রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মাসুদ মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক মারা গেছেন। 

শুক্রবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আইজুদ্দিন মিয়ার ছেলে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো.

সোরহাব মন্ডল।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ট্রেন ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর চরপাড়া পৌঁছালে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন মাসুদ মিয়া। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। 

মাসুদ মিয়া কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন কয়েক ব্যক্তি।

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মাসুদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, চার বছর আগে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মাসুদ। এর পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তার। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মরদেহের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রবিউল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ