতে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ